হামনা বিনতে সুফিয়ান একজন বিখ্যাত মুসলিম নারী ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সা:) বিখ্যাত নারী সাহাবা গুলোর মধ্যে হামনা বিনতে সুফিয়ান ছিলেন অন্যতম। মুহাম্মাদ এর মদিনার জীবনে বিভিন্ন যুদ্ধে হামনা বিনতে সুফিয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন খুব প্রশংসনীয় একজন নারী সাহাবী। উহুদের যুদ্ধের সময় হামনা বিনতে সুফিয়ান সহ বেশ কিছু নারী সাহাবী এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমাদের মাঝে অনেকেই জেনে নিতে আগ্রহী হামনা বিনতে সুফিয়ান কে ছিলেন।
তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের এই প্রসঙ্গে সঠিক তথ্যটি জানিয়ে দিব। আমরা আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। তাই আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।
মক্কায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রাথমিক সময় গুলোতে যে সকল মুসলিম নারীরা ইসলাম গ্রহণ করেছিল তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল হামনা বিনতে সুফিয়ান। সেই সময় তাদের পরিবারের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ফলে মক্কায় তাদের ওপর কুরাইশ বংশের ইহুদিরা নানা ধরনের অত্যাচার শুরু করেন অত্যাচারের মাত্রা ব্যাপক আকারে রূপ পাই। পরবর্তীতে সপরিবার সহ মক্কা ছেড়ে তারা মদিনাতে হিজরত করেন। মদিনাতে আসার পরে
হামনা বিনতে সুফিয়ান অন্যান্য ঈমানদার মহিলা গনদের সাথে মহান আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য ইসলামের জ্ঞান বিচরণ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামের বিশেষ পারদর্শী সাহাবী গুলোর মধ্যে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। এবং পরবর্তীতে তিনি ইসলাম প্রচারে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি নারী সাহাবী গুলোর মধ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্যতম একজন।
হামনা বিনতে সুফিয়ান ছিলেন একজন সাহসী নারী। তিনি বিভিন্ন সময় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিকট আত্মীয়র মধ্যে হামনা বিনতে সুফিয়ান ছিলেন একজন। হযরত মুহাম্মদ সঃ এর ফুফাতো বোন এবং শালিকা ছিলেন হামনা বিনতে সুফিয়ান। মুসলিম নারী সাহাবী গুলোর মধ্যে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য একজন ব্যক্তি। তার ধার্মিক জীবন তার ব্যক্তিত্ব কে ফুটিয়ে তুলেছে। তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন সময় বড় বড় যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। অনেক যুদ্ধের সময় সাহাবীদেরকে পানি পান করানো এবং সে সকল সাহাবীকে সেবা দান করাই তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে ছিলেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ছিল অনন্য। তবে তার মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।