বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে ২০২৩

বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব হলো নির্বাচন কমিশনার। আর এই নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে দেশের সকল ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় ১৯৭২ সালে। নির্বাচন কমিশনের কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়ে থাকে। আপনারা অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েন। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। তাই আপনারা যারা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনার অত্যন্ত কর্তব্য পরান একটি কাজ। কারণ তার ওপর অর্পিত থাকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি মেয়র নির্বাচন, ইউনিয়ন পর্যায়ের সহ বিভিন্ন নির্বাচনের দায়িত্ব থাকে নির্বাচন কমিশনার। শুধু দায়িত্ব নয় সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনার জন্য তাকে সঠিকভাবে তার অবস্থান থেকে কর্তব্য পালন করতে হয়। তাছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা তৈরি, ভোটগ্রহণ তত্ত্বাবধান, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা এবং নির্বাচনী অভিযোগ নির্বাচনে নানান ধরনের সমস্যা, মীমাংসার লক্ষ্যে নির্বাচনী ট্রাইবুনাল গঠন করা নির্বাচন কমিশনের কাজ। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে দেশের সকল নির্বাচন অফিস গুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। তাই একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন কমিশনের অবদান অনেক।

দেশের সংবিধানে অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। রাষ্ট্রপতি এই পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার কে নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। তবে সংবিধানের আইন সাপেক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কোন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ তাঁর কার্যভার গ্রহণের তারিখ হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তাছা ড়া দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন হবেন। নির্বাচন কমিশন কে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে দেশের সকল ধরনের আই ন শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের প্রয়োজনে দেশের সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে কোন সময় যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করতে পারবে।

স্বাধীন সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সব সময় কাজ করবে। সংসদ ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অপরিসীম। নির্বাচন কমিশনার এমন একজন ব্যক্তি হবে যে রাজনৈতিক দলের কোন নেতা বা রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন মানুষকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সিলেক্ট টকরা যাবে না। নির্বাচন কমিশনার সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক ও যোগাযোগ থাকবে।

নির্বাচন সম্পর্কে সকল তথ্য রাজনৈতিক দল গুলোকে প্রতিনিয়ত আপডেট দিতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ,নির্বাচনের সকল আয়োজন এসব বিষয় গুলো সম্পর্কে সকল রাজনৈতি ক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ভোটার নিবন্ধন ভোটার তালিকা, ভোটার হালনাগাদ ইত্যাদি এই বিষয় গুলো র নির্বাচন অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আর স্বাধীনতার পর থেকে এখন অব্দি অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে অর্পিত করে গিয়েছে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার নেতৃত্বে চার জন নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন। হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশের ১৩ তম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অনুপস্থিতিতে পরবর্তী চারজন নির্বাচনের যে কেউ এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এখন অব্দি এই নির্বাচ ন কমিশনার তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে চলেছে।

আপনারা যারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা এ বিষয়টি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *