আমলাতন্ত্র বলতে বোঝায় অফিস দ্বারা শাসন। আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো নেয়া হয়। একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো আমলাতন্ত্র নির্বাচনের প্রতিনিধিরা গ্রহণ করে থাকে। আপনারা যারা আমলাতন্ত্রের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আপনাদের আজকে এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব। তাছাড়া প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত করে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
আমলাতন্ত্র একটি সার্বজনীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য স্বাধীন শাসন ব্যবস্থা। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলোতে আমলা তান্তের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে আমলাতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। বর্তমানে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতে শাসন ব্যবস্থা গুলো আমলা তন্ত্রের উপরে নির্ভরশীল। সাধারণত আমলা তন্ত্রের মূলসূত্র পাত ঘটেছে সামরিক বাহিনী থেকে। বর্তমানে আমলাতন্ত্রটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রশাসনিক একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। একটি রাষ্ট্রের শাসন কার্য পরিচালনা করার জন্য আমলাতন্ত্রের ভূমিকা অপরিসীম। আমলাতন্ত্র গণ তন্ত্রের সাথে একে অপরের নিবীর সম্পর্ক রয়েছে। গণতন্ত্র আমলাতন্ত্রে বহু কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। প্রশাসনিক শাসন কার্যের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তবে আমলাতন্ত্রদের সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়। আমলাতন্ত্র কতিপয় ত্রুটি বিদ্যমান। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে
মানুষ সামাজিক জীব। বহু প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সমাজ বদ্ধ হিসেবে বসবাস করতে পছন্দ করে। কোন মানুষ একা থাকতে পছন্দ করেনা। সমাজ গতভাবে ও দলবদ্ধ ভাবে থাকতে মানুষ বেশি পছন্দ করে। আর এভাবে বহু প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে রাষ্ট্রের সূচনা ঘটে। নিজের প্রয়োজনে ও একজন আরেকজনের সহযোগিতার কারণে মানুষ বহু প্রাচীনকাল থেকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। কিছু সমাজ নিয়ে একটি নগর গঠিত হয়। আর একটি নগরকে কেন্দ্র করে যে সমাজ ব্যবস্থা শুরু হয় সেটা হল নগর রাষ্ট্র। আর সে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য বেশ কিছু কর্মচারী কর্মকর্তা প্রয়োজন হয় আর এ ধরনের প্রক্রিয়ায় হল আমলাতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য। তা ছাড়া একটি রাষ্ট্রের নাগরিকের জন্য সুখ-শান্তি সুবিধা অসুবিধা এগুলো দেখার জন্য রাষ্ট্রকে অনেক কাজ করতে হয়। আর এই কাজগুলো করার জন্য রাষ্ট্রে আমলা দরকার।
আমলাতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল তাদের পদের বা চাকরির স্থায়িত্ব। বিভিন্ন শর্ত ও নিয়ম মেনে তারা নিযুক্ত হন এবং নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সেই পদে বহাল থাকতে পারেন, এক কথায় আমলাতন্ত্র হল স্থায়ী প্রশাসক মণ্ডলী। তাই আমালাদের দেশ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা চলে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো একটি রাষ্ট্রের সরকার যদি ক্ষমতা থেকে পরিবর্তন হয় তবে আমলা রা কোনভাবে পরিবর্তন হবে না। আমলার সঙ্গে সরকারের পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। কোন ত্রুটির ক্ষেত্রে আমলারা তাদের কাজ থেকে বহিষ্কার হতে পারে। তাহলে চলুন এখন দেখে নেয়া যাক আমলাতন্তের জনক কে। ম্যাক্স ওয়েভারকে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয়। এই গবেষক আমলাতন্ত্রের উপর বহুদিন ধরে গবেষণা করে গিয়েছেন পরবর্তী তাকে এই আমলাতন্ত্রের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
বর্তমান আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতে আমলা ছাড়া কোনভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিটি আধুনিক রাষ্ট্রগুলো আমলাতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। একটি রাষ্ট্র রাজনৈতিক নেতার অভাবে হয়তো যে কোনোভাবে পরিচালিত হয়ে যাবে কিন্তু আমলা ছাড়া একটি দেশ কোনোভাবে পরিচালিত হবে না কারণ দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে এদের ভূমিকা বিশেষ। একটি রাষ্ট্রের জন্য অমলারা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একটি দেশের মূল ভূমিকায় যত রাজনৈতিক দলগুলো থাকুক না কেন সে ক্ষেত্রে আমলারাই একটি দেশ পরিচালনা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আমলাতন্ত্রের জনক কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিন।