গণিত মানেই যোগ-বিয়োগ গুন ভাগ এই চারটি প্রক্রিয়া ভালো করে বুঝতে পারলেই গণিত করা যায়। প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ শিক্ষা, সব ক্ষেত্রেই যোগ-বিয়োগ গুণ ভাগ এই চারটি প্রক্রিয়ায় প্রযোজ্য হয়। বাকিগুলো এখান থেকেই আসে। যেমন আমরা সাধারণত বিচ্ছুরণ করে বেগুনি আসমানী নীল নাল কমলা সবুজ ইত্যাদি সাতটি রং পেয়ে থাকি তেমনি এই যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ এই চারটি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে বাকি অন্যগুলি প্রক্রিয়া এসে যায়। আমাদের এই ওয়েবসাইট টিকে গণিত বিষয়ক সকল সমস্যায় সমাধান দেওয়া থাকে। আপনাদের যাদের গণিত বিষয়ে সমস্যা হয় তারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে এসে ভিজিট করলেই সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। আজকে এখানে আমরা ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র দেখবো।
প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু হয়েছে ভাগ অংক। এই ভাগ অংক করতে গেলে আমাদের অবশ্যই ধার্য নির্ণয়ের সূত্র প্রয়োজন হয়। যেমন যৌগ অংক শুরু হয়েছে প্রথমে এক সংখ্যা পরবর্তীতে দুই সংখ্যা তারপরে তিন সংখ্যা এভাবে করে হাতে রাখার যোগ শুরু হয়। গুণের ক্ষেত্রেও তাই একটি সংখ্যাকে একটি সংখ্যা দিয়ে গুণ এরপর দুইটি সংখ্যাকে একটি সংখ্যা দ্বারা গুণ। এভাবে দুইটি সংখ্যাকে দুইটি সংখ্যা দ্বারা গুণ তিনটি সংখ্যাকে দুইটি সংখ্যা দ্বারা গুণ এভাবে ছোট থেকে বৃহত্তর হতে শুরু করে। তেমনি ভাগের বেলাও তাই প্রথমে ছোট ছোট ভাব দিয়ে শুরু হয়েছে ভাগ অংক এরপর আস্তে আস্তে আমাদের বড় ভাগ গুলি করতে হয়।
পঞ্চম শ্রেণীতে আছে এ ধরনের বড় বড় ভাগ অংক গুলি। সেখানে আমাদের ফাঁকা ঘর পূরণ করতে হয়। আর এই খালি ঘর বা ফাঁকা ঘর গুলি ভাগের সাহায্যেই বেশিরভাগ পূরণ করতে হয়। তাই পঞ্চম শ্রেণীতে ভাগ অংক করা আমাদের জন্য জরুরী। পঞ্চম শ্রেণীতে পিইসি পরীক্ষা হয়। এই পিইসি পরীক্ষার মার্কস এর সাহায্যেই বৃত্তি প্রদান করা হয়। তাই পঞ্চম শ্রেণীর গণিতের সবগুলি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শিক্ষার্থীর জন্য জরুরী হয়ে পড়ে। সকল সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে অবশ্যই ভাগ অংক গুলি আমাদের ভালোভাবে শিখতে হবে। কারণ পঞ্চম শ্রেণীতে অনেক ভাগ অংক আছে।
আর তাই আমাদের জানতে হবে ভাজক কি, ভাগফল কি ভাগশেষ কি ইত্যাদি। এখানে আমাদের ভাগফল, ভাজক ভাগশেষ ইত্যাদি সব সম্পর্কেই জানতে হবে। এদের মধ্যেই একটি হল ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র। খালি পঞ্চম শ্রেণী কেন, পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে উপরের সব শ্রেণীতেই আমাদের ভাগ অংক আছে। আর ভাগ অংক থাকা মানেই সেখানে আমাদের ভাজ্য নির্ণয় করতে হবে। তাই ভাজ্য নির্ণয় করতে হলে আমাদের ভাগ অংক ভালো করেই শিখতে হবে। নইলে ভাগ অংক করতে পারবো না। ভাব অংকের মধ্যে তিনটি অংশ থাকে। একটি ভাজ্য, ভাজক , ভাগফল এবং ভাগশেষ। ভাজক যে সংখ্যাটি দ্বারা ভাগ করা হয় তাকে ভাজক বলে। আবার যে সংখ্যাটিকে ভাগ করা হয় তাকে ভাজ্য বলে।
ভাজ্যকে ভাজক দ্বারা ভাগ করলে যে উত্তর পাবো সেটি হচ্ছে ভাগফল। এরপর ভাগ অংকটি করা হয়ে গেলে যদি কোন অবশিষ্ট থাকে তাকে ভাগশেষ বলে। তাহলে আমরা দেখে নিলাম ভাগ অংকের কতটি অংশ এবং অংশগুলি কি কি ও কাকে বলে। তাহলে এখন আসি আমরা ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্রে। ভাজ্য=ভাজক গুণ ভাগফল + ভাগশেষ।
এই সূত্রের মাধ্যমে আমরা ভাজ্য নির্ণয় করতে পারব। তাহলে এখন আর আমাদের ভাব অংক গুলি করতে কোন সমস্যা হবে না আশা করি। গণিতের যত সমস্যা আছে সব সমস্যা গুলি নিয়েই তোমরা আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবে। আমাদের এই ওয়েবসাইটে সকল রকমের সমস্যার উত্তর খুব ভালোভাবে, সঠিকভাবে শুদ্ধভাবে সাবলীল ভাষায় বোঝার মত করে দেওয়া থাকে। তাই তোমাদের যেকোন প্রশ্নের উত্তর সমস্যা হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসে দেখে নিতে পারো। প্রয়োজন বোধে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে তোমরা ডাউনলোড করেও নিতে পারবে। আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে তোমাদের আলাদা কোন চার্জ প্রয়োজন হবে না। তাই তোমরা এখান থেকে সকল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারো