তিতুমীর এই নামটির সঙ্গে আমরা বেশ পরিচিত। বাংলার ওহাবী আন্দোলনের নেতা ছিলেন তিনি। তিনি সবসময় মুসলমান ও দরিদ্র কৃষকদের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন তিনি কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত করে নাই । জমি দারদের অন্যায় অবিচার ও শোষণ নিপীড়নের হাত থেকে দরিদ্র কৃষকদের প্রতিনিয়ত রক্ষা করছেন ও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন নেতা তিনি। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করেন কে এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয় তাই আপনারা এই প্রশ্নটির উত্তর জেনে নিতে অনেকেই গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। তাছাড়া আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
তিতুমীরের আসল নাম ছিলেন মীর নিসার আলী। উত্তর ভারত ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত যে ওহাবী আন্দোলন চলছিল সেই ওহাবী আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে ছিলেন এই অদম্য নেতা তিতুমীর। তিতুমীরের এই আন্দোলনের নেতৃত্বের কারণে আন্দোলনটি তীব্র আকার ধারণ করে। উনিশ শতকে র দিকে ভারতবর্ষের মুসলমানদের জন্য তিনি সামাজিক কুসংস্কার দূর করে মুসলিম সম্প্রদায়কে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের সঠিক পথ নির্দেশ করাই এই ওয়াহাবি আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল। তিতুমীর মক্কা থেকে দেশে ফিরে তিনি ধর্মীয় সংস্কারের নানা ধরনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে ফেলেন। তার এই ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে বহু মুসলমান এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয় যা এই আন্দোলনটিকে আরো বেগমন করে। ফলে জমিদাররা মুসলমানদের জন্য নানান ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মুসলমানদের উপর যখন জমিদাররা নানান ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও জুলুম নির্যাতন শুরু করল তখন বাংলার অদম্য নেতা মীর নিসার আলী অরূপে তিতুমীর আর চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। তিনি এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে শান্তি পূর্ণভাবে সুবিচার চান। কিন্তু তার এই সুবিচারের প্রতি কোন গুরুত্ব আরোপ করেনি। জমিদাররা যখন মুসলমানদের ওপর অন্যায় ভাবে এরকম অত্যাচার শুরু করল তখন তিতুমীর আর বসে থাকতে পারলো না তিনি এই জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল। শেষ পর্যন্ত তার অনুসারীদের নিয়ে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধের পথ অবলম্বন করেন। এবং ১৮৩১ সালে নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে তিতুমীর তাঁর প্রধান ঘাটি স্থাপন করেন। আর নির্মাণ করেন ইতিহাস খ্যাত তাঁর এই বাঁশের কেল্লা।
ইংরেজ জমিদার ও ব্রিটিশদের পরাজিত করার জন্য নির্মিত করা হয়েছিল তিতুমীরের ঐতিহাসিক বাঁশের কেল্লা। কিন্তু ইংরেজদের এই বিশাল প্রশিক্ষিত বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় তিতুমীরের বাহিনী। ১৮৩১ সালে ১৭ নভেম্বর ইংরেজ সরকার তিতুমীরের বাঁশের কেল্লাটি ধ্বংস করার জন্য একটি বিশেষ বাহিনী প্রেরণ করেন। আর লেঃ কর্ণেল ষ্টুয়ার্ট নেতৃত্বে এই বাহিনী তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। আর ইংরেজদের কামান ও বন্দুকের সামনে খুব একটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি বাশের কেল্লাটি। গোলার আঘাতে উড়িয়ে দেওয়া হয় বাঁশের কেল্লাটি। এবং ইংরেজদের সঙ্গে বীরের মতো লড়াই করে পরাজিত হয় বাংলার নেতা তিতুমীর
আপনারা যারা আপনাদের এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো। তাছাড়া আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের যেকোনো ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন।