হাইড্রোজেন বন্ধন কাকে বলে

আমরা জানি পদার্থের গঠন হয় দুইটি পরমাণুর ইলেকট্রনের ভাগাভাগি অথবা শেয়ারের মাধ্যমে। রাসায়নিক বন্ধন অনেক ধরনেরই হয়ে থাকে। যেমন আয়নিক বন্ধন সমযোজী বন্ধন তড়িৎ যোজী বন্ধন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বন্ধন রসায়নবিজ্ঞানে হয়ে থাকে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে হাইড্রোজেন বন্ধন কি। হাইড্রোজেন বন্ধন সম্পর্কে জানতে হলে আপনারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে হাইড্রোজেন বন্ধন কি এবং হাইড্রোজেন বন্ধন কাকে বলে।

দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণুর পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন অনুগঠন করে। অনুরূপভাবে হাইড্রোজেন এবং ক্লোরিন পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন ক্লোরাইডঅনুপ অর্থাৎ এইসিএল গঠন করে। প্রথম ক্ষেত্রে হাইড্রোজেন অণুতে দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণ বল কাজ করে আবার দ্বিতীয় ক্ষেত্রে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড অণুতে হাইড্রোজেন এবং ক্লোরিন পরমাণুর মধ্যে আরেক ধরনের আকর্ষণ বল কাজ করে।

এই ধরনের আকর্ষণ বলে মূলত রাসায়নিক বন্ধন। অর্থাৎ এভাবে দুইটি পরমাণু একসঙ্গে গঠন হওয়ার নামই হচ্ছে যে রাসায়নিক বন্ধন। অর্থাৎ আমরা এটি জানি বা বুঝি যে প্রত্যেক মৌলই তার সর্বশেষ শক্তিস্থানে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের চেষ্টা করে যায়। একেই মৌলের বা ভিন্ন মৌলের দুইটি পরমাণু যখন কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তারা তাদের সর্বশেষ শক্তিশালী ইলেকট্রন গ্রহণ বর্জন বা ভাগাভাগির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের অর্থাৎ নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে থাকে। আর এ ধরনের অর্থাৎ এর মাধ্যমে এক ধরনের আকর্ষণের সৃষ্টি হয় যে আকর্ষণকে আমরা রাসায়নিক বন্ধন বলি। এটিই হল রাসায়নিক বন্ধন। তাই আমরা বলতে পারি রাসায়নিক বন্ধন গঠনের মূল কারণই হলো পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিশালী ইলেকট্রনের নিষ্ক্রিয় গ্যাসের সিপিসিএল ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের প্রবণতা।

আর তাই আজকে আমাদের দেখাতে হবে যে বা বলে দিতে হবে যে হাইড্রোজেন বন্ধন কি হাইড্রোজেন বন্ধন সম্পর্কে আমাদের এখন বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাহলে আমরা জানি যে হাইড্রোজেন বন্ধন হলো এক ধরনের তড়িৎ আকর্ষণ বল যাতে হাইড্রোজেন পরমাণু ও অধিক তড়িৎ ঋণাত্মকতা বিশিষ্ট ছোট আকারের পরমাণু অংশ নেয়। ফলে হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব অধিকভাবে হ্রাস পায়। এরূপ পোলার কোন সমূহের মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক তড়িৎ আকর্ষণ বল সৃষ্টি হয়। আর তাকেই হাইড্রোজেন বন্ধন বলে থাকে। তাই একথা বলা যায় যে এক বা একাধিক পোলার যৌগের অণুতে পোলা রক্তের কারণে সৃষ্ট বন্ধনই হলো হাইড্রোজেন বন্ধন।

এই বন্ধন টি DNA এ N2 বেসের মধ্যেও থাকে। পানির মধ্যেও এই বন্ধন রয়েছে আর এই বন্ধনের জন্য এই পানির উচ্চতা অংক দ্বায়ী। আমরা জানি যে হাইড্রোজেন পরমাণু যখন অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল এর সাথে সমযোজী যৌগ গঠন করে তখন তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্যের কারণে হাইড্রোজেন ঋণাত্মক প্রান্তে আংশিক ধণাত্মক চার্জ এবং তড়িৎ ঋণাত্মক প্রান্তে আংশিক ঋণাত্মক চার্জ এর সৃষ্টি হওয়ার কারণে ডাইপোল গঠন করে থাকে। একাধিক ডাইপলের মধ্যে কার আকর্ষণ বলের ফলে সৃষ্ট বন্ধনকে হাইড্রোজেন বন্ধন বলা হয়।

তাহলে আমরা দেখলাম যে আমাদের যে ধরনের বিক্রিয়া রয়েছে অর্থাৎ সমযোজী বা অন্যান্য যে ধরনের বন্ধন আমাদের রাসায়নিক পদার্থের গঠনগুলি হয়ে থাকে এর মত হাইড্রোজেন বন্ধন ও হয়ে থাকে। আমরা এর আগেও দেখেছি যে ধাতুগুলোর আয়নীকরণ শক্তির মান অনেক কম হয় অতি সহজেই সর্বশেষ শক্ত স্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে তারা ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট আয়ন বা ক্যাটায়নে পরিণত হতে পারে। তো যাই হোক আমরা আমাদের হাইড্রোজেন বন্ধন সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্যের হাজির করা হলো।

এই তথ্যগুলি আপনাদেরকে জানানোর পর অবশ্যই আপনারা বুঝতে পারলেন যে হাইড্রোজেন বন্ধন কি? তারপরেও চলুন দেখা যাক হাইড্রোজেন বন্ধন কি
হাইড্রোজেন বন্ধন: হাইড্রোজেন যুক্ত পোলার অণুসমূহ যখন পরস্পর পরস্পরের সান্নিধ্যে আসে তখন এক অনুর ধনাত্মক প্রান্ত (হাইড্রোজেন) অন্য অণুর ঋণাত্মক প্রান্তের দিকে বিশেষভাবে আকর্ষিত হয় এ আকর্ষণকে হাইড্রোজেন বন্ধন বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *