জুম্মাবার সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন ও মুসলমানের জন্য পবিত্র দিন হিসেবে এটিকে গণ্য করা হয়। সপ্তাহের প্রধান ইবাদত হলো জুম্মার নামাজ। প্রতি সপ্তাহে একজন মুসলমান ব্যক্তি জুম্মার নামাজ আদায় উপলক্ষে মসজিদে একত্রিত হয়। এছাড়া সবাই একসাথে সম্মিলিত হয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে কাতার বন্দি হয়ে ফরজ নামাজ আদায় করে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন বা বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন জুম্মার নামাজ কয় রাকাত জুম্মার নামাজ মোট কত রাকাত পড়াটা উত্তম ইত্যাদি এসব প্রসঙ্গে।
আপনারা যারা এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন তাদের বলব আপনাকে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে, এবং দেখে নিতে হবে আপনার অজানা প্রশ্নের উত্তর, তাছাড়া আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে যাবেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এই প্রসঙ্গে আলোচনা করব। আজকের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর দেখে নিন আপনার অজানা সকল প্রশ্নের উত্তর।
ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জুম্মার দিনে ২ রাকাত নামাজ পড়া ফরজ। এ নিয়ে কারো কোনো মত পার্থক্য নেই। তবে ফরজের আগে ৪ রাকাত ও ফরজের পরে ৪ রাকাত সুন্নাত ও রয়েছে। ফলে অধিকাংশ মুসল্লি সব মিলিয়ে মোট ১০ রাকাত জুম্মার নামাজ আদায় করে থাকে। অনেকে আবার জুমার আগে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকে। সুন্নাত নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও জুমার ফরজ নামাজ ২ রাকাত এ নিয়ে কারো কোনো মত পার্থক্য নেই। জুম্মার নামাজের ওয়াক্ত যোহরের ওয়াক্তের সময়। জুম্মার দিন দুপুরে গোসল করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করা উত্তম।
জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজ হিসেবে পড়তে হয়। সময় এক হলেও জোহরের সঙ্গে জুম্মার নামাজের নিয়ম গত কিছু পার্থক্য রয়েছে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্ত বয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজ রূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে জুম্মার নামাজ বলা হয়।জোহরের মতো কেউ চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। তবে এসব নফল নামাজ জুমার অংশ হিসেবে পড়া হয় না। জুম্মার নামাজের দিন বেশ কিছু সুন্নত রয়েছে। যেমন পারলে নতুন জামা বা পাঞ্জাবি পরা, খোশবু নেয়া, হাত-পায়ের নখ কাটা সুন্নত। জুমার নামাজের সময় জুমার দিন যোহরের নামাযের পরিবর্তে দুই রাকাত জুমার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানদের উপর ফরজ।
জুম্মার ফরজ নামাজ দুই রাকাত। কিন্তু জোহরের ফরজ নামাজ চার রাকাত। আসলে এই দুই রাকাত নামাজ কে জুম্মার দিন মাফ করা হয়েছে কারণ জুম্মার দিন ইমাম সাহেব মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইসলামিক বিধি নিষেধ ও জ্ঞান মূলক বক্তব্য প্রদান করবে যেগুলো শুনে একজন মুসল্লী তাদের জীবন পরিবর্তন ও সেই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে। কারণ অনেকেই জানে না ইসলামে কি কাজ করতে আদেশ করা হয়েছে আর কি কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে এই সব প্রসঙ্গে ইমাম সাহেব তাদের বক্তব্য পূরণ করে আর এই বক্তব্য প্রত্যেকটি মুসলমানকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। জুম্মার দিনে ইমাম সাহেবের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনা কথা বার বার বলা হয়েছে।
জুম্মার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রত্যেকটি মুসলমান প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য মিলিত হওয়ার জন্য এটি একটি মহান দিন। দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল ও ফজিলত রয়েছে। জুম্মার দিন জুমার নামাজের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে।জুম্মার দিন এমন একটি সময় আছে বান্দা ওই সময় যা-ই দোয়া করে আল্লাহ তা কবুল করে নেন। হাদিসে একটি কথা বর্ণিত আছে যে ব্যাক্তি পরপর তিন জুমার নামাজ বিনা কারণে ছেড়ে দিবে আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরের মোহর মেরে দিবেন।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অবধি জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এই প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা জুমার নামাজ কয় রাকাত এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের এখানে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানিয়ে দিলাম।