তাপমাত্রা কাকে বলে

আমরা সকলেই ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি কি সেটা সকলেই বুঝে থাকি। এই ঠান্ডা বা গরম আসলে তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বুঝায়। আমরা জানি তাপ একপ্রকার শক্তি। তাপ মানুষের জন্য অপরিহার্য একটি শক্তি। কারণ শরীরের তাপমাত্রা যদি ঠিকমত না থাকে তাহলে অবশ্যই বিপদের মুখে পড়তে হবে। আমরা জানি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যদি বেড়ে যায় তাহলে জ্বর আসে এবং কমে গেলে রক্ত জমাট বেঁধে মারা যেতে হবে। তাই আমাদের শরীরের জন্য তাপমাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা কতটুকু গরম বা কতটুকু ঠান্ডা অনুভব করি তা প্রকাশ করা হয় তাপমাত্রা দিয়ে। বেশি তাপমাত্রা স্থান থেকে আমরা কম তাপমাত্রা স্থানে গেলে আমরা ঠান্ডা অনুভব করি। আমরা জানি যে বেশি তাপমাত্রা স্থান থেকে কম তাপমাত্রা স্থানে তাপ তিনটি প্রক্রিয়া সঞ্চালিত হয়।

তাপ দিলে বাতাস সরিয়ে নিলে অর্থাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে বায়ুর চাপ এবং আদ্রতার পরিবর্তন হয়ে থাকে। তখন বিভিন্ন পদার্থ সম্প্রসারিত হয়ে থাকে। তার যে তিনটি পদার্থের সঞ্চালিত হয় সেই তিনটি হল পরিচালন পরিবহন এবং বিকিরণ। আমরা সকলে এটা জানি যে এই মহাবিশ্ব যা কিছু আছে তাকে দুই ভাগে ভাগ করে। এর একটি হল শক্তি অপরটি হলো পদার্থ। তাই পাপ আলোক বিদ্যুৎ এগুলো শক্তির মধ্যে পড়ে। অপরদিকে আমাদের চারপাশে যে বস্তু গুলি দেখতে পাওয়া যায় এগুলি সবই পদার্থ। যাদের ওজন রয়েছে বল প্রয়োগ করলে বাধা সৃষ্টি করে এবং জায়গা দখল করে থাকে তাকে পদার্থ বলা হয়। অর্থাৎ আমাদের চারপাশে চোখের সামনে বিভিন্ন ধরনের যে বস্তুগুলি দেখতে পাই এগুলি সবই জায়গা দখল করে ওজন আছে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে অতএব এগুলি পদার্থ।

আরেক প্রকার রয়েছে যেগুলি আমরা চোখে দেখতে পাই না কিন্তু অনুভব করতে পারি এগুলি হল শক্তি। শক্তিকে আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারি। তাপ এমনই এক ধরনের শক্তি। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে তাপ কে কেবল ত্বক দ্বারা অনুভব করা যায়। আমরা বলতে পারি যে কোন কিছু ঠান্ডা বা গরম তার পেছনে রয়েছে তাপ। তাদের কারণেই কোন কিছু ঠান্ডা বা গরম হতে পারে। তাপের কারণে কোন কিছুকে আমাদের ঠান্ডা বা গরম বোধ করি বস্তু যখন তা গ্রহণ করে তখন গরম হয় আর বস্তু যখন তাৎ বর্জন করে তখন সেটি ঠান্ডা হয়।

আবার আমরা এটা জানি যে তা হল এক ধরনের শক্তি যার কারণে বস্তুকে গরম বা ঠান্ডা লাগে। এবং কতটুকু ঠান্ডা বা কতটুকু গরম লাগে সেটুকু বোঝার জন্য আমরা এর মাত্রা কে ব্যবহার করি। আর এই তাপের মাত্রাই হলো তাপমাত্রা। আমরা কোন কিছু ধরলে বা ত্বকের স্পর্শে কিছুটা বুঝতে পারি কোন বেড়েছে না কমেছে কিন্তু একেবারে সঠিকভাবে পরিমাপ করতে হলে তাপমাত্রা কেও পরিমাপ করা যায়। এই তাপমাত্রা কে মাপার জন্য আমরা থার্মোমিটার ব্যবহার করে থাকি। শিল্প কারখানায় নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয় সে জন্য কলকারখানা থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা মাপা হয়। তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে তরল পদার্থের আয়তন বাড়ে বা কমে এটা আমরা সবাই জানি।

তরল পদার্থের আয়তন কতটুকু পারে বা কতটুকু কমে তা মেপে তাপমাত্রা কতটুকু করে বা কমে গেলে তা বের করা হয় এবং এটি অবশ্যই থার্মোমিটারের পারদের সাহায্যে সে পারদ উঠানামা করে এবং এই পারদের সাহায্যেই তাপমাত্রা মাপা হয়। কোন কিছু পরিমাপের জন্য যেমন একটি নির্দিষ্ট আদর্শ মান নিতে হয় তেমনি আমাদের এই তাপমাত্রা মাপার জন্য একটি স্কেল রয়েছে। দুটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে স্থিরাঙ্গ বলে একটিকে নিম্ন স্থানাংক এবং অন্যটিকে উর্ধ্ব স্থিরাঙ্ক বলা হয়। তাপমাত্রা পরিমাপকে আমরা দুইটি স্কেলে পরিমাপ করতে পারি। একটি সেলসিয়াস স্কেল অপরটি ফারেনহাইট স্কেল দ্বারা।
তাপমাত্রা: তা হল এক ধরনের শক্তি যার কারণে কোনো কিছুকে ঠান্ডা বা গরম লাগে। আবার অন্যদিকে কতটুকু ঠান্ডা বা গরম লাগছে তা প্রকাশ করার মাত্রাকে তাপমাত্রা বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *