নদীর নাম মধুমতি চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। সাধারণত এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট টি তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটি সারা বাংলা দেশ জুড়ে বেশ সুনাম অর্জন করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে যে চলচ্চিত্র তৈরি হোক না কেন বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধার চলচ্চিত্র গুলো অন্যতম এক ভূমিকা পালন করেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। মুক্তিযুদ্ধ কে উপজীব্য করে চলচ্চিত্র গুলো নির্মাণ শুরু ১৯৭১ সাল থেকেই।
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নানান ধরনের চলচ্চিত্র এখন অব্দি তৈরি করা হয়েছে। আর মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক নদীর নাম মধুমতি চলচ্চিত্রটি চলচ্চিত্র জগতে অন্যতম একটি ছবি তাই এই ছবিটি কে নিয়ে আমাদের নানান সময় নানান জায়গাতে নানান ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে আপনারা অনেকে জেনে নিতে চেয়েছেন নদীর নাম মধুমতি চলচ্চিত্রের পরিচালক কে।
১৯৭১ সালের দীর্ঘ ৯ মাস এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ সৃষ্টি করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি। আর সেই দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের নানান ধরনের কাহিনী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রামাণ্যচিত্র ,চলচ্চিত্র, গল্প উপন্যাস ইত্যাদি এগুলো তৈরি হয়ে আসছে। আর মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রিক তারই মধ্যে বিশেষ একটি চলচ্চিত্র হলো নদীর নাম মধুমতি।
এই চলচ্চিত্রটিতে কিভাবে বাংলাদেশের মানুষ অর্থাৎ বাঙালি জাতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শত্রুদের সঙ্গে মোকাবেলা করেছিল তাই স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু পুরুষ নয় এ দেশের নারীরাও পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন তা এই চলচ্চিত্রটি থেকে স্পষ্ট উঠে এসেছে। ১৩০ মিনিট এই চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
নদীর নাম মধুমতি চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ কাহিনীর জন্য বিশ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে থাকেন। আর এই ছবিটিতে অভিনয় করার জন্য অনেক শিল্পী বিশেষ ও শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রেষ্ঠ সব গুলি অভিনেত্রীরা তার মধ্যে ছিলেন তৌকির আহমেদ আলী জাকের, আফসানা মিমি, ইত্যাদি এই গুণী অভিনেত্রীরা এই চলচ্চিত্রটি কে তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাসে কে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিল। আর নদীর নাম মধুমতি এই চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন তানভীর মোকাম্মেল। শুধু পরিচালকের দায়িত্ব ছিলেন না তিনি এই ছবিটির রচয়িতা ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রটির কাহিনী ও সংলাপের জন্য তানভীর মোকাম্মেল শ্রেষ্ঠ কাহিনীর বিভাগীয় সম্মান পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আরো চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছিলেন।