পিচ কাকে বলে

আমরা জানি কোন সূক্ষ্ম জিনিসকে পরিমাপ করতে হলে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করতে হয়। এই ভার্নিয়ার স্কেল টি মূল স্কেলের সাথে লাগানো থাকে। এবং এটি খুব সূক্ষ্ম জিনিস পরিমাপ করার কাজে লাগে। ভার্নিয়ার স্কেলের কোন দাগটি মূল স্কেলের মিলিমিটার দাগের সাথে হুবহু মিলে গেছে বা সম পাতন হয়েছে সেটি বের করে দাগ সংখ্যাকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক দিয়ে গুন দিতে হয়। মূল স্কেলে মাপা দৈর্ঘ্যের সাথে সেটি যোগ দিলেই আমরা প্রকৃত দৈর্ঘ্য পেয়ে যাব। তাই ভার্নিয়ার স্কেলের পরিবর্তে একটা স্ক্রুকে ঘুরিয়ে স্কেলকে সামনে-পেছনে নিয়েও স্ক্রু গজ নামে বিশেষ এক ধরনের স্কেলে পরিমাপ করা হয়। এখানে স্কুয়ের ঘাট অত্যন্ত সুক্ষ রাখা হয় এবং পুরো একবার ঘোরানোর পর স্কেল লাগানো স্কুটি হয়তো এক মিলিমিটার অগ্রসর হয়।

স্কুলের এই স্মরণকে স্কুলের পিচ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে বৃত্তাকার অংশটি ঘুরিয়ে স্কেলটিকে সামনে পেছনে নেওয়া হয় সেটিকে সমান 100 ভাগে ভাগ করা হলে প্রতি এক ঘর ঘূর্ণনের জন্য স্কেলটি নিচের 100 ভাগের একভাগ অগ্রসর হয়। অর্থাৎ এই স্কেলে ১০০ ভাগের এক মিলিমিটার বা 0.01 মিলিমিটার পর্যন্ত মাপার সম্ভব হতে পারে। এটাকে স্ক্রু গজের ন্যূনাঙ্ক বলে। তাহলে ভালো করে বললে আমরা স্পিচ কাকে বলে সে সম্পর্কে সামান্য একটু ধারণা দেওয়া হলো। তবে এখন যদি ভালো করে বলা যায় বা পিস এর সংজ্ঞা কি সে বিষয়ে আমরা একটু দেখতে পারি। স্ক্রু গজের টুপি একবার ঘোরালে এর যতটুকু স্মরণ ঘটে এবং রৈখিক স্কেল বরাবর যে দৈর্ঘ্য এটি অতিক্রম করে তাকে স্ক্রুটির পিচ বলে।

অর্থাৎ পুরো একবার ঘোরানোর পর স্কেল লাগানো স্কুটি হয়তো এক মিলিমিটার অগ্রসর হতে পারে বা হবে। অর্থাৎ বলা যায় যে যে বৃত্তাকার অংশটি ঘুরিয়ে স্কেলটিকে সামনে পেছনে নেওয়া হয় সেটিকে সমান 100 ভাগের ভাগ করা হলে তার প্রতি এক ঘর ঘূর্ণন এর জন্য স্কেল ডিপিতে 100 ভাগের এক ভাগের অগ্রসর হয়। এটি গেল পদার্থবিজ্ঞানের পিচ। এছাড়াও রসায়ন বিজ্ঞানের পেট্রোলিয়াম গ্যাস সংগ্রহের সময় আরেক ধরনের পিচ পাওয়া যায়। এই পিচটি হলো পেট্রোলিয়ামের একটি উপাদান। অর্থাৎ আমরা যে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম বিদেশ থেকে আমদানি করে সেই আমদানিকৃত পেট্রোলিয়াম যখন আমরা পরিশোধিত করি তখন পিচ নামক একটি অংশ এই অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম থেকে পাওয়া যায়।

এই পেজটি রাস্তা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এবং এটিকেও পিস বলেই অভিহিত করা হয়। এই অপরিশোধিত তেল আংশিক পাতন পদ্ধতিতে স্ফুটনাঙ্ক এর উপর ভিত্তি করে পৃথক করা হয়। আংশিক পাতানো হলো এক ধরনের পাতন। এখানে বাষ্পকে ঠান্ডা করার জন্য লম্বা কলাম থাকে। কলাম আবার বিভিন্ন অংশে বিভক্ত থাকে। নিচের অংশটির তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। যে অংশ যত উপরে তার তাপমাত্রা তত কম থাকে। ফলে যদি একাধিক তরলের মিশ্রণ কে তাপ দিয়ে বাশীভূত করে আংশিক পাতন কলামের নিচের অংশে প্রবেশ করানো হয় তবে বাষ্পের ধর্ম অনুযায়ী তা কলামের উপরের দিকে উঠবে। যেহেতু উপরের অংশগুলোর তাপমাত্রা কম থাকে তাই তরলের মিশ্রণের প্রত্যেকটি উপাদান তাদের স্ফুটনাঙ্ক অনুযায়ী আংশিক পাতন কলামের বিভিন্ন অংশে পৃথক হয়। পেট্রোলিয়াম বিভিন্ন হাইড্রোকার্বন এর মিশ্রণ।

এদের স্ফুটনাঙ্ক ও বিভিন্ন। আগেই বলা হয়েছে অপরিশোধিত তেল ব্যবহারের উপযুক্ত নয় কিন্তু একে যদি আংশিক পাতনের সাহায্যে পৃথক করা হয় তবে অপরিচিত তেল পেট্রোল গ্যাস পেট্রোলিয়াম ন্যাপসা কেরোসিন ডিজেল প্যারাপেন মোম এবং পিস ইত্যাদি অংশে বিভক্ত হয়। আর এভাবেই পিস পাওয়া যায় যে পিস আমাদের রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পিচ: এই অংশের স্ফুটনাঙ্ক ৩৪০ ডিগ্রি থেকে উচ্চ তাপমাত্রা পর্যন্ত। এই অংশে যে হাইড্রোকার্বন সম্মোহ থাকে তাদের অণুতে কার্বন সংখ্যা ৩০ এর বেশি। এটি রাস্তা তৈরিতে কাজে লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *