গ্যামেট কাকে বলে

জনন কোষ যা যৌন ঘোষ বা গ্যামেট শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক শব্দ গ্যামিন থেকে। আর গ্যামিন শব্দের অর্থ হলো বিয়ে করা। এটি একটি হ্যাপ্লয়েড কোষ যা অন্য হাফলায়েড কোষের সঙ্গে একই সেতো হয়ে নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রাণীর যৌন প্রজনন ঘটায়। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরাগরেণু পুং গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ। পরাগ মাতৃকোষ টি মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে চারটি অপত্য সৃষ্টি করে। পূর্ণতা প্রাপ্তির পর পরাগ থলিতে থাকা অবস্থায় পরাগরেণুর অঙ্কুরোদগম শুরু হয়। পরাগরে নূর নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রীকাটি মাইটোটিক পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। এ বিভাজনে একটি বড় কোষ এবং একটি ক্ষুদ্র কোষ সৃষ্টি হয়। বড় কোষটিকে নালিকোষ এবং ছোট কোষটিকে জেনারেটিভ কোষ বলে। আবার ভ্রুণ পোষকলায় ডিম্বক রন্ধের কাছাকাছি একটি কোষ আকারে সামান্য বড় হয়। এর প্রোটোপ্লাজম ঘন এবং নিউক্লিয়াস টি তুলনামূলকভাবে বড় হয়।

এই কোর্সটিকে বিয়োজন বিভাজনের মাধ্যমে চারটি হাপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি করে। সর্বনিম্ন কোষটি ছাড়া বাকি তিনটি কোষ বিনষ্ট হয়ে যায়। সর্বনিম্ন এই বড় কষ্টি বৃদ্ধি পেয়ে ক্রমশ ভ্রণথলিতে পরিণত হয়। এ কষ্টের নিউক্লিয়াস হ্যাপ্লয়েড। এই নিউক্লিয়াসটি বিভক্ত হয়ে দুইটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। এই নিউক্লিয়াস দুইটি গ্রন্থলীর দুই মেরুতে অবস্থান নেয়। এবার এ দুটি নিউক্লিয়াসের প্রতিটি পরপর দুবার বিভক্ত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়। এর পরবর্তী ধাপে দুইমেরু থেকে একটি করে নিউক্লিয়াস গ্রন্থলির কেন্দ্রস্থলে এসে পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড গৌণ নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে।

দুই মেরুর নিউক্লিয়াস গুলোর সামান্য সাইটোপ্লাজম সহকারে কোষের সৃষ্টি করে। ডিম্বক রন্ধ্রের দিকের কোর্স তিনটিকে গর্ভ যন্ত্র বলে। এবং এর মাঝের কষ্টটি বড়। একে আবার ডিম্বানু এবং অন্য কোষকে সহকারী কোষ বলা হয়। যে ধরনের প্রজাতিগুলোতে দুই অঙ্গরসংস্থানে পৃথক গ্যামেট তৈরি হয় এবং যারা কেবল এক প্রকারের উৎপাদন করে তারা স্ত্রী জাতীয় কোন একক উদ্ভিদের বৃহৎ আকারের গ্যামেট তৈরি করে। তাকে আবার ডিম্বক কোষ ও বলা হয়। অপরদিকে পুরুষ জাতীয় ছোট ট্যাটবল ধরনের শুক্রাণু তৈরি করে। একে সংক্ষেপে একটি জনন কোষ হল একটি ডিম্বকোষ বা একটি শুক্রাণু। মানুষ সহ এ ধরনের উচ্চ শ্রেণীর জীবের যাদের লিঙ্গভেদ আছে তাদের দেহে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের ফলে গ্যামেট উৎপন্ন হয়। আমরা জানি গ্যামেট দুই ধরনের একটি স্ত্রী গ্যামেট অপরটি পুং-গ্যামেট।

পুরুষ গ্যামেটকে বলে শুক্রাণু এবং স্ত্রী গ্যামেটকে বলে ডিম্বানু। তাই বলা যায় গ্যামেট এমন একটি হ্যাপ্লয়েড কোষ যা অন্য কোন কোষের সঙ্গে একীভূত হয়ে নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রাণীর যৌন প্রজনন ঘটায়। তাহলে আজকে আমরা যে গ্যামেট সম্পর্কিত উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিস্তারিত ধারণা এই পোস্ট থেকে আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আমরা আশা করি যে আপনারা অবশ্যই এই গ্যামেট সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণা এবং প্রশ্ন এই পোস্ট থেকে পেয়ে থাকবেন। তাই আপনাদের গ্যামেট সম্পর্কিত যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এখান থেকে তার উত্তর অবশ্যই পাবেন বলে আশা রাখে। আমরা এখান থেকে আরো দেখলাম যে স্ত্রী গ্যামেট কোথায় উৎপন্ন হয় এবং গ্যামেট কি এবং কোথায় উৎপন্ন হয়। তাই গ্রামের সম্পর্কিত সকল ধরনের প্রশ্ন আমাদের এই পোস্টটি পড়ার পর আপনাদের অবশ্যই দূর হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনে আসে এরকম সকল পোস্ট আমরা করে থাকি। তাই আপনাদের সুবিধার্থে বা আপনাদের প্রয়োজনে আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করে এখান থেকে আপনার যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর বা তথ্য দরকার আপনারা দেখে নিতে পারবেন। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি যে গ্যামেট কি বা কাকে বলে। তাহলে চলুন দেখা যাক।
গ্যামেট:গ্যামেট হলো জননকোষ। মানুষ এবং অন্যান্য উন্নত ধরনের জীব যাদের লিঙ্গভেদ পরিলক্ষিত হয়, তাদের দেহে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের ফলে জননকোষ তথা গ্যামেট উৎপন্ন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *