গুণ কাকে বলে

যোগ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল গুণ। যেকোনো হিসাব নিকাশ করতে আমাদের যোগ বিয়োগ গুণ এবং ভাগ এই চারটি নিয়মেই সাধারণত করতে হয়। হিসাব নিকাশ করার সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি যোগ এবং বিয়োগ করতে হয় তারপরেও অনেক সময় গুণ এবং ভাগও করতে হয়। তাই হিসাব নিকাশ জানার জন্য আমাদের অবশ্যই অংক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। অর্থাৎ আমরা জানি সেই প্রাচীনকালে অর্থাৎ যখন মানুষ একটু একটু সভ্যতার দিকে ঢুকছিল তখন থেকেই তাদের হিসাব নিকাশ করতে হতো। সে সময় সংখ্যা কি এই জিনিসটা তারা না বুঝলেও প্রথমে কিছু একটা আকার ইঙ্গিত কাঠির সাহায্যে তাদের সাহায্যে তারা বিভিন্ন জিনিসের বা সংখ্যার হিসাব রাখতো।

কারণ যখন তারা একসঙ্গে বসবাস করে অর্থাৎ একই গুহায় এক দলবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করছিল তখন তাদের খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় শিকার করতে যেতে হতো জঙ্গলের মধ্যে। তখন অবশ্যই সেই জঙ্গলে গিয়ে অনেক ধরনের বিপদের মুখে পড়তো অর্থাৎ হিংসে জন্তু জানোয়ারের সাথে লড়াই করেই তাদের টিকে থাকতে হতো। তাই বলা যায় যে তারা তখন টিকে থাকার জন্যই বিভিন্ন সংখ্যার হিসাব আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে চলে এসেছে । যদিও তারা এক দুই এভাবে না লিখি কেউ সংখ্যার হিসাব করেছে এভাবে যে বিভিন্ন গাছে অথবা পাথরে দাগ দিয়ে রেখে তারা হিসাব করত অথবা কাঠি দিয়েও তারা হিসাব করত। তাই দেখা যাচ্ছে যে হিসাব শুধু এখনকার না মানুষ যখন আস্তে আস্তে সভ্যতার যুগে পদার্পণ করতে শুরু করেছে তখন থেকেই হিসাব-নিকাশ চলে এসেছে আমাদের মাঝে।

তাই আমাদের উচিত হবে যে কোন হিসাব নিকাশ শেখা এবং এর হিসাব নিকাশ শিখতে হলে অবশ্যই আমাদের যোগ-বিয়োগ গুণ ভাগ ইত্যাদি অংক অবশ্যই জানতে হবে। অর্থাৎ আমরা জানি যে সকল এক ধরনের উপাদান বা এক ধরনের সংখ্যা একই সঙ্গে করা বা একসাথে করার নাম হচ্ছে যোগ। আবার কোন সংখ্যা থেকে কোন সংখ্যা বিয়োগ করার অর্থই হলো বা বাদ দেয়ার অর্থই হলো বিয়োগ। এমনিভাবে একই ধরনের সংখ্যা মোট কতটি সেগুলি একসঙ্গে করা সেটা হচ্ছে যে গুণ। আবার অনেকগুলি সংখ্যা থেকে কোন একটি সংখ্যা দ্বারা অর্থাৎ বারবার বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াটা হচ্ছে ভাগ। তাই আমরা বলতে পারি যে হিসাব নিকাশ সংক্রান্ত সমস্যা সাধারণত আমরা যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ এই অংক গুলো দিয়েই করে থাকি। এর আগেই আমরা বলেছি যে যোগের সংক্ষিপ্ত রুপ হল গুণ।

তাই অনেকগুলো একই জাতীয় সংখ্যা বারবার যোগ করার পরিবর্তে সংখ্যাগুলি গুণ করলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। তাই আমরা দেখতে পাই একটি গুণ অঙ্কের মোট তিনটি অংশ থাকে যথা: গুণ্য গুণক এবং গুণফল। গণ্য ও গুণক গুণ করলে গুণফল পাওয়া যায়। যে সংখ্যাটি দিয়ে গুণ করা হয় তাকে গুণ্য বলা হয়। আবার অন্য ও গুণকের স্থান পরিবর্তন করলে গুণফল একই থেকে যাবে। তাই আমরা আমাদের সারা জীবনের অনেক ধরনের হিসাব নিকাশ করতে হয় তাই এসব নিকাশ বলি আমরা ভালোভাবে শিখে নিতে হয়। যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশ ই করতে হয়। এইসব নিয়ে কাজগুলি অবশ্যই আমরা ভালোভাবে শিখে সেগুলি করে ফেলতে হবে।

তাই আমরা আমাদের প্রাথমিক জীবনে যেহেতু সবসময় হিসাব নিকাশ করে চলতে হয় তাই গণিত অবশ্যই আমাদের ভালো করে শিখে নিতে হবে এবং সেই গুণগুলি বা গুণের অংক শিখতে হবে। তাই এ ধরনের সকল তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট টি বার বার ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্যই বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রকাশ করা থাকে। এবং এই তথ্যগুলি অবশ্যই দেখে নিতে হবে। তাহলে এখন চলুন দেখা যাক যে গুণ কাকে বলে।

গুন: গুণ বলতে যোগের সংক্ষিপ্ত রূপ বা নিয়মকে বোঝায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *