সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে

মানুষ সামাজিক জীব। অতি প্রাচীন কাল থেকে মানুষ সমাজ বদ্ধ হয়ে বসবাস করে। সমাজ বিজ্ঞান হলো মানুষের সমাজ বা দলের বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা শাস্ত্র। তাছাড়া আপনারা যারা নবম দশম শ্রেণীর মানবিক বিভাগে ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন তাদের জন্য সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ আপনি পড়াশোনা বিষয়ে যত সামনের দিক ধাপিত হবেন স্কুল শেষ করে কলেজে ও ইউনিভার্সিটি জীবনে পদার্পণ করবেন এই বিষয়টি গুলো সম্পর্কে আপনাকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনারা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য গুগলে বারবার সার্চ করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে দিতে সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। তাহলে দেরি না করে চলুন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

সামাজিক বিজ্ঞানকে জ্ঞানের একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় যার মধ্যে রয়েছে সকল বিষয়ের জ্ঞান ও তথ্য। মধ্যযুগীয় ইসলামি সভ্যতায় সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে বেশ উল্লেখ যোগ্য অবদান পাওয়া যায়। সাধারণত সমাজ বিজ্ঞান একটি সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞান। সমাজে বসবাস রত ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির, গোষ্ঠির সাথে গোষ্ঠির, গোষ্ঠির সাথে প্রতিষ্ঠানে মধ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে সমাজ বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান সমাজে বসবাসরত ব্যক্তিদের সামাজিক আচরণ ও সম্পর্ক নিয়ে বিজ্ঞান ভিক্তিক আলোচনা করে থাকে। সমাজ বিজ্ঞানের এই ধারা পর্যায় ক্রমে যুগের পর যুগ চলে আসছে। সমাজ বিজ্ঞান একটি বৃহত্তর জ্ঞানের শাখা যেখান থেকে আপনি সব ধরনের নৈতিক জ্ঞান পেতে পারেন। প্রত্যেকটি মানুষের সমাজ বিজ্ঞানের জ্ঞানটা থাকা জরুরী।

সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বিজ্ঞানী অনেক গবেষণা করে গিয়েছেন। তারা এই বিজ্ঞান সম্পর্কে নানা ধরনের উক্তি দিয়ে গিয়েছেন। সামাজিক বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানকে আধুনিক দৃষ্টিতে দেখেন এবং সমাজকে বোঝার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাছাড়া অনেক সমাজ বিজ্ঞানী এই বিজ্ঞানের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখে ছেন সমাজ বিজ্ঞান হল মানব সমাজের একটি বস্তুনিষ্ঠ যুক্তিসিদ্ধ বিচার ও নিয়ম ভিত্তিক চর্চা। এ ক্ষেত্রে সমাজ বিজ্ঞানীদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণা থেকে বোঝা যায়।প্রতিষ্ঠার বদলে সামাজিক সমালোচনা বা প্রতীকী মূলক সমাজ বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দেন। মানুষ বর্তমানে সামাজিক গবেষণার লক্ষ্য ও পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন যা সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

মানুষ সামাজিক জীব। জন্মগত ভাবে মানুষ সমাজবদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকতে পছন্দ করে। কোন মানুষেরই একা বেঁচে থাকাটা সম্ভব নয়। আর আমাদের চারপাশে যা কিছু রয়েছে সেটা হল সমাজ। আর এই সমাজ নিয়ে যারা বিভিন্ন ধরনের উক্তি ও গবেষণা করে দিয়েছেন বিশেষ জ্ঞান দান করে দিয়েছেন সেই সমষ্টি গতকে সমাজবিজ্ঞান ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। সমাজ বিজ্ঞান মূলত মানুষের জীবনের সামাজিক দিক এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এক জন ফরাসি দার্শনিক সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা চালায়। এই ফরাসি বিজ্ঞানীটি ১৮৩৮ সালের সর্বপ্রথম সমাজ বিজ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করেন। আর তিনি হলেন বিখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী অগাস্ট কোঁৎ। আর এই বিজ্ঞানী কে সর্বপ্রথম সমাজ বিজ্ঞানের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

যুগের সাথে সাথে যেমন সবকিছুর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তেমনি সমাজ ও সমাজের মানুষের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর সমাজ পরিবর্তন হলে সে ক্ষেত্রে সমাজ বিজ্ঞানের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তাই সমাজবিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানের মূল স্থপতি হিসেবে ফরাসি পন্ডিত এমিল ডুখেইম ও জার্মানি সমাজ বিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার বিশেষ আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সমাজবিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ যুগের পর যুগ সমাজের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তাই এ বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের প্রাথমিক ধারণা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি যেহেতু মানুষ সমাজবদ্ধ হিসেবে বসবাস করে

আপনারা যারা সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা প্রদান করলাম। আপনাদের জন্য এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *