ইসলাম ধর্মে পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মহান আল্লাহতালা মানুষ ও জিন জাতির উপর ফরজ করে দিয়েছেন। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম ওয়াক্ত হল এশার নামাজ। যেটা একজন মুমিন ব্যক্তিকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই নামাজ আদায় করতে হয়। অনেকে এশার নামাজ কয় রাকাত এই সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন।
অনেকেই অনেক ভাবে এশার নামাজের রাকাত সংখ্যা উল্লেখ করার কারণে কোনটি সঠিক তা নিয়ে এশার নামাজ পড়তে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেবো এশার নামাজ কয় রাকাত আদায় করাটা উত্তম। আপনারা যারা এশার নামাজ কয় রাকাত এর সঠিক তথ্যটি জানতে চাচ্ছেন আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পরুন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশার নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। তাই এই নামাজ সঠিক নিয়ম অনুসারে ও কত রাকাত নামাজ আদায় করাটা উত্তম এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জেনে এশার নামাজ আদায় করতে হবে। হাদিস অনুসারে ও বিভিন্ন কিতাব অনুযায়ী এশার ফরজ নামাজ চার রাকাত, যা একজন মুমিন ও মুসলিম ব্যক্তিকে অবশ্যই আদায় করতে হবে।
ফরজ নামাজ পড়ার পূর্বে চার রাকাত সুন্নত ও ফরজ নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এই নামাজ গুলো অবশ্যই আদায় করা লাগবে। এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আমরা সবাই কম বেশি জানি এশার ফরজ নামাজের পূর্বে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে। তবে এটা ঐচ্ছিক নামাজ। পড়লে সওয়াব রয়েছে এবং না পড়লে কোন ধরনের গুনাহ হবে না।
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করাটা উত্তম। তবে এক্ষেত্রে একান্ত কোন কাজের ক্ষেত্রে আপনি যদি চার রাকাত নামাজ আদায় জামাতের সঙ্গে না পড়তে পারন এতে কোন সমস্যা নেই আপনি পরে নিজে পড়ে নিতে পারবেন। তবে জামাতে এশার নামাজ আদায় করলে সাতাশ গুন সওয়াব বেশি পাওয়া যাবে এইরকম উল্লেখ রয়েছে হাদিসে।
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের পর পরবর্তী নামাজের অন্যতম একটি অংশ হল। দুই রাকাত এশার সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাজ রয়েছে। এই দুই রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ পড়া আবশ্যক। দুই রাকাত এশার সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করাটা উত্তম কারণ এই নামাজে অধিক সোয়াব ও আমাদের জীবনের ছোটখাটো পাপ মোচনের জন্য এই নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি তাই এশার নামাজের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর এই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়াটা উত্তম।
এশার নামাজের সর্বশেষ নামাজ হলো বিতর নামাজ, এই নামাজ এর মাধ্যমে এশার নামাজের সমাপ্তি ঘটে। তিন রাকাত নামাজের মাধ্যমে এই নামাজ আদায় করতে হয়।
মূলত এশার ফরজ নামাজ ৪ রাকাত, ফরজের পূর্বে সুন্নত ৪ রাকাত এবং ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ সহ, দুই রাকাত নফল নামাজ ও তিন রাকাত বিতর নামাজের মাধ্যমে এশার নামাজ শেষ হয়। তাহলে এশার মূল নামাজ দশ রাকাত এই দশ রাকাত নামাজ আপনাকে আদায় করতেই হবে। আর পরবর্তীতে দুই রাকাত নফল নামাজ ও বিতর নামাজ আদায় করাটা আপনার জন্য উত্তম। এই দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিজ জীবন দ্দশায় কখনো ছাড়েননি, তাই আমাদেরও ছাড়া উচিত নয়।
এশার এই দুই রাকাত নফল নামাজ অনেকেই এশার নামাজের সাথে যুক্ত করেন আবার করেন না। তবে এই নামাজ অনেকে আদায় করেন আবার করেন না, নফল নামাজ নিজের জন্য নামাজ এটা কোন নির্দিষ্ট সময় নেই আপনি যেকোনো সময় আপনার জন্য আপনি পরতে পারেন, তাই এই নামাজকে কোনভাবে এশার নামাজের সাথে যুক্ত করা যায় না।
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দিতে চেয়েছি এশার নামাজ কয় রাকাত আদায় করাটা উত্তম, তাই আপনারা যারা এশার নামাজ কয় রাকাত এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানার জন্য অনুসন্ধান করছিলেন আমাদের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন আর দেখে নিন আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি। আশা করছি আমাদের এখান থেকে আপনি আপনার উত্তরটি পেয়ে যাবেন।