আধুনিক দর্শনের জনক কে

জীবন ও জগতের মৌলিক সমস্যা গুলো যৌক্তিক অনুসন্ধান করাই হলো দর্শনের এর মূল কাজ। মূলত দর্শন এমন একটি বিষয় জীব জগতের সকল মৌলিক প্রশ্নগুলো বিচার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে থাকে। তাই জ্ঞানের এমন কোন শাখা নাই যে দর্শন জ্ঞানের আওতার বাইরে। আর দর্শনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ফিলোসফি। অতি প্রাচীনকাল থেকে দর্শন বিজ্ঞানের উৎপত্তি ঘটেছে। তবে যুগের সাথে সাথে যেমন সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে তেমনি দর্শন বিজ্ঞানের পরিবর্তন ঘটেছে। আর তাই আধুনিক দর্শন হলো দর্শনের একটি শাখা। আর এই আধুনিক দর্শনটি বিকশিত হয়েছে এই আধুনিক যুগেই। তাই আমাদের অনেকেরই জানার ইচ্ছে আধুনিক দর্শনের জনক কে। আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তরটি জানার জন্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো। আর এই ধরনের বিষয় গুলো জানতে নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব সাইটে।

দর্শনের অন্যতম একটি শাখা হলো আধুনিক দর্শন। আর এই আধুনিক দর্শনের বিকাশ ঘটেছে আধুনিক যুগেই।প্রতিনিয়ত সবকিছু পরিবর্তনশীল তাই আগের দর্শন বিদদের সাথে আধুনিক যুগের দর্শনবিদদের মতামত সম্পূর্ণ আলাদা। আধুনিক দর্শনের কিছু আধুনিক মতবাদ রয়েছে এই মতবাদ গুলি কখনোই আধুনিকতার সাথে মিলানো উচিত হবে না। এই মতবাদ গুলি আগের আমলের দর্শন থেকে কিছুটা আলাদা। বহু প্রাচীনকাল থেকে দর্শন বিদ্যার উন্মোচন হয়েছে।

গুহাবাসী মানুষের সময় থেকে দর্শনের উৎপত্তি হয়েছে বলে দার্শনিক বিদরা জানিয়েছেন। এ থেকে বুঝতে পারি আমরা বহু প্রাচীনকাল থেকেই দর্শনবিদ্যা চলে আসছে। পৃথিবীর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ তাদের জ্ঞানের কারণে সৃষ্টির সেরা জীব। প্রাচীনকাল থেকে নানা ধরনের জ্ঞান দ্বারা বুদ্ধি দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করেছে মানুষ আর সেখান থেকেই দার্শনিক বিকাশ গুলো পর্যায়ক্রমে চলে আসছে।

মানুষ তাদের নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদেই দার্শনিক হয়ে উঠেছিল। যখনই তারা কোন ধরনের সমস্যায় পরেছেন তখন দার্শনিক চিন্তাধারা দিয়ে সেই সমস্যা গুলোকে প্রতিনিয়ত সমাধান করেছে। কালক্রমে প্রতিনিয়ত মানুষের চিন্তাধারা ও বুদ্ধি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তারই ফলে দার্শনিক মত বাদগুলো পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পুরাতন মতবাদ দর্শন জ্ঞানকে ঝেড়ে ফেলে আধুনিক বৈজ্ঞানিক মতবাদ দর্শন গুলো মানুষ প্রতিনিয়ত চর্চা করছে। আর তার জন্য আমাদের দেখতে হবে আধুনিক দর্শনের জনক কে। রেনে ডেকার্ট আধুনিক দর্শনের জনক। সপ্তদশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর অগ্রভাগকে আধুনিক দর্শনের সময়কাল বলে ধারণা করা হয়। বিখ্যাত এই দর্শনবিদ দীর্ঘদিন ধরে আধুনিক সব তথ্য দিয়ে আধুনিক দর্শনে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে দর্শন বিদ্যায় আধুনিক দর্শনের জনক হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *