দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল বেশ খারাপ। তাই ১৯৪৫ সালের ৫১ টি রাষ্ট্র নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ। এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠিত করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আইনের শাসন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয় গুলো দেখা। তাই আপনারা অনেকেই জাতিসংঘের জনক কে এ প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাছাড়া আপনাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়।
তাই আপনাদের জন্য এ প্রশ্নটির সঠিক উত্তর সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দেবো তাই আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাছাড়া আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রান্ত সকল শ্রেণীর গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রকাশিত করি। আপনারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে গুলো জানার জন্য গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে জেনে নিতে পারবেন।
জাতিসংঘ হল একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম। আর এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশী সদস্য ভুক্ত রয়েছে। এই সংগঠনটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৯৩ টি। বর্তমানে ১৯৩ টি দেশ নিয়ে এই সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি ভাষা রয়েছে আর সেই ভাষার মাধ্যমে এই সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে আর এই ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইংলিশ, চায়না, ফরাসি, স্পেন, আরবি আর এই দপ্তরিক ভাষা গুলোর মাধ্যমে এ সংগঠনটি পরিচালিত হয়। জাতি সংঘের সদর দপ্তর বর্তমানে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বহু আসা নিয়ে এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়
জাতিসংঘ এমন একটি সংগঠন যে সংগঠন প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সব সময় শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত এরকম যুদ্ধ যেন আর না ঘটে তাই মিত্র দেশ গুলো নিয়ে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মত পৃথিবীতে যেন এরকম সংঘাত আর না ঘটে তা প্রতিনিয়ত সকল জাতিসংঘ সদস্য ভুক্ত দেশগুলোর আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে জাতিসংঘ। জাতি সংঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থা গুলো হলো সাধারণ পরিষদ নিরাপদ পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ তাছাড়াও এই সংগঠনটি তে রয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী দেশে রয়েছে। আর এই পাঁচটি দেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠান টি বিশ্বের নানান দেশের জটিল সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে বেশি ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাছাড়া এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও নানান ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠানটি অনন্য অবদান। আপনারা যারা জেনে নিতে চান জাতিসংঘের জনক কে তাদের জন্য বলছি জাতিসংঘের জনক হলেন উড্রো উইলসন। তার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিবছর জাতিসংঘের বিশেষ সম্মেলনে র মাধ্যমে জাতি সংঘের দেশগুলোর মধ্যে পরস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অবস্থা, একটি রাষ্ট্রের নানান ধরনের সমস্যা জাতিসংঘের সম্মেলনের মাধ্যমে উঠে আসে। তাই এ প্রতিষ্ঠানটির অবদান সারা পৃথিবী জুড়ে।
জাতিসংঘের জনক কে আপনারা যারা এ প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। তাছাড়া আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে সকল প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নেয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।