প্রত্যেকটি জাতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নেপথ্য একটি সুনির্দিষ্ট ইতিহাস থাকে। আর ইতিহাস কখনো এক দিনে সৃষ্টি হয় না। একটি জাতির জাতীয় ইতিহাস একটি সুনির্দিষ্ট পথে চলতে থাকে। আর এই ইতিহাস জুড়ে থাকে একটি মূল ব্যক্তির নেতৃত্ব। যাকে বলা হয় জাতির মহানায়ক বা জাতির পিতা। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে চান জাতির পিতা কে। আর এই বিষয়টি জেনে নেয়ার জন্য আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বারবার অনুসন্ধান করছেন। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশিত করি। আপনার গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্ন সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
একটি জাতির পিতা সব সময় সামনের দিক থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। কারণ একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক একটি ব্যক্তির প্রয়োজন তা না হলে সে জাতি কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ নেতৃত্ব অনেক বড় একটি বিষয় জাতি কখনো ভুল পথে পদার্পণ করলে একজন সঠিক নেতৃত্বকারী সেই ভুল পথ থেকে জাতিকে রক্ষা করবে। একটি জাতির মূল নেতৃত্বে যিনি সর্বময় ধারক ও বাহক হন তিনিই জাতির পিতা হিসাবে আখ্যায়িত হন ইতিহাস ও সাধারণ মানুষের মাঝে সে ব্যক্তি জাতির পিতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। তাছাড়া একজন জাতির পিতা নিজের কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর মাঝে বেঁচে থাকতে পারে।
আমরা যদি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটু লক্ষ্য করি তাহলে খুব সহজে জেনে নিতে পারবো জাতির পিতা হিসেবে বাঙালি জাতি যাকে নির্বাচন করেছে তা কতটুকু যথার্থ।প্রকৃত পক্ষে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময় কালই হলো এই বাঙালি জাতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার একটি প্রাপ্তির কাল। আর এই সময়কালে বাঙালি জাতির জন্য এক মহান ব্যক্তি নেতৃত্ব দান হিসেবে সৃষ্টি হয়ে যান। একজন প্রকৃত পিতা যেমন নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে তার সংসারের সদস্যদের সুখ প্রতিষ্ঠা করেন তেমনি জাতির পিতা তার পূর্ব বাংলার মানুষে র জন্য জীবনে যা যা ত্যাগ স্বীকার করার দরকার তাই করে ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঙ্গালীদের জীবনে আত্মত্যাগী নেতা।
একজন জাতির পিতা হিসাবে বাঙালি জাতির জন্য যা যা করার প্রয়োজন ছিল তিনি সারাজীবন তাই করে গিয়েছেন। যেমন একজন পিতা তার পিতৃত্বের কাছে সবকিছু অপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজি রেখে প্রতিটি মুহূর্ত নিজের পরিবারের জন্য সংগ্রাম করেন। তেমনি এদেশের মানুষের জন্য জাতির পিতা সারা জীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। অনে ক ক্ষেত্রে অনেক পরিবারে রুগ্ন সন্তানের জন্য ভালোবাসা দ্বিগুণ থাকে তেমনি জাতির পিতার কাছে এদেশের গরীব অসহায় মানুষের জন্য ভালোবাসাটা একটু বেশি ছিল। তার জীবন জুড়ে গরিব অসহায় মানুষকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসে গিয়েছে। আর এই মানুষগুলো এই জাতির পিতা কে নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবেসেছে তারা।
পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জাতি প্রতিষ্ঠান করার জন্য এত বড় ত্যাগ স্বীকার কোনো মহান নেতা করে যায়নি।বাঙালি জাতির অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যে পিতার মতো অকৃত্রিম ভূমিকা রেখেছিলেন তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর এটা প্রমাণ হয় সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের মাধ্যমে। কেননা এই ভাষণে র মাধ্যমে গোটা জাতি উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যে কোনো দেশ ও জাতি সামনের দিকে অগ্রসর হতে হলে তার জাতির পিতা ও জাতীয় ব্যক্তিত্বের আদর্শকে সামনে রেখে ও সেটাকে ধারণ করে চলতে হবে। দেশ ও জাতির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় একটি ব্যক্তির নেতৃত্বের মাধ্যমে। আর একটি জাতি তার জাতির আদর্শের পিতার মাধ্যমে নিজের দেশকে আদর্শ দেশ হিসেবে গড়তে পারে।
জাতির পিতা কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান আমরা আমাদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে তা জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারেন।