Language কাকে বলে

ইংরেজি language এর বাংলা পরিভাষা হলো ভাষা। তাই language বলতে বাংলাতে ভাষায় বোঝায়। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের language বা ভাষার রয়েছে। পৃথিবীতে প্রায় আড়াই হাজার ভাষাভাষীর তে মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। ভাষা বা language এর উৎপত্তি বা উন্মেষ ও বিকাশ সুপ্রাসীন ইতিহাস এখনো রহস্যাবৃত্ত বলেই মনে করা হয়। তবে প্রায় পাঁচ লক্ষ বছর আগে মানুষ তার জীবনচারে সুশৃংখল ভাষার বা language ব্যবহার করতে বলে মনে করা হয়। আদিম পর্বে ভাষার বা ল্যাঙ্গুয়েজ এর উৎপত্তি বা তার বিবর্তনের স্বরূপ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও আধুনিক কালে language এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণাই মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে যা ভাষার উৎপত্তির মতবাদ হিসেবেই স্বীকৃতি লাভ করেছে ।

এই মতবাদগুলো সম্পর্কে আমরা নিচে সংক্ষিপ্তভাবে পরিচয় প্রদান করতে পারি। অর্থাৎ এই language বা ভাষার উৎপত্তির মতবাদগুলো সংক্ষিপ্তভাবে পরিচয় দেওয়া হলো-
Contact মতবাদ: মানুষ পরস্পর মেলামেশা ভাবের আদান-প্রদান ও প্রয়োজন প্রচেষ্টা দ্বারা ভাষার যে উৎপত্তি ঘটায় তা Contact মতবাদ নামে অভিহিত।
Gesture মতবাদ: অঙ্গভঙ্গি ও ইশারা দ্বারা মানুষ প্রথমে ভাব বিনিময়ের কাজ শুরু করে। পরবর্তীকালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় বাকযন্ত্রের উৎপাদিত ধ্বনি। এ ধ্বনি থেকে জন্ম নেয় পূর্ণাঙ্গ ভাষা। এর মতবাদ Gesture মতবাদ নামে পরিচিত।
Bow-Bow মতবাদ: ধারণা করা হয় যে প্রকৃতির বিভিন্ন আওয়াজকে অনুকরণ করতে গিয়ে আদিমকালে মানুষ বাগযন্ত্রের সাহায্যে শব্দ উচ্চারণ করত। যেমন তখন তারা বলতো পাখির কুহু কুহু ডাক, নদীর কলধ্বনি ইত্যাদি।

এটি Bow-Bow মতবাদ হিসেবে স্বীকৃত।
language এর প্রামাণ্য সংরাত্র এখন দেওয়া যেতে পারে-
Barnad Block & Gorge L. Trager বলেছেন ” A language is a system of arbitrary vocal symbol by means of which a social group co- operates”
আবার Karol বলেন যে- ” A language is a structural system of arbitrary vocal sound and sequences of sound which in interpersonal communication by an aggregation of human beings and which rather exhaustively catalong the things events and processes in the human environment”
তাই এখানে আমরা দেখলাম ভাষা বা ল্যাঙ্গুয়েজ এর সৃষ্টি জন্য মানুষ যেসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে সেগুলো হল মুখ জীভ দাঁত মাড়ি তালু ইত্যাদি।

এই প্রত্যঙ্গ গুলোর সাহায্যে মানুষ কথা বলতে পারে। তাই এদের বাক প্রত্যঙ্গ বলা হয়। বাক শব্দের অর্থ কথা। বাক প্রত্যঙ্গ অর্থ হলো কথা বলার যন্ত্র। বাক-প্রত্যঙ্গের অন্য নাম বাগযন্ত্র। অতএব বাক যন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট ও উচ্চারিত যেসব অর্থবোধক ধনী বা ধনী সমষ্টির দ্বারা মানুষ তার নিজের মনের ভাব অন্যের কাছে ব্যক্ত করে এবং যা একটি নির্দিষ্ট ভাষাভাষী অঞ্চলের মানুষের মনের ভাব প্রকাশের সহায়তা করে তাকে ইংরেজিতে language বা বাংলাতে ভাষা বলা হয়। তাই আমরা দেখলাম ভাষা কিভাবে মানুষকে সাহায্য করে চলেছে। অর্থাৎ একে অন্যের শহীদ ভাব বিনিময় করার জন্য ভাষার প্রয়োজন রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা বিভিন্ন রকম হওয়া সত্বেও মানুষ একে অন্যের শহীদ আন্তর্জাতিকভাবেও ভাষার মাধ্যমে তার সবকিছু প্রকাশ করতে পারে নির্দ্বিধায়। আন্তর্জাতিকভাবে সকলের সাথে কথা বলার জন্য আন্তর্জাতিক ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষা রয়েছে।

সেই ল্যাঙ্গুয়েজে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। তাই ভাষা মানুষের সভ্যতার বিকাশে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এজন্য সভ্যতার বিকাশের ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন ভাষাভাবের বাহন বলা হয় বলা হয় যোগাযোগের মাধ্যম এবং অর্থপূর্ণ ধ্বনি সমষ্টি দ্বারা সকলের সাথে যোগাযোগ করা যায় এগুলি হচ্ছে ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। তারপরেও এখন আমরা দেখতে পারি ল্যাংগুয়েজ কাকে বলে?
Language: মানুষের কন্ঠনিসৃত বাক সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলে । যেমন : বাংলা , ইংরেজি , হিন্দি , আরবি , ফারসি , উর্দু , ইত্যাদি ।
English Language : ইংরেজিতে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষ যেসব ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টি উচ্চারণ করে তাকে English Language বা ইংরেজি ভাষা বলে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *