আমরা বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষায় ব্যবহার করি। আর তাই বাংলা ভাষা আমাদের কাছে সহজ মনে হয়। কিন্তু বাংলা ভাষা আমরা যতটা সহজ মনে করি ততটা সহজ নয়। বিভিন্ন বানান লেখার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এ বাংলা ভাষার বানানগুলো বেশ কঠিন এবং জটিল। লেখাগুলোর ক্ষেত্রে আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। তা নাহলে আমরা ভুল বানান লিখতে পারি আর ভুল বানান লিখলে সেই লেখাটির অন্য মানে হতে পারে। আর ওই লেখাটির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হতে পারে। অর্থাৎ সে লেখাটি কেউ গ্রহণ করবে না। আর আবার অনেকেই ভুল বানান লেখা দেখলে হাসাহাসি করতে পারে। তাই আমাদের বাংলা ভাষার বিভিন্ন বাংলা লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সতর্কতার সাথে লিখলে বানানের ভুলটা অনেকটাই এড়িয়ে চলা যায়। আর হাসির পাত্র হওয়া লাগবে না।
কিন্তু বাংলা ভাষার বিভিন্ন বানানগুলো বেশ জটিল এবং কঠিন এই কারণে অনেকেই এই বানানগুলো লিখার সময় ভুল করে। আমরা যদি পড়ার সময় শুদ্ধভাবে পড়ি এবং সতর্কতার সাথে বানানগুলো দেখে রাখে তাহলে এই বানানগুলো ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এজন্য আমাদেরকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং যেকোন বিষয় বুঝে নিতে হবে। বারবার অনুশীলন করতে হবে। অনুশীলন করার ফলে যে কোন বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। তাই যারা বানান ভুল করেন তারা যদি বারবার অনুশীলন করতে থাকেন তাহলে তারা বানানের ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবে ।আর সঠিক বানানগুলো আয়ত্ত্বে রেখে যে কোন বানান যেকোনো সময় লিখতে পারবে। এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি এভাবে সাজানো হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ যেকোনো বানান কিভাবে ভুল থেকে সংশোধন করে সঠিকভাবে লিখতে হয় বা কোন বানানগুলো কিভাবে লিখলে সঠিক হবে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পারবে। তাই আপনিও যদি এরকম বিভিন্ন বানান সংশোধন করতে চান বা বিভিন্ন বানান কিভাবে লিখলে সঠিক হবে এই বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। আর এই আর্টিকেলটি আপনারা পুরোটা পড়তে পারেন। কেননা এই আর্টিকেলটি যদি আপনি ভালোমতো না পারেন তাহলে এই বিষয়টি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন না।
সাধারণত বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন রকমের বানান শেখানো হয়। বাবা-মা বাসায় বানান শেখায় বা পড়াশোনা শেখানো শুরু করে। এই জন্য বাবা মাকে বাচ্চাদের বানান শেখানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সতর্কতার সাথে তাদেরকে সঠিক বানান শেখাতে হবে। কেননা বাচ্চারা যদি ভুল ভাবে শিখে তাহলে সেই ভুলটা সংশোধন করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ বাচ্চাদের স্মৃতি অনেক ধারালো থাকে। আর যেই বিষয়টি তাদের স্মৃতিতে গেথে যায় সেই বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই যদি তারা ভুল ভাবে শিখে তাহলে সংশোধন করা পরবর্তীতে কঠিন হয়ে যাবে।
তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণত বিভিন্ন বানান শেখানো হয়ে থাকে। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হতে হবে অনেক বেশি সচেতন। কোনোভাবে শিক্ষকরা যেন শিক্ষার্থীদের ভুল বানান না শিখায় এই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর তাই যদি কোন শিক্ষক বানানের ক্ষেত্রে ভুল করেন বা ভুল বানান করেন সেক্ষেত্রে তাকে শুধরে নিতে হবে বা বাসায় প্র্যাকটিস করতে হবে। বারবার প্র্যাকটিস করার ফলে শিক্ষক যেকোনো শব্দ শুদ্ধভাবে লিখতে পারবে।
বাচ্চাদেরকে শুদ্ধভাবে লিখা এবং বানান শিখানোর জন্য শিক্ষকদেরকে শুদ্ধভাবে লিখা ও বানান জানাটা খুবই জরুরী। তাই যে সকল শিক্ষকের বানানে সমস্যা আছে সে সকল শিক্ষকও আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি তাহলে এখান থেকে আপনার বানানের সমস্যা ও দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনি যদি সাইনবোর্ড বানান টি সঠিকভাবে শিখতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। এখানে সাইনবোর্ড বানানটিও লেখা আছে।