পূর্ণ সংখ্যা কাকে বলে

গণিতের যাবতীয় সংখ্যা শেখার জন্য যেসব প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাদেরকে অংক বলে। গণিতের মোট ১০ টি অংক রয়েছে। এগুলি হল শূন্য এক দুই তিন চার পাঁচ ছয় সাত আট এবং নয় (০,১,২,৩,৪,৫,৭,৭,৮,৯)। এদের মধ্যে দশটি অংক কে সার্থক অংক বলা হয়। এগুলি হল- ০,১,২,৩,৪,৫,৭,৭,৮ এবং ৯। শূন্যকে আবার সংখ্যার অভাবঞ্জাপক অংক বলা হয়। কোন কোন অংক কে আবার জটিল সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। যেমন: a+ib আকারের সংখ্যাকে জটিল সংখ্যা বলা হয়। যেখানে a ও b যে কোন বাস্তব সংখ্যা এবং i হলো কাল্পনিক সংখ্যার একক। একবার একাধিক সংখ্যার ছোট বড় নির্ণয় করাই হলো সংখ্যার তুলনা করা। ছোট বা বড় সংখ্যা চেনার সহজ উপায় হল একাধিক অঙ্কের একাধিক সংখ্যা থাকলে বেশি অংকের সংখ্যাটি সবচেয়ে বড় এবং কম অংকের সংখ্যাটি সবচেয়ে ছোট বলে বোঝা যায়।

সমান অঙ্কের একাধিক সংখ্যা থাকলে যে সংখ্যার সর্বগুণের স্থানীয় মান বড় সেটি সবচেয়ে বড় এবং সর্ব বামের স্থানীয় মান ছোট হলে সেটি সবচেয়ে ছোট সংখ্যা বলে ধরে নিতে হয়। সমান অঙ্কের একাধিক সংখ্যা থাকলে সেই সংখ্যা সর্বগমের স্থানীয় মান সমান হলে পরবর্তী সংখ্যা থেকে ছোট বড় নির্ণয় করতে হবে। দশমিকের সংখ্যার বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়। তবে দশমিকের অবস্থানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। দশমিকের পূর্বে পূর্ণ ছোট সংখ্যা এবং পূর্ণ অংক ছাড়া দশমিকের পরের বড় অংক থাকলেও দশমিকের পূর্বের পূর্ণ ছোট সংখ্যায় হবে। আমাদের এখানে উল্লেখ করা ছোট বড় সংখ্যা চেনার নিয়ম অনুসরণ করে যে কোন সংখ্যাকে যেকোন ক্রম অনুসারে সাজাতে পারবেন আপনারা। একাধিক সংখ্যাকে একটি বিশেষ ধারাবাহিকতায় সাজানোকে ক্রমমান বলা হয়ে থাকে।

ক্রমমান দুই ধরনের হয়। যথা: উচ্চক্রমমান এবং নিম্নক্রমমান। আবার অন্য দিক থেকে সংখ্যা শ্রেণীবিন্যাস করলে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে সংখ্যা দুই ধরনের। বাস্তব সংখ্যা এবং অবাস্তব সংখ্যা। বাস্তব সংখ্যা আবার দুই ধরনের। মূলদ সংখ্যা ও অমূলদ সংখ্যা। মূলদ সংখ্যা দুই ধরনের পূর্ণ সংখ্যা এবং ভগ্নাংশ সংখ্যা। অমূলদ সংখ্যা একে আবার অসীম অনাবৃত দশমিক সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। পূর্ণ সংখ্যা তিন ধরনের ধনাত্মক, ঋণাত্মক এবং অভাব জ্ঞাপক (০ শূণ্যকে অভাবজ্ঞাপক সংখ্যা বলা হয়)। ধনাত্মক সংখ্যা তিন ধরনের মৌলিক সংখ্যা ১ এবং অমৌলিক সংখ্যা। ১ সংখ্যাটিকে সাধারণ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। ভগ্নাংশ সংখ্যা দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি সাধারণ ভগ্নাংশ অন্যটি দশমিক ভগ্নাংশ।

সাধারণ ভগ্নাংশ দুই প্রকারের একটি প্রকৃত ভগ্নাংশ আরেকটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ। অসুবিধা ভগ্নাংশকে আবার মিশ্র ভগ্নাংশ বলা হয়ে থাকে। দশমিক ভগ্নাংশ দুই ধরনের একটি সসীম দশমিক আরেকটি অসীম আবৃত দশমিক ভগ্নাংশ।
বাস্তব সংখ্যা: সকল মূলদ সংখ্যা এবং অমূলদ সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলা হয়।
অবাস্তব সংখ্যা: ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে অবাস্তব সংখ্যা বলে।
তবে এখানে লক্ষ্য করার বিষয় যে কোন একটি বাস্তব রাশির সাথে অবাস্তবয়স্ক থাকলে তাকে অবাস্তব হাসি বলে এবং কাল্পনিক সংখ্যার একক i.সম্বন্ধে ধারণা দেন গণিতবিদ অয়লাব।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য প্রকাশ করে থাকি। আমাদের প্রকাশিত সকল তথ্যগুলোর অত্যন্ত সঠিক নির্ভুল।

তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং দেখে নিন আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নর গুলি অথবা তথ্য গুলি আপনারা ডাউনলোড করে নিতেও পারবেন। আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তর গুলো ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থ প্রযোজ্য হয় না। তাহলে এখন দেখা যাক পূর্ণ সংখ্যা কাকে বলে?
পূর্ণ সংখ্যা: এক বা একাধিক অংক মিলে সংখ্যা তৈরি হয়। আর শূন্যসহ সকল ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অখন্ড সংখ্যা সমূহকে পূর্ণ সংখ্যা বলা হয়। অর্থাৎ……..-৩,-২,-১,০,১,২…… ইত্যাদিকে পূর্ণ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *