গণিত কাকে বলে

আমরা জানি যে গণিত বলতে সাধারণত হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে থাকে। তাই যদি আমাদের প্রথমে গণিতের কথা মনে আসে তাহলে আমরা জানি যে এসব নিকাশের কথাই বলা হচ্ছে। তাই এসব নিকাশ বলতে আমাদের চলে আসে অংকর কথা। আমাদের বাংলা ভাষায় মোট ১০ টি অংক রয়েছে। এই অংকগুলি দিয়েই হবে গণিতের সকল সংখ্যা। এই সংখ্যাগুলি হল- ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮, এবং ৯। তাই গণিতের এই সংখ্যা নিয়ে আমাদের হিসাব নিকাশ করা হয় এই হিসাব নিকাশি হলো গণিত। গ্রিক পন্ডিত অ্যারিস্টোটলের মতে গণিত হল বিজ্ঞানের রানী। আবার জার্মান গণিতবিদ কাল মার্কস এর মতে “গণিত হল সকল বিজ্ঞানের রাণী”। অতএব আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানের যে শাখায় পরিমাণ গঠন স্থান কাল এবং পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়ে যে শাখায় গবেষণা করা হয় তাকেই গণিত বলা হয়ে থাকে।

এবং এসব গবেষণা কাজে যে সকল বিজ্ঞানীগণ নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে গণিতবিদ বলে অভিহিত করা হয়। আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা সময়ই আমরা গণিতের সাথে রয়েছি সেটা জেনেই হোক বা না জানাই হোক। কারণ আমরা সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যতক্ষণ কোনো না কোনো কাজ করে থাকি তার সবসময়ই আমাদের কোনো না কোনো হিসাব করতে হয়। আর এই হিসাবগুলো অবশ্যই আমাদের সংখ্যা নিয়ে খেলা অর্থাৎ কোন নিয়ম মেনেই করতে হয়। এবং এই নিয়মগুলি হলো গণিতের বিষয়। হিসাব নিকাশ অর্থই হলো সেটি সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করার জন্যই আমাদের হিসাব-নিকাশ গুলি করতে হয়।

তাই জীবনকে সুশৃংখলভাবে পরিচালিত করার জন্য আমাদের এই গণিতের নিয়ম গুলি পালন করতে হয়। তাই আমাদের জীবনে গণিত অবশ্যই পান স্বীকার্য একটি বিষয়। এই বিষয়গুলো মেনে নিয়েই অর্থাৎ প্রতিদিনের হিসাব-নিকাশ গুলি করেই আমাদের চলতে হয় বা সারাদিনের কাজকর্ম গুলি চালাতে হয়। জীবন কখনো এলোমেলোভাবে চলতে পারে না। আর এলোমেলোভাবে না চলার কারণেই আসলে সুশৃংখলভাবে চালাতে হয়। আর যদি জীবনকে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত করতে হলেই আমাদের অবশ্যই গণিতের হিসাব নিকাশ করতেই হবে এটাই নিয়ম। গণিতের আরেকটি অন্যতম কাজ হল যে পরিমাণ যোগ্য রাশিবা সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। তাই গণিতের মধ্যে থাকলে সকল কিছুই সুশৃংখলভাবে করে নেওয়া যায়। কারণ গণিত আমাদের সুশৃংখলতা শিখায় হিসাব শেখায়। যেকোনো বিষয় আমাদের করতে হলে অবশ্যই গণিত প্রয়োজন হয়।

তাই প্রত্যেকটা বিষয়ের মধ্যে অবশ্যই গণিত রয়েছে শুধুমাত্র গণিতের কারণেই এই পৃথিবী সুশৃংখল ভাবে চলছে। সুশৃংখল ভাবে চালানোর জন্য আমাদের অবশ্যই নিয়ম-কানুনের প্রয়োজন বা হিসাব নিকাশের প্রয়োজন হয়। আর হিসাব নিকাশ অর্থই হলো গণিত। তাই দেখা যাচ্ছে আমাদের বাস্তব জীবনের বা সাংসারিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণিত প্রয়োজন। আমরা চাই বা না চাই তার ওপর নির্ভর করে না গণিত সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর গণিত ছাড়া সকল ক্ষেত্রেও এলোমেলোভাবে চলবে যেহেতু পৃথিবী সুশৃংখলভাবে চালাতে হয় এবং প্রতিটি কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য অবশ্যই সুশৃঙ্খল নিয়মকানুনের প্রয়োজন হয়।

তাই সুশৃংখল ভাবে চালাতে হলে নিয়ম কানুন করতে হলে অবশ্যই সুখ্য হিসাব নিকাশের প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সুক্ষ হিসাব নিকাশ অবশ্যই করার জন্য আমাদের গণিত প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের মধ্যেই গণিত একান্তভাবে প্রয়োজন কারণ গণিত ছাড়া কোন বিষয় চলতে পারে না। তাই সাংসারিক বা শিক্ষার্থী জীবন বা বাস্তব জগতে গণিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আমাদের গণিতকে জানতে হবে শিখতে হবে। গণিতে আর ভয় করা চলবে না। গণিতকে এখন জয় করে চলতে হবে আগামী দিনের দিনগুলি। তাই গরীব সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ দেখানোর পর এখন আমাদের দেখাতে হবে। চলুন দেখা যাক গণিত কাকে বলে
গণিত: গণিতের নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা দেওয়া যায় না। তারপরেও বলা হয় যে পরিমাণ সংগঠন পরিবর্তন ও স্থান বিষয়ক গবেষণাকে গণিত বলা হয়। গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশি সমূহের মধ্যেকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতকে বিজ্ঞানের ভাষা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *