আমার দেখা নায়াচীন এই গ্রন্থটি একটি ভ্রমণ মূলক গ্রন্থ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লেখা এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের বাংলা একাডেমির মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে গ্রন্থ গুলি লেখা রয়েছে তার মধ্যে এই গ্রন্থটি তৃতীয় তম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই গ্রন্থটি বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও প্রকাশিত করা হয়েছে। আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে সর্বপ্রথম চীন সফরে যাওয়ার পরে সেই চীন সফরের যাওয়ার অভিজ্ঞতার আলো কে লেখা হয়েছিল এই গ্রন্থটি। তাই এর নাম দেওয়া হয় আমার দেখা নয়া চীন। তাই বিখ্যাত এই আমার দেখা নয়া চীন গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন কে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চাই। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানিয়ে দেব। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তিনি কোন লেখক ছিলেন না তবু তার মন চাইলে তিনি লিখতে বসতেন। তাই আমার দেখা নয়াচীন তেমন একটি গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৩২ বছর বয়সে চীন সফর করতে যান। বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে চীনে যান। উপলক্ষ, পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজি ওন্সে অংশ নেওয়া। সেই সময়ের স্মৃতিনির্ভর এ ভ্রমন কাহিনী তিনি লেখেন।সে বারের সেই ভ্রমণ ছিল পাকিস্তান সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে। আমার দেখা নয়াচীন তাঁর দেখা প্রথম চীন ভ্রমণের বৃত্তান্ত। তবে এখানে ঠাঁই পেয়েছে পরের বারের চীন ভ্রমণের নানা ছবি গুলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীন সফরে নেতা মাও সে তুং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। এ সময় তিনি চীনের রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। চীন ভ্রমণের এসব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি একটি ডাইরি প্রস্তুত করেন সে খানে তিনি তৎকালীন তিন সফরের সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। পরবর্তীতে তিনি খন্ড খন্ড আকারে চীন সম্পর্কিত সকল তথ্য সেই ডাইরিতে লিখে রাখেন। তাই আপনারা যারা জেনে নিতে চান আমার দেখা নয়াচীন গ্রন্থের ভূমিকা লিখে ছেন কে তাদের জন্য বলছি। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার দেখা নয়াচীন গ্রন্থের ভূমিকাটি লিখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষে আমার দেখা নায়া চীন গ্রন্থটি নতুন আঙ্গিতে প্রকাশিত করা হয়। আর এটা প্রকাশ করে বাংলা একাডেমির মাধ্যমে।