প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আমাদের বাঙ্গালীদের মনে পড়ে যায় সেই ভাষা আন্দোলনের কথা। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি মাস প্রতিটি বাঙালির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। আর এই ভাষার মাস আসলেই আমাদের প্রত্যেকটি বাঙালির মনে নানান ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে বেশ আগ্রহী আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির রচয়িতা কে। তাই আপনাদের কথা ভেবে আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব। তাছাড়া এই প্রশ্নের উত্তর টি জেনে নেয়ার জন্য আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে থাকি আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি এই গানটি প্রত্যেকটি বাঙালির কাছে একটি পরিচিত গান। বাংলাদেশের জন্য একটি দেশাত্মবোধক গান এটি। এই গানটির মাধ্যমে বাঙালি ভাষা আন্দোলনের উজ্জীবিত করেছিল। এই গানটির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে এক প্রেরণার সৃষ্টি করেছিল যা থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির মাধ্যমে আমাদের বাঙালি জাতির রাষ্ট্রভাষা বাংলা আদায় হয়। আর এই গানটি শুধু ভাষা সংগ্রাম নয়, পরে মুক্তি যুদ্ধ সহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে এই গান প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। একটি গানের মধ্যে একটি দেশের মুক্তির সনদ মিলে যায় সেই গানের মাধ্যমে মুক্তির ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জেনে যায়। আর আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো এই গানটি তেমন একটি গান ছিল।
বাংলা ভাষার আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে ছিল একুশের এই গানটি। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই আন্দোলনের প্রথম পর্ব থেকে ভাষার গান রচনা শুরু হয়। তাই ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের ঘটনা সারা দেশকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর তা নিয়ে প্রথম গান লেখেন।একটি দেশাত্মবোধক গান ইতিহা সের স্বাধীনতার কথা বলে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গানটি রচনা করেন আব্দুল গফফর চৌধুরী। প্রথমে গানটিতে সুর দিয়েছিলেন আবদুল লতিফ। পরবর্তী কালে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৫৪ সালের প্রভাত ফেরিতে প্রথমবার এই গানটি গাওয়া হয়। আর তার পরেই প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আসলেই বাঙালি জাতি খালি পায়ে শহীদ মিনারে এই গানটি গেয়ে ভাষা দিবসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে নিরীহ ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়। আর এ আন্দোলনের সময় অনেক ছাত্র প্রাণ চলে যায় অনেক ছাত্র আহত হয়ে পড়ে। অনেক ছাত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। আর সেই সময় ঢাকা কলেজের অধ্যায়নরত ছিল আব্দুল গাফফার চৌধুরী। আর তিনি সেই সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজে সেই আহত ছাত্রদের দেখতে যান। আর সেই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আউটডরে এক নিহত ছাত্রের লাশ দেখে তিনি হতবাক হয়ে পড়েন। পরে বাইশে ফেব্রুয়ারি সেই দিনে নির্বিচারে গুলির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ মিছিল করা হয় সেই মিছিলে যোগদান করেন আব্দুল গাফফার এবং তিনি সে মিছিলে আহত হন আর সেই আহত অবস্থায় থেকে এই গানটি লিখে ফেলেছিলেন।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির কাছে জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিবস। কারণ এই দিনটিতে বাঙালি জাতি মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল যা ইতিহাস একটি বিরল ঘটনা যা বিশ্বের খুব কম দেশেই এরকম ঘটনা দেখা যায়। একুশে ফেব্রুয়ারি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি এই গানটি বর্তমানে ১২ টি ভাষায় গোটা বিশ্বে গানটি গাওয়া হয়। তাই প্রতি বছরের বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালিত হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ও প্রতিটি অঞ্চলে এই দিনটি ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা করা হয়।
আপনারা যারা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির রচয়িতা কে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দেয়া হলো। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।