সাময়িকভাবে বা হঠাৎ করে যখন আমরা অসুস্থ হই সেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না এই সময়ে সাধারণভাবে করণীয় বিষয়গুলি হলো প্রাথমিক চিকিৎসা। আমাদের সারাদিনের বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড করতে হয়। অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। এই কাজ করার সময় আমরা যেকোনো মুহূর্তে হঠাৎ করে যে কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারি। তাই যেকোনো সময় যদি আমাদের এই দৈনন্দিন কাজের সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। যেমন আমরা যদি যেকোনো সময় চলার পথে সাথে কামড় দেয় তাহলে আগে সেই সাথে কামড় দেওয়ার ক্ষতস্থানে আরো একটু বেশি করে কেটে দিতে হবে সরি বা জাতীয় কিছু দিয়ে যাতে রগ না কেটে ওখানকার সেই রক্তগুলো বের হয়ে যায় এমন করে।
তারপর আমাদের সেখানে দেখতে হবে যে গিরা অথবা হাঁটুর ওপরে যদি পায়ের নিচে বাহাতুর নিচে সাপে কামড় দেয় তাহলে হাঁটুর উপরে নরম কাপড় দিয়ে অল্প শক্ত করে বেঁধে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে এবং সম্পূর্ণ খুলে বলতে হবে কিন্তু পারলে সবটা জেনে যেতে হবে কিন্তু কখনো সাপটিকে মেরে ওখানে নিয়ে যেতে হবে না। এরপর যদি কেউ জলে ডুবে যায় তাকে তুলে তাকে উপর করে রেখে হালকা করে পিঠে চাপ দিতে হবে যাতে তার ভিতর থেকে অর্থাৎ যেগুলো জল সে খেয়েছে সে জলগুলো যেন বের হয়ে যায় এরপর মুখে ফু দিয়ে তার গান ফেরাতে হবে যদি হার্টবিট না চলে তাহলে মুখে অবশ্যই ফু দিয়ে চালু করতে হবে। এ ধরনের কাজই হলো প্রাথমিক চিকিৎসা। আবার যদি খেলতে খেলতে যদি কেউ পা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে হঠাৎ করে তার সেই ভাঙ্গা স্থান কোন কাপড় জাতীয় জিনিস দিয়ে ভালোভাবে পেঁচিয়ে আলতো করে পাটাকে কোথাও রেখে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
যে তাকে নিয়ে আর বাটা সোজা করে এবং সেখানে পারলে দুই দিকে দুই পাতা জাতীয় জিনিস দিয়ে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়াটাই হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসা। আবার যদি কখনো কোন স্থান হাত অথবা পা কেটে যায় তাহলে আমাদের সেই কাটা জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিয়ে সেখানে জীবাণু নাশক স্যাভলন ডেটল এ জাতীয় কিছু দিয়ে ভালো করে বেঁধে দিতে হবে অথবা এগুলি যদি না থাকে তাহলে দুর্বাস ভালো করে দিয়ে বুকে দিয়ে যাবে সেখানে লাগিয়ে পরিস্কার নেকরা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। যদি দূর্বা ঘাস না থাকে তাহলে গাঁদা ফুলের পাতা ভালো করে দিয়ে সেখানে ডলে রস করে সেটা বেঁধে দিলে পারে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।
আর প্রাথমিকভাবে এ ধরনের কাজ করাই হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসা। এছাড়া আরো প্রাথমিক চিকিৎসার উদাহরণ আছে । যেমন কোন অসাবধানতা বশত কারো হাত-পা অথবা দেহের কোথাও পুড়ে গেলে সেখানে প্রথমে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঠান্ডা জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে স্থান। এরপর সেখানে আর কোন কিছু না লাগিয়ে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে যদি ফুচকা না পড়ে তাহলে আরেকটু কাজ করা যেতে পারে সেখানে যদি আমরা ডিমের সাদা অংশ অথবা গোল আলু শেষে তার রস দিতে পারি তাহলে ক্ষতস্থান বা পড়ার স্থান অবশ্যই আরেকটা জীবাণু নাশক হবে।
তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য বা উদাহরণসমূহ আপনাদের সামনে হাজির করলাম। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে সে ধারণা এখনো আপনাদের দেওয়া হয়নি। তাহলে চলুন দেখা যাক যে প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে?
প্রাথমিক চিকিৎসা: যেকোনো আকস্মিক দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে হাতের কাছের জিনিস দ্বারা রোগীকে চিকিৎসা করা যাতে ডাক্তার আসার পূর্বে রোগীর অবস্থার অবনতি না ঘটে বা জটিলতা সৃষ্টি না হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।