আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্ষমতা শব্দটা অনেক ব্যবহার হয়। সব সময় যে এই শব্দটা ভালো কিছু বোঝানোর জন্য ব্যবহার হয় তা কিন্তু নয়। পদার্থবিজ্ঞানে ক্ষমতা শব্দটা সুনির্দিষ্ট অর্থ আছে। ক্ষমতা হচ্ছে কাজ করার হার। আর এই ক্ষমতার এককই হচ্ছে ওয়াট। আজ আমাদের দেখাতে হবে এক কিলোওয়াট সমান কত ওয়াট হতে পারে। আমরা আগেই জানি যে কাজ করার অর্থ হচ্ছে শক্তির রূপান্তর। শক্তির যেহেতু ধ্বংস নেই, তাই কাজ করার মাঝে দিয়ে শক্তির রূপান্তর করা হয় মাত্র। তাই ইচ্ছে করলে আমরা বলতে পারি ক্ষমতা হচ্ছে শক্তির রূপান্তরের হার। কাজ বা শক্তি যেহেতু স্কেলার তাই ক্ষমতাও স্কেলার।
এই ধরনের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমাদের প্রতিনিয়ত জানতে হয় সেই তথ্যগুলির উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনো ভিজিট করেননি তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকে। আপনারা যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন না কেন আমাদের ওয়েবসাইটে এসে অবশ্যই পেয়ে যাবেন, আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি। তাই আপনার মনে যে কোন প্রশ্নের উদয় হলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এসে অবশ্যই পাবেন আপনার প্রশ্নের উত্তরটি।
আবার যেহেতু শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে তাই সকল শিক্ষার্থীরাই তাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর অন্য কোথাও অর্থাৎ নোট গাইড পাঠ্যপুস্তক বইয়ে যদি না পেয়ে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে খুঁজলে তারা অবশ্যই সেই প্রশ্নের উত্তরটি পেতে পারে। তাই সকল শিক্ষার্থীকে বলা, অবশ্যই তারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে তাহলে তাদের শ্রেণী অনুযায়ী সকল প্রশ্নের উত্তরই তারা আমাদের এখান থেকে পেতে পারে। তাদের যদি কোন প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলেও তারা তা নিতে পারবে। তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি ক্ষমতার একক ১ কিলোওয়াট সমান কত ওয়াট সম্পর্কটি।
আমরা জানি যে শক্তিকে তার একটি রূপ থেকে অন্যরূপে রূপান্তরিত করার বেলায় সব সময় খানিকটা শক্তির অপচয় হয়। কাজেই সবসময়ই আমরা যে পরিমাণ কাজ করতে চাই তার সমপরিমাণ শক্তি দিলে হয় না একটু বেশি শক্তি দিতে হয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করি। নানা ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করি। তার সবসময়ই দেখা যায় সেগুলোতে ঘর্ষণ বা অন্যান্য কারণে শক্তির অপচয় হয়। সেজন্য প্রায় সবসময়ই একটি যন্ত্র বা ইঞ্জিন কতটুকু দক্ষতার সাথে শক্তি ব্যবহার করছে আমাদেরকে তার পরিমাপ করতে হয়। তাহলে আমরা গাণিতিকভাবে বলতে পারি
১ কিলোওয়াট =১০০০ ওয়াট
শক্তি অপচয়ের কথা তোমরা শুনে অবাক হবে যে, একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সময় প্রতিটি ধাপেই শক্তির অপচয় হয় এবং সবগুলো অপচয় হিসেবে নেওয়ার পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মদক্ষতা ৩০% এ নেমে আসতে পারে।
একটি দেশের উন্নয়নের সাথে শক্তির ব্যবহারের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি একটি দেশ কতটুকু উন্নত সেটি বোঝার প্রথম মাপকাঠি হিসেবে শক্তির ব্যবহারকে বিবেচনা করা যেতে পারে। তাই আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের সবার প্রথম শিক্ষার্থীকে নজর দেওয়া উচিত। এই দেশে বিপুল সংখ্যক ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করে। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চালানোর জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়।
তাদের পড়াশোনা করার জন্য রাতে আলোর দরকার হয় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা না হলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই উচ্চশিক্ষার বেলায় ল্যাবরেটরী ব্যবহার করতে হয় কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক কে সচল রাখতে হয় যার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন বিকল্প নেই। আর এই বিদ্যুতি হচ্ছে শক্তির একটি খুবই সহজলভ্য রূপ।
কোন ব্যক্তির জীবনে দৈনন্দিন চলার পথে যদি কোন তথ্য-উপাত্তর প্রয়োজন হয় তাহলে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে খোঁজ করতে পারবে। আর যদি তারা আমাদের এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে থাকে তাহলে সেগুলি ডাউনলোড করে নিজে নিজের কাছে রেখে দিতে পারবে।