গণিত বিষয়টি আমাদের শিক্ষার্থীর জন্য অনেকটা কঠিন সাবজেক্ট বলে তারা মনে করে থাকে। সেই কারণে সকল শিক্ষার্থী প্রায় বা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গণিত বিষয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এর একটা কারণ হলো তাদের প্রথম থেকেই গণিত বিষয়টি অনেক কঠিন মনে করে সে বিষয়ে করতে চায় না। আর এ কারণেই আস্তে আস্তে প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গণিতে দুর্বল হতে থাকে। তবে গণিতকে আমরা যতটা কঠিন মনে করি আসলে ততটা কঠিনও এই বিষয়টি নয়। শুধুমাত্র আমরা অনেক বিষয়টি নিয়ে কম ভাবি এবং কম করে থাকি এই কারণেই সকলের কাছে মনে হয় যে গণিত বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন তাই এ বিষয়টি বেশি পড়া যাবে না। কিন্তু আমার মনে হয় যে যে বিষয়টি বেশি কঠিন সে বিষয়টিকে সহজ করার জন্য আরও বেশি ভাবে বোধগম্য করার জন্য সে বিষয়টি নিয়ে একটু বেশি চিন্তাভাবনা করতে হয়।
কিন্তু বাস্তবে দেখি আমাদের শিক্ষার্থীরা গণিতে অনেক পিছিয়ে থাকে কারণ একটাই তারা বেশি করে গণিত করতে চায় না বলেই। গণিতের শুরু হয় যোগ অংক দিয়ে এরপর বিয়োগ গুণ ভাগ আস্তে আস্তে এ সমস্ত নিয়মে তাদের করতে হয়। তবে প্রথম থেকে যদি একজন শিক্ষার্থী গণিত বিষয়টি ভালোভাবে বোধগম্য করে তোলে তাহলে তার কাছে আর সে বিষয়টি এত কঠিন মনে হওয়ার কোনই কারণ নেই। যোগ অংক শিখা হয়ে গেলে আমরা বিয়োগ অংকের দিকে দেখতে থাকি তারপর বিয়োগ অংক যদি শিখতে পারি তাহলে গুন এবং ভাগ অঙ্কর দিকে আমরা যাই। এভাবে আস্তে আস্তে গণিত আমরা করতে থাকি। এরপর এগুলো সামান্যভাবে শেখা হয়ে গেলেই আমরা চলে আসি ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ এগুলি করার জন্য। ভগ্নাংশ শব্দের অর্থ ভাঙ্গা অংশ।
তবে যে সকল শিক্ষার্থীরা এমনি অর্থাৎ সাধারণ যোগ বিয়োগ করতে পারে তাদের কাছে ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ তেমন কঠিন মনে হবে না। সাধারণ ভগ্নাংশের মতোই ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ গুলি করতে হয়। তবে ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ গুলি করতে হলে আমাদের ঘরের লসাগু করে লসাগুকে হাত দিয়ে ভাগ করে এবং ভাগফলের সাথে লব গুণ করে লিখতে হয় এভাবে প্রত্যেকটি করা হয়ে গেলে যোগ অথবা বিয়োগ করে উপরের গুলি উপরে এবং নিজের হাতটি অর্থাৎ লসাগুতি লিখে দিলেই ভগ্নাংশে যোগ বিয়োগ হয়ে গেল। অনেক ধরনের ভগ্নাংশ হয়ে থাকে। তবে ভগ্নাংশ সাধারণত দুই প্রকার একটি হচ্ছে সাধারণ ভগ্নাংশ অপরটি দশমিক ভগ্নাংশ। সাধারণ ভগ্নাংশ আবার দুই প্রকার একটি প্রকৃত ভগ্নাংশ অপরটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ।
অপ্রকৃত ভগ্নাংশকে কখনো কখনো মিশ্র ভগ্নাংশ বলা হয়ে থাকে। তবে আজকে আমাদের দেখাতে হবে সমতুল ভগ্নাংশ কাকে বলে। সমতল শব্দের অর্থ একই সমান। অর্থাৎ যে ভগ্নাংশটি দেওয়া থাকবে সেটির সমতুল্য আরো অনেক ভগ্নাংশ হতে পারে। এই একই মানের ভগ্নাংশগুলিকে আমরা সমতল ভগ্নাংশ বলে থাকি। এখন আমরা দুই একটি উদাহরণ হিসেবে দেখাতে পারি সমতুল ভগ্নাংশ কি এবং কাকে বলে। যেমন ধরা যাক ১/২ একটি ভগ্নাংশ। এরকম আরো কয়েকটি আমরা ভগ্নাংশ লিখতে পারি। ২/৪, ৩/৬, ৪/৮ এখানে আমরা যে সমস্ত ভগ্নাংশগুলি লিখেছি সকল ভগ্নাংশের মান আসলে একই সমান। তাই এ সকল ভগ্নাংশটিকে প্রথম ভগ্নাংশ টির সমতুল ভগ্নাংশ বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও আমরা ভগ্নাংশগুলি সমতল কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য আরেকটি নিয়মে দেখতে পারি।
সেটি হল- ১/২,৩/৬ এখানে ২×৩=৬ এবং ১×৬=৬ তাহলে বলা যায় ১/২ ও ৩/৬ উভয় সমতল ভগ্নাংশ। তাই আমরা এখানে সমতুল ভগ্নাংশ কিভাবে নির্ণয় করা যায় সমতুল ভগ্নাংশ কি ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হলো। তাহলে চলুন দেখা যাক সমতুল ভগ্নাংশ কাকে বলে? সমতল ভগ্নাংশ:দুই বা ততোধিক ভগ্নাংশের মান সমান হলে তাকে সমতুল ভগ্নাংশ বলে।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন অবশ্যই কারণ আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি।