কাজ কাকে বলে

ইংরেজিতে Verb বাংলা ভাষায় ক্রিয়া বা কাজ বলতে বোঝায় কোন কিছু করাকে। অর্থাৎ মানুষের কর্ম করাকেই কাজ বলা হয়ে থাকে। তবে পদার্থের ভাষায় কাজ বলতে আমরা অন্য কিছু বুঝে থাকি। সাধারণ অর্থে কোন কিছু করাকে কাজ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের ভাষায় কাজের আরেকটি সুনির্দিষ্ট অর্থ আছে। সহজ কথায় কাজ তখনই হবে যখন কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করে তার অবস্থানের পরিবর্তন হবে। কোন বস্তুর ওপর আমরা যদি বল প্রয়োগ করে সারাদিনেও কোন কিছু করতে না পারি তাহলে সেটি কাজ হবে না। অর্থাৎ আমরা যদি একটি গাছের গুড়িকে সারা দিন ধরে বল প্রয়োগ করি, ঠেলাঠেলি করি গাছটির অবস্থান ওইখানেই থাকে তাহলে আমাদের সারাদিনে কোন কাজই হলো না। এটাকে কাজ বলা হয় না।

তাই বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ সংঘঠিত করতে হলে কোন কিছুর অর্থাৎ বল প্রয়োগ করে কোন কিছুর অবস্থানের পরিবর্তন করতে হবে। যদি কোন ভাল ফুটবল খেলে তাহলে সেই ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে যদি ফুটবলের সে অবস্থান পরিবর্তন করে বা পরিবর্তন হয় ফলে সেটাকে আমরা কাজ বলে ধরে নিব। বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা তাহলে বলতে পারি যে কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করে বস্তুটিকে বলের দিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানো হলে তাকে কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানব বা কাজ হয়েছে বলে জানতে পারি। কাদের সাথে দুইটি বিষয়ে সম্পর্কযুক্ত একটি হলো বল আরেকটি হলো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন। আমরা বল প্রয়োগ করলাম কিন্তু বস্তুর বল বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন হলো না তাহলে সেটি কখনোই কাজ বলে ধরে নেওয়া যায় না। তাই কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই দুইটি জিনিসেরই গুরুত্ব রয়েছে।

তাহলে কাজও বলের সম্পর্কে আমরা বলতে পারি বল ও বস্তু কর্তৃক বলের দিকে আক্রান্ত দূরত্বের কুফল হলো কাজ। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক একজন রিকশাচালককে রিকশা চালিয়ে একসান থেকে অন্য স্থানে যেতে বলা হয়েছে ধরা যাক একই দূরত্বে যেতে একজন রিকশাচালক ১০ মিনিট লেগেছে আবার অন্যজনের লেগেছে ১৫ মিনিট। তাহলে এখানে দুইজনের মধ্যে কাজ করার হার বেশি কার। সহজে আমরা বলতে পারব যে রিক্সাচালক কম সময় ব্যবহার করেছে তার কাজের হাড় বা কাজ করার হার বেশি। কোন কাজকে কত তাড়াতাড়ি করতে পারে তা দিয়ে তার ক্ষমতা বোঝা যায় তাই রিকশাচালকের কোন জায়গায় যেতে কম সময় লাগে তার ক্ষমতা বেশি বলে আমরা ধরে নিব অর্থাৎ যে ব্যক্তি বেশি তাড়াতাড়ি অর্থাৎ কম সময়ে বেশি কাজ করতে পারে তার ক্ষমতা বেশি বলে ধরে নিতে পারি।

কাজের সাথে আরো কয়েকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাপার থেকে যায় সেগুলো হল দুইজন শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নিল যে তারা স্কুলের খেলার মাঠ কে মোট পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে। শুরু করার কিছুক্ষণ পর দেখা গেল একজন দুইবার প্রদক্ষিণ করে বসে পড়লো আরেকজন পাস বারই প্রদক্ষিণ করল। এখানে আমরা কাজ করা সামর্থকে বিবেচনা করব। এদের মধ্যে যে দুইবার প্রদক্ষিণ করার পর বসে পড়ল সে কাজ করার সামর্থ্য ফুরিয়ে ফেলেছে এই কারণে সে বসে পড়েছে বা পারেনি বলে আমরা ধরে নিতে পারি। আর যে পাঁচবারি প্রদক্ষিণ করল তার কাজ করার সামর্থ্য বেশি। বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ করার এই সামর্থই হল শক্তি। কাজ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলার পর তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি কাজ কাকে বলে?

কাজ: কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করে বস্তুটিকে বলের দিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানো হলে তাকে কাজ বলে। কাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলি হলো বল বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন, দূরত্ব ইত্যাদি।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে যে সকল তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হয় সে সকল তথ্যগুলি আমরা অত্যন্ত সহজ সরল সঠিক ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আপনাদের প্রয়োজনে আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন আপনার কোন তথ্যটি প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *