অংক কাকে বলে? অংক কত প্রকার ও কী কী

ইংরেজি ম্যাথমেটিক্স (Mathematics ) এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো গণিত। গণিত শব্দটি গ্রীক ‘Mathemata’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ শিক্ষনীয় বিষয় সমূহ। গণিত হলো সাধারণ/সার্বিক (Universal) ধারণা/ভাব (Idea), যার সাহায্যে পরম সত্যের কাছাকাছি যাওয়া যায় বা যাওয়ার চেষ্টা করা যায়। অনেকে গণিতকে বিজ্ঞানের ভাষা বলে থাকেন। বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ ফেডারিকা গ’স গণিতকে বিজ্ঞানের রানী বলে অভিহিত করেছেন। পিথাগোরাস এবং তার অনুসারীদের মতে বিশ্ব অস্তিত্বের মূল হচ্ছে সংখ্যা তত্ত্ব। এই সংখ্যা তত্ত্বই ছিল তাদের কাছে শক্তির প্রতীক। এই কারণেই প্লেটো তার স্কুল একাডেমীর প্রবেশদ্বারে একটি প্রবাদ বাক্য লিখেছিলেন। সেই প্রবাদ বাক্যটি হলো ‘জ্যামিতিতে যার জ্ঞান নেই তার এই বিদ্যালয়ের প্রবেশের দরকার নেই’।
পারিভাষিক অর্থে-

১. Mathematics is the Science of Space, Numbers and Quantity ”. অর্থাৎ গণিত হলো স্থান, সংখ্যা এবং পরিমাণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
Oxford Dictionary.

২. ‘Mathematics is the Science of Necessary Conclusions’. গণিত হলো যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্তের বিজ্ঞান- Benjamin Price.

৩. Mathematics is the Study of abstract forms of Structures
and the Relations among them”. গণিত হলো বিমূর্ত ধারণার সৌধ নির্মাণ এবং তাদের সম্পর্ক বিষয়ে পাঠ। আধুনিক গণিতবিদগণ ।

৪। ময়ূরের মাথায় যেমন শিখা, সাপের মাথায় যেমন মণি, ঠিক সেরকম শাস্ত্রের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো গণিত। – বেদাঙ্গজ্যোতিষ (খ্রি. পূর্ব. ১২০০ অব্দ)
একাধিক অংকের একাধিক সংখ্যা থাকলে বেশি অংকের সংখ্যাটি সবচেয়ে বড় এবং কম অংকের সংখ্যাটি সবচেয়ে ছোট হয়ে থাকে এখানে আমরা ছয় অঙ্কের সংখ্যাটি সবচেয়ে বড় এবং দুই অঙ্কের সংখ্যাটি সবচেয়ে ছোট এভাবে বলতে পারি তবে সমান সমান অংকের ক্ষেত্রে কোন সংখ্যাটি বড় ছোট সেটা প্রমাণ করা একটু আলাদাভাবে হবে। সমান অঙ্কের একাধিক সংখ্যা থাকলে যে সংখ্যার সর্বমের স্থানীয় মান বড় হয় সেটি বড় হবে এবং সর্বগানের স্থানীয় মান যার ছোট সেটি সবচেয়ে ছোট সংখ্যা হবে বলে আমরা বুঝতে পারি। আবার সমান অংকের একাধিক সংখ্যা থাকলে সেই সংখ্যার সর্বমের স্থানীয় মান সমান হলে পরবর্তী সংখ্যা দেখে ছোট বড় নির্ণয় করতে হয়।

তাই আমরা বলতে পারি অংক মানে হিসাব কষা। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক এই বৈচিত্র্য আমরা গণনা এবং সংখ্যার সাহায্যে উপলব্ধি করে থাকি। সেই সংখ্যার মধ্যে অনেক সংখ্যায় রয়ে যায় যেমন স্বাভাবিক সংখ্যা পূর্ণ সংখ্যা ভগ্নাংশ সংখ্যা ইত্যাদি এরপর আবার আছে মূলদ সংখ্যা অমূলদ সংখ্যা বাস্তব সংখ্যা ইত্যাদি অনেক সংখ্যায় রয়েছে। এগুলি সবই অঙ্কের মধ্যেই পড়ে। সংখ্যা জগতে কিছু সংখ্যা রয়েছে যেগুলো দুইটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাতে প্রকাশ করা যায় না আবার এগুলো অমূলদ সংখ্যা নামে পরিচিত হয়ে থাকে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে অংক কাকে বলে? আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপাত্ত আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাহলে চলুন দেখা যাক অংক কাকে বলে।

অংক কাকে বলে: তাহলে আমরা এখন বলতে পারি যে সংখ্যা গঠন বা প্রকাশ করার জন্য যেসব চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলিকে অংক বলা হয়ে থাকে। হংকর জগতের মোট দশ পিস অংক থাকে এগুলি আমরা আগেই বলেছি যে ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯। এখানে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলিকে সার্থক অংক বলা হয়ে থাকে এবং শূন্যকে বলা হয় অবজ্ঞা জ্ঞাপক অংক। শূন্য নিজে নিজে তাঁর প্রকাশ নেই তবে অন্য কোন সংখ্যার ডানে অথবা বামে বসে সে ১০ গুন করে একটি সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শুন্য কে অভাব জ্ঞাপক অংক বলা হয়ে থাকে। অংক বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিগুলি দেওয়া হল। যথা: দশমিক পদ্ধতি
বাইনারি পদ্ধতি
অক্টাল পদ্ধতি
হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতি
এ সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে অংক করা যায়। যার যে পদ্ধতি সুবিধা মনে হয় সে সে পদ্ধতিতে অংক গুলি করে থাকে। অথবা যে অংকগুলি যে পদ্ধতিতে করলে বেশি সুবিধা হয় সেই পদ্ধতিতে অংক গুলি করে ফেলতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *