বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলোর মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনটি অন্যতম। তাই প্রতিবছর বহু দর্শনার্থী এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটা দর্শন করার জন্য ভ্রমণ করে থাকেন। জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে এবং এই নির্মাণ কাজটি শেষ হয় ১৯৮২ সালের প্রথমের দিকে। তখন থেকেই আইন প্রণয়ন এবং সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনার মূল কেন্দ্র হিসাবে এই ভবন ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সংসদের স্থপতি কে এই প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। আর এ ধরনের গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা লিখে থাকি আপনারা গুগলে এ সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে পারবেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ ভবনটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে একটি হলো মুল প্লাজা দক্ষিণ প্লাজা এবং উন্নতি হল রাষ্ট্রপতি প্লাজা। এই সংসদ ভবনটি প্রতি ব্লক দিয়ে তৈরি তাই নয়টি ব্লক দিয়ে পুরো সংসদ ভবনটি নির্মিত করা হয়েছে। পুরো ভবনটির নকশা এমনভাবে প্রনয়ন করা হয়েছে যাতে সব ব্লক গুলোর সমন্বয়ে একটি ব্লকের অভিন্ন স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যায়। মূল প্লাজার মূল অংশটি হচ্ছে সংসদ অধিবেশন কক্ষ। এখানে একই সময়ে ৩৫৪ জন সদস্যের সংস্থান রাখা হয়েছে। তাছাড়া ভবনটির পুরো আশপাশ জুড়ে প্রচুর পরিমাণে ফুলের গাছ রয়েছে যেটা এই ভবনের কে আরো সুন্দর ও আকর্ষণ করে তুলেছে। এবং ভবনটির আশপাশ জুড়ে কৃত্রিম নেক রয়েছে যেটা অন্যতম একটি বিষয়।
জাতীয় সংসদ ভবনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। আর এই ভবনটি আধুনিক স্থাপত্য নক্সার এক অপূর্ব নিদর্শন। এই ভবনের পরিকল্পনা গৃহীত হয় ১৯৫৯ সালে। এর মূল নকশা অনুমোদিত হয় ১৯৬২ সালে এবং ১৯৬৪ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল ভবনের কোথাও কোন কলাম নেই। কাঠামোর ভারসাম্য ঠিক রাখতে ত্রিকোণাকৃতির ফাকা অংশে কলাম রয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবন সম্পর্কে অনেক ধারণা তথ্য আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দিলাম। এখন জানিয়ে দেবো বাংলাদেশ সংসদের স্থপতি কে। বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই ক্যানের অমর কির্তী এই সংসদ ভবন। তিনি মূলত এই ভবনটির স্থাপতি ছিলেন। অনেকেই অবসর সময় কাটানোর জন্য বিখ্যাত এই নির্দেশনার কাছে যান। অনেকেই বিনোদনের বড় একটি মাধ্যম হিসেবে স্থাপনাটা কে নির্বাচন করে থাকেন।