জ্যামিতির জনক কে

গাণিতিক বিভাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলোর মধ্যে জ্যামিত অন্যতম। তাই গাণিতিক বিভাগের জ্যামিতির গুরুত্ব অনেকের কাছে বেশি প্রাধান্য পায়। জ্যামিতি গ্রিক শব্দ সাধারণত জ্যা ও মিতি নিয়ে জ্যামিতি গঠিত। আপনারা অনেকে একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী আর তা হল জ্যামিতির জনক কে। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করব। আপনারা গুগলের সার্চ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রকাশি ত করি। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে।

জ্যামিতি শব্দের আভিধানিক অর্থ বলতে আমরা ভূমির পরিমাপকে বুঝে থাকি। সাধারণত গণিতের যে বিষয় গুলোর উপর বা গণিতের যে শাখায় ভূমি বা কোন স্থান পরিমাপের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে জ্যামিতি বলা হয়। আমরা অনেকেই জ্যামিতিকে আবার স্থান ভিত্তিক বিজ্ঞান হিসেবে বলে থাকি। জ্যামিতিক বিষয়ের সর্বপ্রথম মিশরে আলোচনা শুরু হয়েছিল। তাই আমরা বলতে পারি মিশরকে জ্যামিতির মূল ভূমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা অনেকেই জ্যামিত মূল প্রতিপাদ্য সম্পর্কে জেনে নিতে চাই। জ্যামিতিক পরিমাপ পদ্ধতির সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে তেরটি টি খন্ডে লিপীবদ্ধ করেন মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক তিনি দীর্ঘদিন জ্যামিতির উপর গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা প্রদান করেছিলেন।

জ্যামিতির মূল অংশ শুরু হয় বিন্দু দ্বারা। বিন্দু থেকে আবার রেখা আর রেখাকে আবার প্রধানত দুটি অংশ ভাগ করা হয়। একটি হল সরলরেখা আর একটি হচ্ছে বক্ররেখা। জ্যামিতি র আর একটি অংশ হল কোণ। কোণ কে আবার বিভিন্নভাবে দেখা যায়। সূক্ষ্মকোণ ,সরল কোণ, স্থূলকোণ ,সমকোণ,। জ্যামিতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ত্রিভুজ। ত্রিভুজ কে আবার প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ ,বিষমবাহু ত্রিভুজ ও সমবাহু ত্রিভুজ। জ্যামিতির আরেকটি অংশ হল চতুর্ভুজ। জ্যামিতিক অনুসারে চতুর্ভুজ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তাছাড়া জ্যামিতির আরেকটি মূল গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো জ্যামিতির জনক কে। এ প্রশ্নটির উত্তরটি আপনারা অনেকেই জেনে নিতে বেশ আগ্রহী।

গাণিতিক শাস্ত্রের অন্যতম একটি অংশ হলো জ্যামিতি। যার ভিতরে জ্যামিতি চারিত্রিক জ্ঞান থাকবে সেই গাণিতিক বিষয়ে অবশ্যই ভালো ধারণা থাকবে। সাধারণত গাণিতিক বিষয়ে কোনো একজন বিশেষ ব্যাক্তি বিশেষ অবদানে গাণিতিক বিষয়ে স্বীকৃতি পাননি। বহু বিজ্ঞানের ক্রমান্বয়ে আবিষ্কার এর মাধ্যমে গাণিতিক ও জ্যামিতিক বিষয়গুলো সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানীরা হল আর্কি মিডিস মুসা আল খোয়ারিজম এই বিজ্ঞানীগুলোর গাণিতিক বিষয়ে বিশেষ অবদান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া জ্যামিতি বিষয় জ্ঞান থাকলে যে কোন জমি সংক্রান্ত জটিল পদ্ধতি গুলো আপনি খুব সহজেই সঠিক সমাধান করতে পারবেন। জমির সকল ধরনের মাপ জ্যামিতিক অনুসারে হয়ে থাকে। জ্যামিতিক বিষয়ে জ্ঞান থাকলে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহজে সমাধান করা যায়।

সাধারণত জ্যামিতির আধুনিক সব বিজ্ঞানের মধ্যে পিথাগো রাস, টলেমি, ব্রহ্মগুপ্ত, ইউক্লিড জ্যামিতি শাস্ত্রের নামকরা সব গণিতবিদ। এরা প্রতিটি বিজ্ঞানী জ্যামিতির আলাদা আলাদা সংজ্ঞা দিয়ে ও জ্যামিতিক বিষয়ক গবেষণা করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। তবুও আমরা জ্যামিতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করব ইউক্লিড কে। কারণ তার অসামান্য অবদানের কারণে জ্যামিতির জনক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়। তাই জ্যামিতির জনক হিসেবে বলতে গেলে বলা হয় ইউক্লিড কেই জ্যামিতির জনক। জ্যামিতিক শাস্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যে বিষয় গুলোর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই আমাদের জমি সংক্রান্ত তাছাড়া সঠিক মাপ পদ্ধতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া গণিতের জন্য অপরিহার্য একটি অংশ হলো জ্যামিতি অংশ।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত ও যে কোনো তথ্য ও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত খুব সহজ ও সরল ভাষায় আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রদান করি। তাই আপনারা বারবার আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *