আফ্রিকার গান্ধী বলা হয় কাকে African Gandhi Kake Bola Hoi

আপনার অনেকেই আফ্রিকার গান্ধী কে , কোন নেতাকে আফ্রিকার গান্ধী বলা হয় এই প্রশ্নগুলো আপনারা অনুসন্ধান করছেন, আর এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হলে আমরা বলব আপনি সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করেছেন, আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো আফ্রিকার গান্ধী কাকে বলা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বিরোধী অন্যতম প্রথিকৃত নেলসন ম্যান্ডেলা কে আফ্রিকার গান্ধী বলা হয়। তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। এই নেতাটি ১৯৯৪ থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এই নেতাটি বর্ণ বিরোধী ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ও আত্মত্যাগী নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যগ্রহ যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত করার একজন অন্যতম নেতা। যে নেতা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণ তাদের অভিমত প্রকাশ করা হয়। নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণীয় রাষ্ট্র নায়কদের মধ্যে একজন।

যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটিয়ে বহু বর্ণ ভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্ণবাদের অবসানের পর ১৯৯৪ সালের ১০ই মে নতুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন নেলসন ম্যান্ডেলা। এর মাত্র এক দশক আগেও সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ শাসিত দক্ষিণ আফ্রিকায় এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ছিল এক অকল্পনীয় ঘটনা। এই পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও তিনি ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৩ সালে শান্তির জন্য তাকে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত করা হয়।

নেলসন ম্যান্ডেলা তরুণ বিপ্লবী

১৯১৮ সালের লেনসন ম্যান্ডেলার জন্ম। তার বাবা ছিলেন ইস্টান কেপ প্রদেশের রাজকীয় পরিবারের কাউন্সিলর। বাবা নাম রেখেছিলেন রোলিহ্লাহলা ডালিভুঙ্গা মানডেলা। স্কুলের এক শিক্ষক তার ইংরেজী নাম রাখলেন নেলসন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার আপামর মানুষের কাছে তিনি ছিলেন ‘মাদিবা’।তরুণ বয়সে নেলসন ম্যান্ডেলা চলে আসেন জোহানেসবার্গে, সেখানে তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের যুব শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে।

১৯৬০ সালে শার্পভিলে কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ৬৯ জন নিহত হলে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আদৌ আর লাভ হবে কিনা সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এসময় এক বক্তৃতায় নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, সরকার যখন নিরস্ত্র এবং প্রতিরোধবিহীন মানুষের ওপর পাশবিক আক্রমণ চালাচ্ছে, তখন সরকারের সঙ্গে শান্তি এবং আলোচনার কথা বলা নিস্ফল।

নেলসন ম্যান্ডেলারের ২৭ বছরের কারা মুক্তি

নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে নানানভাবে চাপ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি মুক্তি পান ১৯৯০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর কারা ভোগ করেন।ম্যান্ডেলা তাঁর সমর্থকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন সেই কথা, যা তিনি তাঁর বিচারের সময় আদালতে বলেছিলেন। মেনশন মানডেলা বলেন, এমন এক দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন দেখেন তিনি, যেখানে সব জাতি, সব বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে পারবে। এমন একটি আদর্শ যেটির আশায় আমরা সবাই বেঁচে থাকতে চাই।

কিন্তু দরকার হলে এই আদর্শের জন্য আমি মরতেও প্রস্তুত। পুরাতন দক্ষিণ আপনাকে কে পিছনে নতুন দক্ষিণ আফ্রিকাকে গড়াটা অতটা সহজ ছিল না এই নেতার। কিন্তু লেনসন ম্যান্ডেলা এমন একজন নেতা ছিল অতীতের প্রতিশোধ নেয়ার পরিবর্তে সে সাবেক শ্রোতাঙ্গ নিপীড়দের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল নতুন এক দক্ষিণ আফ্রিকার পথ চলা। নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির পর দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানে ও পরিচালনা করার জন্য আলোচনা করা হয়। সেখানে একটাই দাবি থাকে সব বর্ণ ও জাতির সমান অধিকার থাকবে। এরি পথ ধরে ১৯৯৪ সালে বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট হন নেলসন ম্যান্ডেলা।

রাজনৈতিক জীবনের মত, লেনসন ম্যান্ডেলার ব্যক্তিগত জীবনে ছিল ঘাত প্রতিঘাটে ভরা। তার নানান বৈশিষ্ট্যের কারণে তাকে আফ্রিকার গান্ধী পদবী তাকে দেয়া হয়েছিল। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম কোন নেতাকে আফ্রিকার গান্ধী বলা হয়। আর কি তার বৈশিষ্ট্য কিসের জন্যই বা তাকে আফ্রিকার গান্ধী বলা হয় সেটার জানার জন্য আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *