গণিত ষষ্ঠ শ্রেণী এই বইটির সম্পূর্ণ সমাধান আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা অন্যান্য কোন চার্জ ছাড়াই ডাউনলোড করে নিতে পারবে নির্বিঘ্নেই। তাই নিচে দেওয়া এই বইয়ের সমাধান তোমরা নিচের লিংকে ক্লিক করে সহজেই সমাধান গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারো। তাই আর দেরি না করে দেখি ষষ্ঠ শ্রেণীর গণিত বইয়ের মধ্যে কি কি আছে আর আমরা কোন কোন বিষয়ে সমাধান পেতে পারি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ৬৯/৭০ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ঢাকা ১০০০ কর্তৃক প্রকাশিত বইটির প্রথম প্রকাশ হয় সেপ্টেম্বর ২০১২ পরিমার্জিত সংস্করণ হয় সেপ্টেম্বর ২০১৪ এবং পুনমুদ্রন হয় অক্টোবর ২০২১।
ষষ্ঠ শ্রেণীর গণিত বইয়ের মোট আটটি অধ্যায় আছে। প্রথম অধ্যায়ে আছে স্বাভাবিক সংখ্যা ও ভগ্নাংশ সম্পর্কে ধারনা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে অনুপাত ও শতকরা , তৃতীয় অধ্যায়ে আছে পূর্ণ সংখ্যা। চতুর্থ অধ্যায়ে বীজগাণিতীয় রাশি, পঞ্চম অধ্যায়ে সরল সমীকরণ ,ষষ্ঠ অধ্যায়ে জ্যামিতির মৌলিক ধারণা । সপ্তম অধ্যায়ে ব্যবহারিক জ্যামিতি, অষ্টম অধ্যায়ে তথ্য ও উপাত্ত।
মানব সভ্যতার শুরুতেই মানুষ তার দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে গিয়ে যে গণনার প্রয়োজন অনুভব করেছে সেখান থেকেই স্বাভাবিক সংখ্যা ও ভগ্নাংশ ধারণা আসে , সে সম্পর্কে এই অধ্যায়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে । এই অধ্যায়ে আরও আছে অংক পাতন , কিভাবে দেশীয় সংখ্যা গঠন করা হয় এবং আন্তর্জাতিক রীতিতে সংখ্যা কিভাবে করা হয় বা বলা হয় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পূর্ববর্তী শ্রেণী থেকে শিখে আসা অংকের এলাকা কথায় লেখা অংকে স্থানীয় মান নির্ণয় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। মৌলিক সংখ্যা , যৌগিক সংখ্যা, সহমৌলিক সংখ্যা কি এ সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে।
এই বইটিতে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে ভগ্নাংশের লসাগু এবং গসাগু , ভগ্নাংশের সরলীকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো। দ্বিতীয় অধ্যায়ে অনুপাত সমানুপাত শতকরা সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ অধ্যায় শিক্ষার্থীরা অনুপাত কি তা ব্যাখ্যা করতে পারে। অনুপাত সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারবে ,শতকরা কে সাধারণ ভগ্নাংশে ,ভগ্নাংশকে শতকরায় প্রকাশ করতে পারবে । ঐকিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবে। শতকরা হিসেবের সাহায্যে সময় ও কাজ, সময় ও খাদ্য , সময় ও দূরত্ব বিষয়ক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে।
দ্বিতীয় অধ্যায় থেকেই তারা সরল অনুপাত, লঘু অনুপাত, গুরু অনুপাত, একক অনুপাত, ব্যস্তানুপাত ,মিশ্র অনুপাত ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। ষষ্ঠ শ্রেণীতেই প্রথম বীজগণিতীয় বিষয় ধারণা প্রদান করা হয়েছে। এখানে ধনাত্মক সংখ্যা ঋণাত্মক সংখ্যা বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা রেখা এসব বিষয়ে তাদেরকে ধারণা দেওয়া হয়েছে। পূর্ণ সংখ্যার যোগ বিয়োগ ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায় এসে বীজগণিতীয় রাশি সম্পর্কে বলা হয়েছে প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে। বীজগণিতীয় প্রতীক, চলক, সহগ ও সূচক,প্রক্রিয়া চিহ্ন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এই অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়ে সরল সমীকরণ, সমীকরণ কি, সমীকরণের সমাধানের নিয়ম, সরল সমীকরণের সমাধান ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেওয়া হয়েছে।
জ্যামিতি অংশে স্থান, তল, রেখা ও বিন্দু ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে । রেখা কাকে বলে ? কোণ কাকে বলে? সরল কোণ, সন্নিহিত কোণ, সমকোণ কি, পূরক কোণ, সম্পূরক কোণ, সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ত্রিভুজ, সমবাহু ত্রিভুজ,সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ, বিষমবাহু ত্রিভুজ, সমকোণী ত্রিভুজ, সমকোণী ত্রিভুজ স্থূলকোণী ত্রিভুজ সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ সম্পর্কে সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এই ষষ্ঠ শ্রেণীতেই সপ্তম অধ্যায় ব্যবহারিক জ্যামিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে অর্থাৎ সম্পাদ্য এবং উপপাদ্য আলাদা আলাদা ভাবে শিক্ষার্থীদের ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
এখান থেকে তারা সম্পাদ্য কি কিভাবে ব্যবহারিক জ্যামিতি আঁকতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উপপাদ্য অর্থাৎ জ্যামিতির প্রমাণ কিভাবে করতে হবে সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। পরিশেষে শেষের অধ্যায় অর্থাৎ অষ্টম অধ্যায়ে তথ্য ও উপাত্ত সম্পর্কে বলা হয়েছে। তথ্য কি ,পরিসংখ্যান কি , বিন্যস্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত্ব কি, সারণীর মাধ্যমে এগুলো উপস্থাপন করা, মধ্যক নির্ণয়,গড় নির্ণয় প্রচুরক নির্ণয়, রেখাচিত্র করতে পারা এসব সম্পর্কে তারা বিস্তারিত ধারণা পাবে।