আমরা জানি গুনিতক হলো নামতা। অর্থাৎ ১,২,৩,৪ এদের গুণিতক হলো ১,২,৩,৪ এর ঘরের নামতা। তাহলে আমরা বলতে পারি “ক” এর গুণিতক সমান ‘ক’ এর সাথে যেকোনো পূর্ণ সংখ্যার গুণফল। ১২ ও ২৪ সংখ্যা দুইটি তিন এবং চার উভয়ের গুণিতক এর মধ্যেই আছে এই কারণে 12 এবং 24 কে তিন ও চার এর সাধারণ গুণিতক বলে। সাধারণ গুণিতকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সংখ্যাকে লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক এবং বা লসাগু বলে। তাহলে আমরা তিন এবং চার এর লসাগু বলতে পারি ১২। আমরা গুণিতক এবং গুণনীয়ক যদি না বুঝি না জানি তাহলে লসাগু এবং গসাগু অংকগুলি করতে পারব না। সে কারণে গুণিতক এবং গুণনীয়ক শেখা আমাদের জন্য খুবই জরুরী বিষয়। তাই আজকে আমরা এখানে দেখব গুননীয়ক কাকে বলে। মানব সভ্যতার শুরুতেই মানুষ তার দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে গিয়ে গণনার প্রয়োজন অনুভব করে।
প্রথম অবস্থা বিভিন্ন প্রতীক সমান আকারের একই প্রকার বস্তু বা কাঠি এবং মাটিতে বা পাথরের দাগ দিয়ে প্রাণী বা বস্তুর হিসাব রাখতো তারা। কিন্তু সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে বেশি সংখ্যক প্রাণীবাদ দ্রব্যের হিসাব রাখার জন্য অন্য ধরনের প্রতীকের প্রয়োজন দেখা দেয়। সেখান থেকে গণনারও জন্ম হয় এবং ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হয় এখনকার ব্যবহৃত সংখ্যা প্রতীকের। পাটি গণিতের মোট দশটি প্রতীক দ্বারা সব সংখ্যায় প্রকাশ করা যায়। এই প্রতীকগুলো হলো এক দুই তিন চার পাঁচ ছয় সাত আট নয় এবং শুন্য। এগুলোকে অংক বলা হয়। আবার এগুলো সংখ্যাও। শূন্য ব্যতীত বাকি সংখ্যা গুলো স্বাভাবিক সংখ্যা। এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অংক এবং শেষের দিকে শূন্য বলা হয়।
সংখ্যা গুলো স্বকীয় বা নিজস্ব মান যথাক্রমে ১২৩৪৫৬৭৮৯ ও শুন্য। নয় অপেক্ষা বড় সব সংখ্যায় দুই বা ততোধিক অংক পাশাপাশি বসিয়ে লেখা হয়। কোন সংখ্যা অংক দ্বারা লেখাকে অংক পাতন বলা হয়ে থাকে। অংক পাতনের দশটি প্রতি কি ব্যবহার করা হয়। দশ ভিত্তিক বলে সংখ্যা বিকাশের রীতিকে দশমিক বা ১০ গুণোত্তর রীতি বলা হয়ে থাকে। এই রীতিতে কয়েকটি অংক পাশাপাশি বসিয়ে সংখ্যা লিখলে এর সর্বাপেক্ষা ডানদিকের অংকটি তার স্বকীয়মান প্রকাশ করে। ডান দিক থেকে দ্বিতীয় অংকটি এর স্বকিয়মানের দশগুণ অর্থাৎ তত দশক প্রকাশ করে। তৃতীয় অংকটি এর দ্বিতীয় স্থানের মানের দশ গুণ বা স্বকিয় মানের শতগুণ অর্থাৎ ততো শতক প্রকাশ করে।
এ রূপে কোন অংক এক স্থান এক স্থান করে বাম দিকে সরে গেলে তার মান উত্তরোত্তর দশ গুণ করে বৃদ্ধি পায়। আজকে আমাদের দেখাতে হবে গুননীয়ক কাকে বলে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে অংক সম্পর্কিত বা গণিত সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সহজ সরল সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করা থাকে তাই আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরটি বা গণিতের উত্তরটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন। আবার যদি মনে করেন প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন তাহলে সেটিও করতে পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর গুলি ডাউনলোডও করে নেওয়া যায়।
আবার প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে এক্সট্রা কোন চার্জ এর প্রয়োজন হয় না। তাহলে চলুন দেখা যাক গুণনীয়ক কাকে বলে?
গুণনীয়ক: একটি সংখ্যা যে সকল সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য হয় সে সকল সংখ্যাকে উক্ত সংখ্যাটির গুণনীয়ক বলা হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে
১২ সংখ্যাটি ১, ২, ৩, ৪, ৬ এবং ১২ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।
সুতরাং ১২-এর গুণনীয়কগুলো হলো: ১, ২, ৩, ৪, ৬ এবং ১২ ।
আবার বলা যায় যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার গুণনীয়কের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয় । আরেকটু ভালো করে বললে বলা যায় যে
“যে সকল সংখ্যা দ্বারা কোনো সংখ্যাকে ভাগ করলে কোনো ভাগশেষ থাকে না সেগুলোকে ওই সংখ্যার গুণনীয়ক বলে”। আমরাগুণণীয় গুলিকে উৎপাদকও বলতে পারি। অর্থাৎ কোনো সংখ্যা যে যে সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য হয় , সেগুলো ঐ সংখ্যার গুণনীয়ক বা উৎপাদক বলে।