সপ্তম শ্রেণীর গণিত সমাধান ডাউনলোড

গণিত সমাধান সপ্তম শ্রেণী। সপ্তম শ্রেণীর গণিত বইয়ের সম্পূর্ণ সমাধান আমাদের এই ওয়েবসাইটে নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা হয়েছে । তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণীর গণিত সমাধান খু্জছো তারা আর দেরি না করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারো। গণিতের যেকোনো স্যারদের কাছে গণিত বুঝতে না পারলে ও আমাদের এই সাইট থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে গণিতের সমাধান বুঝতে পারবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর জন্য যে গণিত বইটি প্রকাশ করা হয়েছে , সেই বইটি রচনা করেছেন ড. অমল হালদার, ড. অমূল্য চন্দ্র মন্ডল, শেখ কুতুব উদ্দিন, এ কে এম শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ শাহাজান সিরাজ। সম্পাদনা করেছেন ড. মোঃ আব্দুল মতিন ডক্টর আব্দুস ছামাদ ডিজাইন করেছেন যাতে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

সপ্তম শ্রেণীর বইটিতে মোট অধ্যায় আছে ১১ টি। প্রথম অধ্যায়ে মূলদ ও অমূলদ সংখ্যা, দ্বিতীয় অধ্যায়ে সমানুপাত ও লাভ ক্ষতি । তৃতীয় অধ্যায়ে আছে পরিমাপ, চতুর্থ অধ্যায়ে বীজগণিতয় রাশির গুন ও ভাগ। পঞ্চম অধ্যায়ে আছে বীজগাণিতীয় সূত্রাবলী ও প্রয়োগ। ষষ্ঠ অধ্যায় এ আছে বীজগণিতীয় ভগ্নাংশ। সপ্তম অধ্যায়ে সরল সমীকরণ, অষ্টম অধ্যায়ে সমান্তরাল সরলরেখা। নবম অধ্যায় ত্রিভুজ সংক্রান্ত, দশম অধ্যায় সর্বসমতা ও সাদৃশ্যতা এবং একাদশ অধ্যায়ে আছে তথ্য ও উপাত্ত।

ষষ্ঠ শ্রেণীতে আমরা স্বাভাবিক সংখ্যা, পূর্ণ সংখ্যা ও ভগ্নাংশ সংখ্যা ধারণা পেয়েছি যা মূলদ সংখ্যা হিসেবে পরিচিত। সপ্তম শ্রেণীর প্রথম অধ্যায়ে এই মূলদ ও অমূলদ সংখ্যা আরেকটু বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে। এরপর আছে সংখ্যার বর্গ নির্ণয় ও বর্গমূল নির্ণয় শিখন পদ্ধতি, বর্গ সংখ্যা বর্গমূল সংখ্যার ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে সমানুপাত এর মাধ্যমে লাভ ও ক্ষতি নির্ণয় করা শেখানো হয়েছে। বহুরাশিক অনুপাত , ধারাবাহিক অনুপাত, সমানুপাত ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয় অধ্যায় বিভিন্ন ধরনের পরিমাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে। এখানে ম্যাট্রিক ও ব্রিটিশ পরিমাপের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ পরিমাপের পদ্ধতিতে, পরিমাপের একক এবং মেট্রিক পদ্ধতিতে পরিমাপের এককের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।এখানে আছে ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র যেমন দাগ কাটা ব্যালেন্স, ডিজিটাল ব্যালেন্স, লিটার দাগ কাটা বোতল লিটারের বোতল ইত্যাদি।

ষষ্ঠ শ্রেণীর বইয়ে বীজ গণিত শুরু হলেও, সেখানে বীজগণিতের সামান্য অংশই অর্থাৎ যোগ ও বিয়োগ দেখানো হলেও বীজগণিতীয় রাশির গুণ ভাগ সম্পর্কে তেমন কোন আলোচনা করা হয়নি। আমাদের সপ্তম শ্রেণীর বইতে বীজগণিতীয় রাশির গুণ ভাগ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে একপদী রাশিকে একপদী রাশি দ্বারা, বহুপদী রাশিকে বহুপদী রাশি দ্বারা গুণ ও ভাগ দেখানো হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়ে আছে বীজগণিতীয় সূত্রাবলী প্রয়োগ এই অধ্যায়ে বীজগণিতীয় বিভিন্ন সূত্রকে প্রতিপাদন করতে পারবে। এরপর আছে বীজগণিতীয় রাশির উৎপাদক।

গুণের বন্টন বিধির সাহায্যে উৎপাদকে বিশ্লেষণ,বীজগণিতীয় বিভিন্ন সূত্র এবং গুনের বিনিময় বিধি সংযোগ বিধি ও বন্টন বিধি ব্যবহার করে বীজগণিতীয় রাশিকে উৎপাদকে বিশ্লেষণ করতে পারা। ষষ্ঠ অধ্যায়ে আছে বীজগণিতীয় ভগ্নাংশের যোগ ,বিয়োগ, গুন, ভাগ এবং সাধারণ হর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ, ভগ্নাংশের লঘুকরণ, সমতুল ভগ্নাংশ , সাধারণ হর বিশিষ্ট ভগ্নাংশে প্রকাশ করার নিয়ম,ইত্যাদি।

সপ্তম অধ্যায়ে সরল সমীকরণ, সমীকরণ প্রক্রিয়ার চিহ্ন, সমীকরণটির অজ্ঞাত রাশি বা চলক ধরা,সমীকরণের মূল বের করা, সমীকরণের বিধি সমূহ যেমন পক্ষান্তর বিধি, আর গুণন বিধি, বর্জনবিধি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায়ে লেখচিত্র,স্থানাঙ্কের ধারণা,বিন্দু পাতন, লেখচিত্রে সমীকরণের সমাধান, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। অষ্টম অধ্যায় এ সমান্তরাল সরলরেখা, জ্যামিতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন চিহ্ন সমূহ ,কোণ চিহ্ন, ত্রিভূজ চিহ্ন , সমান্তরাল চিহ্ন, লম্ব চিহ্ন, ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে।

নবম অধ্যায় এ ত্রিভুজ, ত্রিভুজের মধ্যমা, ত্রিভুজের বহিঃস্থ ও অন্তস্থ কোণ, ত্রিভুজের উচ্চতা, ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল কত এ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। দশমধ্যে ত্রিভুজের সর্বসম্মতা ও সাদৃশ্যকে সম্পর্কে প্রমাণ করা হয়েছে। একাদশ অধ্যায় আলোচনা করা হয়েছে পরিসংখ্যানের তথ্য ও উপাত্ত সম্পর্কে এখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর থেকে একটু বেশি করে অর্থাৎ সারণির মাধ্যমে গড় নির্ণয় এবং আয়তলেখ এর মাধ্যমে মধ্যক এবং প্রচুরক নির্ণয় শেখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *