পরিবেশ কাকে বলে

আসলে আমরা যে এলাকায় বাস করি বা যেখানে বাস করি সেখানকার সকল কিছু মিলেই পরিবেশ। পরিবেশ আসলে বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক পরিবেশ সামাজিক পরিবেশ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রাকৃতিক থেকে যে পরিবেশ গঠিত হয় সেটি প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়ে থাকে। যেমন একটি বনের পরিবেশ। আমাদের দেশে সুন্দরবনে প্রাকৃতিকভাবেই গাছপালা বন জঙ্গল ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। এবং প্রাকৃতিকভাবে এই বন জঙ্গল গড়ে ওঠা কারণ হলো বঙ্গোপসাগর। বঙ্গোপসাগরের লোনা জলের কারণে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ গুলি সে অঞ্চলে গঠিত হয়েছে।

সে কারণেই সুন্দরবন অঞ্চলে যেসব উদ্ভিদ দেখা যায় অন্য অঞ্চলে সেই উদ্ভিদগুলো দেখতে পাওয়া যায় না। এটি অবশ্যই প্রাকৃতিক কারণ। আবার হাওর বাওর নদী এলাকায় যে সকল পরিবেশ গড়ে ওঠে সেগুলোও প্রাকৃতিক পরিবেশে মধ্যেই পড়ে। নদীর তীরবর্তী অঞ্চল প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে ওঠে। যদিও সেখানে কিছু কৃত্রিমতার ছোঁয়া থাকে তার পরেও প্রাকৃতিক কারণে ই ওই এলাকার পরিবেশ গঠিত হয়। তেমনি ভাবে আবার বলা যায় কৃত্রিম পরিবেশের কথা।

কৃত্রিম পরিবেশ: মানুষ দ্বারা সৃষ্ট বা মানব সৃষ্ট পরিবেশকেই কৃত্রিম পরিবেশ বলা হয়ে থাকে। হঠাৎ এই পরিবেশটি মানুষ কৃত্রিমভাবে তৈরি করে থাকে। যেমন একটি বনে বিভিন্ন ধরনের বন্য পশু পাখি থাকে। আবার একটি চিড়িয়াখানার মধ্যেও সেই ধরনেরই বন্য পশু পাখি সবই আছে। তারপরেও বনের পরিবেশটি প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং চিড়িয়াখানার পরিবেশটি কৃত্রিম পরিবেশ। আবার একটি শহরে তৈরি করা খাল পুকুর কৃত্রিম ঘরবাড়ি ইট,কাঠ, পাথর দিয়ে অনেক সুন্দর তৈরি করা বা সৌন্দর্য বর্ধিত করা ইত্যাদি সবই কৃত্রিম পরিবেশের মধ্যে পড়ে।

কৃত্রিম পরিবেশে সবকিছুই মানুষের তৈরি হয়ে থাকে ঘর বাড়ি অকৃত্রিম সূর্য কৃত্রিম লাইটিং মানুষের তৈরি সবকিছুই। চন্দ্র সূর্য পাহাড় নদী নালা খাল বিল ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিবেশের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়। রাস্তাঘাট বড় বড় বিল্ডিং অর্থাৎ কৃত্রিমভাবে যে সকল বস্তু তৈরি হয় সেগুলির সবই কৃত্রিম পরিবেশের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়। তবে বর্তমান এই পৃথিবীতে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে। আমাদের দেশের রাজধানী শহর ঢাকা শহর প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে দূষিত হয়ে চলেছে।

এটি পরিবেশের জন্য যেমন হুমকি তেমনি পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এই পরিবেশ কিভাবে সুন্দর সুস্থ রাখা যায়। পরিবেশ যদি সুস্থ রাখা না যায় তাহলে আমরা অবশ্যই বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগে রোগাক্রান্ত হব। তাই আমরা যত্রতত্র বিভিন্ন ভাবে দহনগুলি বন্ধ করতে হবে। শব্দ দূষণ বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ যে সকল দূষণ আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি সেগুলি অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই পরিবেশ দূষণ আসলে কোন ব্যক্তির জন্য হুমকি স্বরূপ নয় আমাদের সবার জন্যই একই অবস্থা হবে। অর্থাৎ যত্র তত্র ইটভাটা গুলি তৈরি করব না গাড়ির কালো ধোঁয়া যাতে বের হওয়ার পূর্বে শোধন হয়ে বের হয় এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ যেখানে সেখানে না ফেলে অর্থাৎ নদী -নালা, খাল- বিলে, ইত্যাদি তে প্রবাহিত হতে না দিলে অনেকটা পরিবেশ দূষণের কবল থেকে আমরা মুক্ত হব বলে আশা করি। আজকে আমাদের দেখাতে হবে পরিবেশ কাকে বলে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন অবশ্যই কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হয় এমন সকল তথ্য আমরা অত্যন্ত সহজ সরল সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাহলে চলুন দেখা যাক পরিবেশ কাকে বলে?

পরিবেশ: আমাদের চারপাশে যে সকল জিনিস রয়েছে অর্থাৎ নদী নালা গাছপালা ঘরবাড়ি ইত্যাদিকে পরিবেশ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ পরিবেশ হলো এমন একটি জিনিস যা আমাদের পারিপার্শ্বিকতা তৈরি করে এবং পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে স্থায়িত্ব প্রদান করে। অর্থাৎ আমাদের চারপাশের গাছপালা জীবজন্তু মাটি পানি বায়ু চন্দ্র সূর্য পাহাড় পর্বত সবকিছুই পরিবেশের অন্তর্গত হয়ে থাকে। পরিবেশ আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। তাই আমাদের উচিত হবে এই পরিবেশ যাতে কোনভাবেই দূষিত না হয়। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই আমাদের এই পরিবেশকে দূষিত হতে দিতে হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *