যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে? যৌগিক সংখ্যা গুলি কি কি

পাটিগণিতে দশটি প্রতীক বা অংক দ্বারা সব সংখ্যাই লেখা যায়। এই সংখ্যাগুলি হলো ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯, এবং ০। এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অংক বলা হয়। শেষের অংকটিকে অর্থাৎ শূন্যকে অভাব জ্ঞাপক অংক বলা হয়ে থাকে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন রকম সংখ্যার নিয়ে কাজ করতে হয়। এই সংখ্যাগুলি আমাদের জীবনের সাথে বর্তমানে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সংখ্যা বা অংক একই অর্থে ব্যবহৃত হয় আমাদের কাছে। তবে সংখ্যা এবং অংক আলাদা আলাদা বিষয়। গণিতের যাবতীয় সংখ্যা শেখার জন্য যেসব প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকেই অংক বলে। আমাদের গণিতে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। এবং সেই সংখ্যাগুলি কেউ নানাভাবে বিভক্ত করা হয়েছে।

আমরা এখন এই বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা কি কাকে বলে এগুলো দেখে নিতে পারি। এই বিভিন্ন রকম সংখ্যাগুলির মধ্যে আমরা দেখতে পাই যে পূর্ণ সংখ্যা ভগ্নাংশ সংখ্যা মূলদ সংখ্যা অমূলদ সংখ্যা দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা সসীম দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা অসীম দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা বাস্তব সংখ্যা ধনাত্মক সংখ্যা ঋণাত্মক সংখ্যা অরিনাত্মক সংখ্যা ইত্যাদি সংখ্যার প্রকারভেদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমরা দেখেছি যে সংখ্যার ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই প্রাচীন। পরিমাণকে প্রতীক দিয়ে সংখ্যা আকারে প্রকাশ করার জন্য মনে করা হয় যে পদ্ধতির উদ্ভাবন করা হয় সেটি হচ্ছে গণিতের উৎপত্তি বলে মনে করা যায়। তবে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের মতে প্রাচীন মিশরের পুরোহিতগন বা পুরোহিত সম্প্রদায়ের অনুশীলনের মাধ্যমে গণিতের আনুষ্ঠানিক অভিষেক ঘটে। প্রাচীন মানুষেরা যখন তারা একসাথে দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করত সেই সময় তাদের পশু গাছপালা ইত্যাদি হিসাব রাখার জন্য কিছু প্রতিজ্ঞা চীনের ব্যবহার করত। এবং এই প্রতীক এবং চিহ্ন গুলি সংখ্যার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়ে থাকে।

তাই সংখ্যার ইতিহাস ঘাট ঘাটতে গেলে দেখা যায় যে মানব সভ্যতা যখন থেকে শুরু হয়েছে সংখ্যার ব্যবহার তখন থেকেই উৎপত্তি হয়েছে। তবে বর্তমানের আধুনিক এই সংখ্যাকে আরো বিচার বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন প্রকারের সংখ্যার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম শূন্য এবং দশমিকের ব্যবহার শুরু করেন আমাদের এই ভারতীয় গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট। আর্য ভট্ট কে আবার পাটিগণিতের জনক বলা হয়ে থাকে। তাই আমরা দেখতে পাই অর্থাৎ আর্য ভট্টের জন্মর বা মৃত্যুর হিসাব সাল থেকে দেখতে পাই যে বহু প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে বা আমাদের এই উপমহাদেশে গণিত বা সংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তাই আমরা সংখ্যার প্রকারভেদ থেকে দেখতে পেলাম যে সংখ্যা প্রথমে বাস্তব সংখ্যা। বাস্তব সংখ্যা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে একটা মূলদ সংখ্যা এবং অপরটি অমূলদ সংখ্যা হিসেবে। এরপর আবার মূলদ সংখ্যাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে একটি পূর্ণ সংখ্যা এবং অপরটি ভগ্নাংশ সংখ্যা হিসেবে।

পূর্ণ সংখ্যাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে ধনাত্মক সংখ্যা ০ এবং ঋণাত্মক সংখ্যা। ওদিকে আবার ভগ্নাংশ সংখ্যাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে একটি সাধারণ ভগ্নাংশ অপরটি দশমিক ভগ্নাংশ। ধনাত্মক সংখ্যা দুই ধরনের একটি মৌলিক সংখ্যা অপরটি যৌগিক সংখ্যা। আজকে আমাদের দেখাতে হবে, যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে। তবে তার আগে আমরা দেখে নিতে পারি সংখ্যা কাকে বলে।
সংখ্যা: একবার একাধিক অংক মিলে সংখ্যা তৈরি হয় যেমন ১ ও ০ মিলে ১০ সংখ্যাটি তৈরি হয়েছে।
তাহলে আমরা এখন দেখে নিতে পারি যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে?
যৌগিক সংখ্যা: যে সংখ্যাটি গুণনীয় ক এক এবং পরিসংখ্যা ব্যতীত আরো অন্য কোন সংখ্যা থাকে তবে তাকে যৌগিক সংখ্যা বলা হয়। তবে আরো অন্যভাবে বললে বলা যায় যে কোন সংখ্যাটির গুণনীয়ক ১ থাকবে এবং ওই সংখ্যা থাকবে এ বাদেও আরো অন্য একাধিক বা একটি গুণনীয়ক থাকলে সেই সংখ্যাটিকে যৌগিক সংখ্যা বলা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *