মিশ্র ভগ্নাংশ কাকে বলে

আমরা জানি বাস্তব সংখ্যা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। বাস্তব সংখ্যাকে প্রথমে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় একটি মূলদ সংখ্যা অপরটি অমূলদ সংখ্যা। আমরা মূলদ সংখ্যাকে আবার দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারি একটি পূর্ণ সংখ্যা অপরটি ভগ্নাংশ সংখ্যা। আবার অমূলদ সংখ্যা শুধু অমূলদ সংখ্যায় হয় এখানে ভাগ করা যায় না অর্থাৎ এটাকে অসীম অনাবৃত দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা বলা হয়। আমরা পূর্ণ ভগ্নাংশকে আবার তিন ভাগে ভাগ করতে পারি একটি ধনাত্মক সংখ্যা ঋণাত্মক সংখ্যা এবং শুন্য এই তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। পরবর্তীতে যদি ভগ্নাংশের দিকে দেখি তাহলে ভগ্নাংশ সংখ্যাও সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত হয়। যার একদিকে বলা হয় সাধারণ ভগ্নাংশ অপরটি দশমিক ভগ্নাংশ। সাধারণ ভগ্নাংশকে সাধারণত দুইটি ভাগে বিভক্ত করা যায় একটি প্রকৃত ভগ্নাংশ অপরটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ।

এরপর আবার অপ্রকৃত ভগ্নাংশকেই আমরা মিশ্র ভগ্নাংশ বলতে পারি। তাই বাস্তব এই সংখ্যাকে এভাবে আমরা বিভক্ত করে তারপরে ভগ্নাংশ প্রকৃত এবং অপ্রকৃত ইত্যাদি বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। আজকে আমাদের প্রকৃত মিশ্র এবং অপ্রকৃত ইত্যাদি ভগ্নাংশ সম্পর্কে আমরা ধারণা নিতে পারি। আমরা সবাই সাধারণত পূর্ণ সংখ্যার সম্পর্কে ভালই বুঝি কিন্তু ভগ্নাংশ সংখ্যা আমাদের বুঝতে অনেক সময় অনেক কষ্ট হয়। অর্থাৎ আমরা এটা বলতে পারি যে ভগ্নাংশ সংখ্যা হচ্ছে একটি সংখ্যার ভাঙ্গা অংশ। অর্থাৎ কোন একটি সংখ্যার ভাঙ্গা অংশকেই ভগ্নাংশ সংখ্যা বলা যেতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে আমরা যদি একটি তরমুজকে মোট চারটি টুকরো করি এবং এই চারটি টুকরো থেকে একটি টুকরো যদি তুলে নেই তাহলে এই অংশটি হবে তরমুজের মোট চারটি অংশের এক অংশ। এবং এই এক অংশটা ওই তরমুজের একটি ভগ্নাংশ অংশ পা ভাঙ্গা অংশ বলে আমরা ধরে নিতে পারি। আমাদের আজকে দেখাতে হবে অপ্রকৃত বা মিশ্র ভগ্নাংশ কাকে বলে? আমরা এর আগেই জেনেছি যে মিশ্র বা অপ্রকৃত ভগ্নাংশ আসলে একই ভগ্নাংশ। এ সম্পর্কে আমরা যদি একটা গল্প বলি তাহলে হয়তো আমরা বুঝতে পারবো যে অপ্রকৃত বা মিশ্র ভগ্নাংশ কাকে বলে। তাহলে শোনা যাক বা বুঝতে পারি কিনা দেখি- রাতুল একদিন তার স্কুলের টিফিনে তার মায়ের তৈরি করা ৫ টি পিঠা নিয়ে গেল।

টিফিনের সময় তার চার বন্ধুর সাথে এই পিঠা সমানভাবে ভাগ করে খাবে বলে মনস্থির করে।তাহলে যদি তারা সমানভাবে এই পিঠাগুলো ভাগ করে তাহলে আমরা একটি এরকম দেখতে পাই যে চারজন প্রথমে একটি করে পূর্ণ পিঠা নিয়ে নিতে পারবে তারা। তারপর একটি পিঠা থাকবে সেই পিঠাকে যদি ওরা সমান চার ভাগে বিভক্ত করে এবং এক টুকরো করে নিতে পারবে। তখন আমরা এই কথা বলতে পারব যে প্রতিজন পিঠা পেল যার সমস্ত চার ভাগের একভাগ। এবং এই অংশটি হলো মিশ্র ভগ্নাংশ। কারণ প্রত্যেকে একটা করে পূণ্য পিঠা পেয়েছে এবং বাকি একটি পিঠার চার ভাগের এক অংশ পেয়েছে। এই অংশটুকুনকেই আমরা মিশ্র ভগ্নাংশ বলতে পারি।

তাহলে আমরা মোটামুটি ভাবে মিশ্র ভগ্নাংশের একটি ধারণা অবশ্যই এখান থেকে পেলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই এ সকল তথ্য উপাত্তগুলি যদি আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নেন তাহলে অবশ্যই আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। আর এই কারণেই বলি যে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে বারবার ভিজিট করুন এবং এই ভিজিট করার মাধ্যমে আমাদের পাশে থাকুন।

তাহলে আমরা মিশ্র ভগ্নাংশ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যই দেখতে পেলাম এবং আমাদের অবশ্যই এখন মিশ্র ভগ্নাংশ সম্পর্কিত একটি ধারণা তৈরি হল। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি মিশ্র ভগ্নাংশ কাকে বলে?

মিশ্র ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের একটি পূর্ণ সংখ্যা ও একটি ভগ্নাংশ সমন্বয়ে লেখা হয়। এবং এরূপ একটি পূর্ণ সংখ্যা এবং একটি ভগ্নাংশ সংখ্যা মিলে যে ভগ্নাংশ পাওয়া যায় তাকে মিশ্র ভগ্নাংশ এবং ইংরেজিতে Mixed fraction বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *