ফিতরা আরবি শব্দ। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের মানুষ তারা ফিতরা শব্দটির সঙ্গে বেশ পরিচিত। ইসলামে এটা যাকাতুল ফিতরা নামে পরিচিত। ফিতরা বলতে সাধারণত সকলের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। ফিতরা বলা হয় কারন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। ফিতরা দেয়ার প্রধান উদ্দেশ্য হল রোজাকে পরিশুদ্ধ করা। কারণ এক মাস রোজার পর আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে রোজায় ত্রুটি হয় আর সেই ত্রুটিকে পরিশুদ্ধ করার জন্য ফিতরা প্রদান করা হয়।
সেজন্য রমজান মাসে এ দান কে ইসলামের ভাষায় ফিতরা নামে পরিচয় দেওয়া হয়। তাই আমরা অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে অজানা ফিতরা কে দিবে এই বিষয়টি জানার জন্য আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় অনুসন্ধান করে থাকি, তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই তথ্যটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করব।
ইসলাম ধর্মের আদেশ অনুসারে প্রত্যেকটি নর নারীর জন্য ফিতরা ওয়াজিব করা হয়েছে। নারী ,পুরুষ, স্বাধীন, পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা ওয়াজিব হাদিসে রয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি ঈদের দিন সুবহে সাদেকের পূর্বে মারা যায়, তাহলে তার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। এভাবে যদি সুবহে সাদেকের পরে কোনো বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে তার পক্ষ থেকেও ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বোঝা যায় কোন মুসলিম ব্যক্তি জন্যই ফিতরা থেকে বাদ নেই। ফিতরা সম্পর্কে বলা হয়েছে তোমরা ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই যারা যারা ফিতরা পাওনা ব্যক্তি এমন ব্যক্তির মাঝে ফিতরা বন্টন করতে হবে। অসহায় প্রতিবেশি ও স্বজনদের জন্য ফিতরা, দান-অনুদান ও উপহার সামগ্রী মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
ফিতরা রমাজানের রোজা ও ঈদের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতটি প্রত্যেকটি মমিন ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব করে দেয়া হয়েছে। ফিতরা একটি ইবাদত, তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদেরও ফিতরা আদায় করা সুন্নত ও নফল। ফিতরা ওইসব মুমিন মুসলমান রোজাদারের জন্য আবশ্যক যারা ঈদের রাত ও দিনে নিজের ও পরিবারের জন্য খাবারের অতিরিক্ত খাদ্য মজুদ থাকে। তাই রমজানের সবকটি রোজা যারা সঠিক ভাবে পালন করেছেন তাদের সহ তার পরিবারের সকলের উপর ফিতরা ওয়াজিব। নারী পুরুষ ছোট-বড় প্রত্যেকটি মুসলিম কে ফিতরা দিতে হবে। ফিতরার জন্য নির্দিষ্ট ভাবে ইসলামের বিধান রয়েছে কি পরিমান ফিতরা প্রদান করতে হবে। কোন ব্যক্তির সম্পদ বেশি হলেও সেই পরিমাণ ফিতরা প্রদান করার কথা ইসলামে রয়েছে।