বিবর্তন এই শব্দটি অতি প্রাচীনতম একটি শব্দ। আদিকাল থেকেই বিবর্তন সম্পর্কিত চিন্তা ভাবনার উন্মোচন ঘটেছে। সময়ের সাথে সাথে যেমন সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে তেমনি ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রাচীন গ্রীস, রোম, চীন, বহু কাল থেকে বিবর্তনের সৃষ্টি হয়েছে। বিবর্তন এমন একটি জীব বৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রম পরির্তনকে সৃষ্টি করে আসছিল। তাই বিবর্তনের ভিত্তি হচ্ছে বংশপরম্পরায় জিনের সঞ্চারণ। যা একটি জীবের বংশগত ভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্য গুলোর জন্য দায়ী। আর এই বিবর্তনের জনক কে এই প্রশ্নটির উত্তরটি সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই আগ্রহী। আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে জানতে চান আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েব সাইডে প্রকাশিত করি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।
বিবর্তন সাধারণত দুটি নিয়ামকের ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। একটি হল একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত ভাবে নতুন প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হতে থাকে। আর অন্যটির ক্ষেত্রে যা হয় এই প্রকরণ গুলোর কোনো কোনোটির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং কোনো কোনোটির সংখ্যা হ্রাস পায়। তাই এই জিন গুলোর বিভিন্ন তার কারণে একটি জীব গোষ্ঠীর বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে বংশগত বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য ব্যাপক ভাবে লক্ষ্য করা যায়। বিবর্তনের অন্যতম আরেকটি বিষয় হলো জেনেটিক ড্রিফেট যে স্বাধীন পদ্ধতিতে গোষ্ঠী স্থিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতির হার বা ফ্রিকোয়েন্সি অব ট্রেইটস দৈবাৎ পরিবর্তিত হয় লক্ষ্য করে থাকি আমরা। যুগ যুগ ধরে বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে প্রমাণ করে গিয়েছেন জীবকুল বিবর্তনবাদী তে সংঘটিত।
বিবর্তন সাধারণত একটি জৈবিক পদ্ধতি। যা প্রতিনিয়ত জীববিজ্ঞান কে ক্রমবিকাশে সাহায্য করে। বর্তমান পৃথিবী জুড়ে যতগুলো জীবের সৃষ্টি হয়েছে তা সর্বপ্রথম ভূমন্ডলে আবির্ভূত হয়েছে। আবার এই ভূখণ্ড থেকে অনেক প্রাণী অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলতে গেলে ডাইনাসোর প্রাণীটি পৃথিবী থেকে অনেক আগে বিলুপ্ত হয়েছে। তাই এখন আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দেবো বিবর্তনের জনক কে। ঊনিশ শতকের একজন ইংরেজি জীব বিজ্ঞান চার্লস ডারউইন বিবর্তনের জনক ছিলেন। তিনিই প্রথম প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিবর্তন বাদের ধারণা দেন। তাই বিখ্যাত এই জীব বিজ্ঞানী কে বিবর্তনের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তাছাড়াও তিনি এই বিষয় টির উপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন এবং পরবর্তীতে সফল তা পেয়েছে,যার কারণে তাকে বিবর্তনের জনক বলা হয়।