তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন

তারা মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নির্দেশনা গুলোর মধ্যে এই মসজিদটি একটি অন্যতম মসজিদ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এই ঐতিহাসিক মসজিদটি রয়েছে। পুরান ঢাকায় অবস্থিত মসজিদটি বিখ্যাত একটি মসজিদ। পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় এরকম অনেক মসজিদ আছে যে গুলো শত বছরের পুরনো কিন্তু ইতিহাস কে সাথে নিয়ে টিকে আছে বছরের পর বছর। ১৮ শতকের শুরু থেকে এই ঐতিহাসিক তারা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ঢাকার এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী এই মসজিদ টি নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন। আর এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নিয়ে আপনাদের অনেকের ই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন এই প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয়। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো বিখ্যাত এই তারা মসজিদটি কে নির্মাণ করেছে। আপনারা যারা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে চান প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইডে চোখ রাখুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো।

তারা মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ ছিল। যার মধ্যে একটি গম্বুজ ছিল সবচেয়ে বড়। মসজিদটি শ্বেত পাথর দ্বারা নির্মিত এবং বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে মসজিদের গায়ে আঁকানো হয়েছে নীলরঙা তারকারাজি। এ মসজিদের দরজা গুলির মধ্যে দক্ষিণ দিকের তিনটি দরজাই ছিল আতী প্রাচীন। বিখ্যাত এই তারা মসজিদের ভিতরে চার দেয়ালে রয়েছে নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সব কথা। চাঁদ, তারা, নক্ষত্র ও আরবি ক্যালি গ্রাফিক লিপি মসজিদের গাত্রনক শাখায় বিধৃত হয়েছে। মসজিদের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য ফুলের গাছ যে গুলোকে মসজিদের পরিবেশকে আরো সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরে ও বাইরে সম্পূর্ণরূপে মোজাইক নকশা মসজিদটি কে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

আদি তারা মসজিদ আর বর্তমান তারা মজিদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে বর্তমানে এই মসজিদটি কে আরও সংস্কার করে পুরো মসজিদটিকে আরও বেশ পরিবর্তন করে ফেলেছেন। প্রথম থেকেই মসজিটি আয়তাকার ছিল বেশ বড় তাই এই মসজিদটি কে পুনরায় সংস্কার করতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়নি। মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট আর প্রস্থ হলেন প্রায় ২৬ ফুটের মতো। তাই আপনারা যারা জানতে চান এই তারা মসজিদটি কে নির্মাণ করেন তাদের জন্য বলছি। জমিদার মির্জা গোলাম পীর ঢাকায় অবস্থিত বিখ্যাত তারা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদটি মির্জা গোলাম পীর নির্মাণ করেছিলেন বলে মসজিদটি মির্জা সাহেবের মসজিদ বলেও অনেকে জানে। এই মসজিদটি জুড়ে মোঘল স্থপতিদের ছোঁয়া নজরে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *