আমাদের শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই অর্থাৎ ক্লাস থ্রি হতে গড় নির্ণয়ের সূত্রের প্রয়োজন পড়ে। তাই গড় নির্ণয়ের সূত্রটিও আমাদের শিক্ষা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে । শুধু শিক্ষা জীবন কেন বাস্তব জীবনেও গড় নির্ণয় এর প্রয়োজন আছে। তাহলে দেখে নেব আজকে গড় নির্ণয়ের সূত্রটি কি। আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা পেতে পারেন জ্যামিতি গণিত বা পরিসংখ্যান বা তথ্য উপাত্ত বিষয়ে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর তাই।
যাদের গণিত জ্যামিতি পরিসংখ্যান ও তথ্য উপাত্ত ইত্যাদি বিষয়ের যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন বাস্তব জীবনের গণিতের বিভিন্ন সূত্রাবলী। আর যারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে চান তাদের জন্য আছে সুযোগ সুবিধা । আমাদের এই সাইটের নিচে ডাউনলোড অপশন দেওয়া থাকবে, সেই অপশনের ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরটি।
বিভিন্ন ধরনের গড় নির্ণয়ের সূত্র থাকে ।একটি আছে অত্যন্ত সহজ অর্থাৎ কিছু সংখ্যা দেওয়া থাকে সেই সংখ্যাগুলোর গড় নির্ণয় করতে হয় । তাহলে এক্ষেত্রে আমাদের যা করতে হবে, প্রথমে যে সংখ্যাগুলি থাকবে সেই সংখ্যাগুলিকে যোগ করে, যতগুলি সংখ্যা আছে তত সংখ্যা দিয়ে সংখ্যাগুলোর যোগফল কে ভাগ করলে এই গড়ের উত্তর পাওয়া যাবে। এছাড়া আর একটু বিশদে গেলে সারণির মাধ্যমে গড় নির্ণয় করতে হয়। সারণির মাধ্যমে গড় নির্ণয়ের সূত্র আবার দুইটি। একটি স্বাভাবিক সারনির মাধ্যমে গড় নির্ণয়। আরেকটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সূত্র। তাহলে আমরা এই দুই ধরনের গড় নির্ণয়ের সূত্রই এখন দেখব। কিভাবে এই দুই ধরনের নিয়মে গড় নির্ণয় করা যায়।
সংখ্যাগুলিকে আগে সারণির মাধ্যমে প্রকাশ করে নিতে হবে এক্ষেত্রে সারণিতে তিনটি ধাপের সাজাতে হবে প্রথমে শ্রেণী ব্যাপ্তি তারপর শ্রেণী ব্যক্তির মধ্যবিন্দু ট্যালি চিহ্ন গণসংখ্যা এবং মধ্যবিন্দু গুণ গণসংখ্যা। এভাবে সাজিয়ে নেওয়ার পর গণসংখ্যা গুলিকে মোট যোগ করতে হবে এবং মধ্যবিন্দু গুণ গণসংখ্যার উত্তরগুলিও যোগ করে নিতে হবে। এখন মধ্যবিন্দু ও গণসংখ্যার যোগফল কে উপাত্ত সংখ্যা বা গণসংখ্যার যোগফল দিয়ে ভাগ করলে নির্ণয়ে গড় পাওয়া যাবে। এরপর আসি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সূত্রের ক্ষেত্রে এখানেও একটি সিরণি তৈরি করতে হবে এবং সারণিতে মোট পাঁচটি কলাম থাকবে। প্রথমটিতে শ্রেণী ব্যাপ্তি দ্বিতীয়টিতে মধ্যবিন্দু ,তৃতীয়টিতে গণসংখ্যা , চতুর্থটিতে ধাপ বিচ্যুতি এবং শেষের টিতে গণসংখ্যা গুন ধাপ বিচ্যুতি। ধাপ বিচ্যুতি 🙁 Xi-a)/h এবং গণসংখ্যা ধাপ বিচ্যুতি =fiui
গড়= xi+fiui/h
তাহলে আমাদের গড় নির্ণয় করতে হলে নিচের কয়েকটি ধাপ গুলি অনুসরণ করতে হবে । 1. শ্রেণী সমূহের মধ্যমা নির্ণয় করা। 2. মধ্যমান সমূহ থেকে সুবিধা জনক কোন মানকে আনুমানিক গড় ধরা 3. প্রত্যেক শ্রেণীর মধ্যমা থেকে আনুমানিক গড় বিয়োগ করে একে শ্রেণীবিভক্তি দ্বারা ভাগ করে ধাপ বিচ্যুতি নির্ণয় করা।4. তাপ বিচ্যুতিকে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর গণসংখ্যা দ্বারা গুণ করা। 5. বিচ্যুতির গড় নির্ণয় করা এবং এর সাথে আনুমানিক গড় যোগ করে কাঙ্খিত গড় নির্ণয় করা। এভাবে আমরা পরিসংখ্যানের গড় নির্ণয় করে নিতে পারি ষষ্ঠ সপ্তম অষ্টম শ্রেণীর গরগুলি প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা যেতে পারে আর নবম দশম শ্রেণীর ঘর গুলি পরবর্তী যে সারণির মাধ্যমে দেখানো হলো সেভাবে নির্ণয় করা যেতে পারে এছাড়াও তোমরা তোমাদের সুবিধামতো যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘর নির্ণয় করে নিতে পারবে।
তাই শুধু কর নির্ণয় নয় যে কোন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য তোমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে পারো এবং এখান থেকে তোমার প্রয়োজনীয় উত্তর নিয়ে তোমাদের শিক্ষাজীবন মানসম্মত ভাবে গড়ে তোল। তাই যে কোন প্রয়োজনে তোমরা আমাদের পাশে থাকবে আমরা তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিয়ে তোমাদেরকে সাহায্য করবো।