জাতির জনক উপাধি কে দেন

বাংলাদেশের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালিদের জাতির পিতা। বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। বাংলার ইতিহাসে ও বিশ্বের বুকে অন্যান্য একজন নেতা ছিলেন তিনি। বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি হিসেবে ও বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে তার অবদান ছিল অতুলনীয়। তাই বাঙালি জাতি তাকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। তাই আপনারা অনেকেই জাতির জনক উপাধি কে দেন এই বিষয় টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী। আপনারা যারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য প্রতিনি য়ত আমরা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদে র ওয়েবসাইটে লিখে থাকি।আপনারা যারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেয়ার জন্য গুগলে বারবার সার্চ করছেন আপনারা খুব সহজে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন। আর এই স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জনের জন্য বাঙালি জাতিকে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এ দেশের শত্রুমুক্ত করতে হয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস বাঙ্গালীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীন পতাকার অর্জন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ভয়াবহ রাতের পর থেকে গড়ে ওঠে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম। আর এই মুক্তির সংগ্রামে প্রধান নেতৃত্বদানকারী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই দীর্ঘ নয় মাস বাঙালি জাতি লড়াই করে যান পাক বাহিনীর সাথে। তার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতিকে দাবি রাখতে পারেনি পাকিস্তানের শত্রুরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই এদেশের স্বাধীনতা খুব সহজেই পেয়েছে বাঙালি জাতি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এই নেতার অবদান ছিল অতুলনীয়।

কিশোর বয়স থেকেই রাজনৈতিক সচেতন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ছোট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও নেতৃত্ব দানকারী একজন মানুষ। তিমি অন্যায় কখনো সহ্য করতেন না সবসময় তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। তিনি সবসময় বাঙালি জাতিকে কিভাবে এগিয়ে নিবে সেই বিষয়ে ভাবতেন। তিনি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে থাকতেন। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। তিনি কখনো তার জীবনে র কথা ভাবেননি বাঙালি জাতির জন্য তিনি বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। তিনি বাংলার মানুষকে তার জীবনের থেকেও বেশি ভালবাসতেন। বাংলার মানুষকে তিনি যেমন ভালোবাসতেন বাংলার মানুষও তাকে ভালোবেসে গিয়েছেন। তাইতো ভালোবেসে তাকে বঙ্গবন্ধু খেতাবটি দেয়া হয়েছিল। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য ভালোবাসা মানুষের মধ্যে চিরন্তন হয়ে বেঁচে থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রাম ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই পৃথিবীর মানচিত্রে সার্বভৌম বাংলাদেশের নামে একটি দেশের অভ্যুদ য় ঘটে।পরিপূর্ণতা পায় বাঙালী জাতীয়তাবাদ। পাকিস্তানী শাসকদের শোষণ বঞ্চনা অন্যায় জুলুম অত্যাচার লাঞ্ছনা গঞ্জনা, নিপীড়ন নির্যাতন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই পাক বাহিনী পরাজিত হয়েছিল বাঙালি জাতির কাছে। আর এই মহান নেতার কারণেই বাংলাদেশ কে শত্রুমুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারনে বাঙ্গালি জাতি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তাই ১৯৭১ সালে ৩ ই মার্চ এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দান করা হয়। আর এই জাতির জনক উপাধিটি দেন তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ.স.ম. আব্দুর রব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর ছিলেন বাঙ্গালী জাতির একমাত্র নেতৃত্ব দানকারী নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান বাঙালি জাতি কখনো ভুলবে না। যতদিন অব্দি বাংলাদেশ আছে ও বাঙালি জাতি আছে ততদিন প্রতিটি ক্ষণে প্রতিটি মুহূর্তে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে যাবে। প্রতিটি বাঙালির মনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিশে রয়েছে। তাই বাঙালি জাতিকে তার আদর্শ বুকে নিয়ে একটি সুন্দর জাতি গঠন করতে হবে। তার নেতৃত্বে থেকে শিক্ষা নিয়ে বাঙালি জাতিকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে।

আমরা আপনাদের জন্য এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সহজ সরল ও সুন্দর ভাষায় আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত করি, যেন আপনারা খুব সহজেই বুঝে নিতে পারেন। তাই আপনারা আপনাদের যেকোন প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *