হুদায়বিয়ার আমরা যারা মুসলিম রয়েছি এই শব্দটির সঙ্গে অনেকেই বেশ পরিচিত। কারণ ইসলামের ইতিহাসে হুদাই বিয়ার একটি ঐতিহাসিক সন্ধি চুক্তি। আর এই সন্ধি চুক্তিটি মদিনা শহর বাসী এবং কুরাইশ গোত্রের মধ্যে সম্পাদিত হয়েছিল। ইসলামের ইতিহাসে এটি একটি অন্যতম চুক্তি। যে চুক্তিটিতে একটি দশ বছর শান্তি প্রতিষ্ঠিত করে এবং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে পরের বছর হজ্জের সময় মক্কার দিকে আসতে কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি যেন না করে। হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তিটি হয়েছিল ষষ্ঠ হিজরীর জিলকদ মাসে।হুদায়বিয়া নামক স্থানে এই সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় এজন্য এই সন্ধির নাম হুদায়বিয়ার সন্ধির নামে বেশ খ্যাত।
বিখ্যাত এই হুদায়বিয়ার চুক্তি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুর পাক খায়। আর এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানতে গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় অনুসন্ধান করে। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেব।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ষষ্ঠ হিজরীর জিলকদ মাসে নিজের মাতৃভূমি দর্শন ও উমরা হজ পালন করার জন্য চৌদ্দশ সাহাবী নিয়ে মদিনা থেকে মক্কার দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সা:) মদিনায় যাত্রা করার কথা শুনে কুরাইশ বংশের খালিদ ও ইকরাম তাদের যাত্রায় বাধা সৃষ্টি দেওয়ার পরিকল্পনা করে। তাই কুরাইশ বংশের এই বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা শুনে আমাদের নবীজি এক মাইল দূরে
হুদায়বিয়া নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন এবং প্রকৃত উদ্দেশ্য জানার জন্য ওসমানকে দূত হিসেবে পাঠান। কিন্তু ওসমানকে তারা আটকে দেয়। এতে নবীজির সাথে থাকা সঙ্গিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা বলেন আমাদের শরীর শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা ওসমানকে রক্ষা করব এবং ওমরা হজ্ব পালন করব। আর এই কথা শুনে কুরাইশরা ভীত হয়ে পড়ে। এবং ওসমানকে ছেড়ে দিয়ে তারা মুসলমানদের সাথে শান্তির আলোচনা কথা বলে।
হুদায়বিয়ার ইসলামের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি গুলোর মধ্যে একটি। এই শান্তি চুক্তিটির মাধ্যমে মুসলমানরা প্রথম বারের মতো কুরাইশদের কাছ থেকে একটি স্বতন্ত্র ধর্মীয় রাজনৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে লিখিত ভাবে স্বীকৃতি পায়। আর আপনারা যারা ঐতিহাসিক এই হুদায় বিয়ার সন্ধির লেখক কে এ সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাদের জন্য বলছি হুদায় বিয়ার সন্ধির লেখক হযরত আলী (রা)। এই চুক্তিটির ফলে মুসলমানরা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাই। আর এই চুক্তির মাধ্যমে মুসলমানরা কুরাইশদের কে বুঝিয়ে দেয় মুসলমানরা যুদ্ধ নয় শান্তিতে বিশ্বাসী। আর ইসলাম মানেই শান্তি এখানে কোন ধরনের যুদ্ধ বা বিদ্বেষ নয়।