বঙ্গভঙ্গ রদ করেন কে

বঙ্গভঙ্গ বাংলার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পূর্ব বাংলায় সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা না থাকায় এবং জন গণের ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে লর্ড কার্জন এ‌ বঙ্গভঙ্গ টি গঠন করেছিলেন। তাছাড়া দুই বাংলাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ও প্রশাসনিক সংস্কারের পরিকল্পনা জন্য বঙ্গভঙ্গ টি গঠন করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। আপনারা যারা বঙ্গভঙ্গ রদ করেন কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেব।

আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে। তাছাড়া গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনারা খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।

বঙ্গভঙ্গ শব্দটি ভাঙলে দুটি শব্দ পাওয়ায়। একটি শব্দ বঙ্গ আরেকটি ভঙ্গ। আর এ বঙ্গ শব্দের মানে হলো বাংলা আর ভঙ্গ শব্দের মানে হলো ভাগ। তাহলে, বঙ্গভঙ্গ শব্দের অর্থ হলো বাংলা কে দুই ভাগ। ভারতে বর্ষে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত ছিলো বাংলা প্রদেশ। এই বাংলা প্রদেশের রাজধানী ছিলো কলকাতা। ব্রিটিশ ভারতের এটি ছিল সর্ব বৃহৎ প্রদেশ। দুটি প্রদেশেকে শাসন পরিচালনার সুবিধার্থে আলাদা করা হয়। ১৯০৫ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেন। যা ১৫ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হয়। বঙ্গবঙ্গের ফলে দুটি প্রদেশ সৃষ্টি হয় একটি হলো পূর্ব ও আসাম প্রদেশ‌ ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ।

বঙ্গভঙ্গের আবির্ভাব এর ফলে ভারতের উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক বিশাল পরিবর্তন ঘটে। এটি বাংলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বঙ্গভঙ্গের ফলে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে তীব্র এক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজ বহুদিন ধরে বঙ্গভঙ্গ কামনা করে আসছিল। কারণ বঙ্গভঙ্গ হলে পূর্ব বাংলার মুসলমানরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হলে তারা তাদের ভাগ্য ফিরে আসবে বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করত। হিন্দু সম্প্রদায় প্রভাবিত কলকাতার উপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিভর্রশীলতা কম পাবে। মুসলমান জনগণ চাকরি ও ব্যবসায়-বাণিজ্যে উন্নতি লাভ করতে পারবে। এবং এসব বিষয় তারা বেশি শুধু সুবিধা পাবে ন। তাছাড়া প্রসাসনিক ক্ষেত্রেও এদের বাড়তি সুবিধা পাবে।

বঙ্গভঙ্গের ফলে হিন্দুদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় হয় এবং তারা এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলেন।পূর্ব বঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নতি এ সকল বর্ণ হিন্দুগোষ্ঠীরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পার ছিল না । বঙ্গবঙ্গ ছিল তাদের কাছে এক অপমান জনক ঘটনা । তাই একে রদ করার জন্য সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী , বিপিন চন্দ্রপাল,অরো বিন্দু ঘোষ, অশ্বিনী কুমার দত্ত ইত্যাদি নাম না জানা আরও হিন্দু নেতৃবৃন্দ বঙ্গ বিভাগকে অন্যায় ও অযৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করে তীব্র প্রতিবাদয় ও আন্দোলনের সৃষ্টি করে। পরবর্তী বঙ্গভঙ্গ রদ করেন রাজা পঞ্চম জজ। তিনি বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা প্রদান করেন। ১৯১১ সালে ভারত সফরে এসে রাজা পঞ্চম জজ বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা করেছিলেন। খুব কম সময়ে এ আন্দোলনের গতিবেগ বিশাল বিস্তরণ লাভ করে ভারতীয় উপমহাদেশে। আর বাংলার ইতিহাসে জাতীয় আন্দোলন গুলোর মধ্যে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনটি অন্যতম।

বঙ্গভঙ্গের ফলাফল ছিল সুদূর প্রসারী। যদিও বঙ্গভঙ্গের ফলাফল ছিল সাময়িক তবুও বঙ্গভঙ্গের কারণে বেশি লাভবান হয়েছিলেন পূর্ববঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সম্প্রদায়। বঙ্গভঙ্গ যে লক্ষে করা হয় তার পুরোপুরি বাস্তবায়তি হয় নি বা হতে দেইনি তৎকালীন হিন্দু শ্রেণি বা হিন্দু নেতারা। তারা বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য বারবার বাধা প্রদান করেছে। এক সময় এই বাধার কারণে বঙ্গভঙ্গ শেষ অব্দি ভেঙ্গে যায়।

আপনারা যারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে আগ্রহী আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশিত করি। আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *