রোধ কাকে বলে

আমরা বিদ্যুৎ প্রবাহকে দেখতে পাই না শুধুমাত্র অনুভব করতে পারি যে বিদ ্যুৎ থাকলে প্রবাহিত হয় আর যদি না থাকে তাহলে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না। আমরা জানি ধাতব তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। এবং বিদ্যুতের প্রবাহ হল ইলেকট্রনের প্রবাহ। আমরা জানি বিদ্যুতের প্রবাহ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক প্রকারের বিদ্যুৎ প্রবাহ হলো এসি এবং অপপ্রচারের বিদ্যুৎ প্রবাহ হল ডিসি। আমরা জানি কোন বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহের জন্য দরকার দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য। তড়িৎ প্রবাহ তখনই চলতে পারে যখন ধাত ব তারের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য থাকে। অর্থাৎ দুইটি বিভিন্ন বিভাগের ধাতব বস্তুকে যখন পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করা হয় তখন তারের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে থাকবে।

আর এই ধাতব তারের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন গুলি সহজে চলাচল করতে পারে বিধায় ধাতব তারের মধ্যে দিয়ে আমরা বিদ্যুতের প্রবাহিত হতে দেখি। আধুনিক ইলেকট্রন তত্ত্ব থেকে আমরা একথা জানি যে প্রত্যেক ধাতব পদার্থের মধ্যে কিছু মুক্ত ইলেকট্রন থাকে এবং এই মুক্ত ইলেকট্রন থাকার কারণে ইলেকট্রন গুলি যত্রতত্ত্ব ঘুরে বেড়াতে পারে এবং সেই কারণে এই ধাতব পদার্থের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। তাই যখন দুটি ভিন্ন বিভাগের ধাতবস্তুকে তার দ্বারা সংযুক্ত করি তখন নিম্নবিভাবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চবিভব সম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। এই ইলেকট্রন প্রবাহিত হওয়াকেই আমরা বিদ্যুৎ প্রবাহ বলে থাকি। আবার এই বিদ্যুৎ প্রবাহ বা ইলেকট্রনের প্রবাহ যতক্ষণ পর্যন্ত ধাতবস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বর্তমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত এই ঋণাত্মক আধানের এই প্রবাহ চলতে থাকবে।

তাই এই যতক্ষণ আমরা এই বিপক্ষে করে রাখতে পারব ততক্ষণই বিদ্যুৎ প্রবাহ যেহেতু চলতে থাকবে তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে তাদের দুই প্রান্তের মধ্যে যাতে বিপদ পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কোনভাবে যদি ধাতব বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী বিভব পার্থক্য বজায় রাখা যায় তখন এই প্রবাহ নির্বচ্ছন্ন ভাবে চলতে থাকে। তাই আমরা বিদ্যুৎ প্রবাহ কে বিদ্যুৎ প্রবাহ চলতে কি প্রয়োজন বাধাতারের মধ্যে দিয়ে যে বিদ্যুৎ প্রবাহ চলতে পারে এগুলি আমরা দেখে নিলাম বা বুঝে নিলাম। বিদ্যুৎ প্রবাহ সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ বসলাম তাহলে এখন দেখি রোধ কি।

বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হয় ইলেকট্রনের প্রবাহের জন্য এ কথা আমরা আগেই বলেছি। কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবাহীর দুই প্রান্ত বিভব পার্থক্য থাকলে এই প্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভাগের দিকে প্রবাহিত হয় বলে আমরা এর আগে জানতে পেরেছি। এই ইলেকট্রনের স্রোত পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অভ্যন্তরস্থ অণু পরমানুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই ইলেকট্রন স্রোত পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অভ্যন্তরস্থ অনুকরণের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এই সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় বলে সহজ সরল ভাষায় আমরা বুঝতে পারি। সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ফলে এর গতি বাধপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। আর বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি বাধা প্রাপ্ত হয় বা বিঘ্নিত হয় তাহলে বিদ্যুৎ চলাচলের ওপর এর একটি প্রভাব পড়বে। এই প্রভাব বিদ্যুৎ চলাচলে গতি কমিয়ে দিয়ে থাকে। তাই পরিবাহীর এই বাধাধানে ধর্মকে আমরা রোধ হিসেবে উল্লেখ করি। মূলত পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় তাকেই রোদ বলে উল্লেখ করা হয়।

আমরা আমাদের এই পোস্টে বিদ্যুৎ প্রবাহ এবং বৈদ্যাতিক রোধ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হলো। কিন্তু রোধ কাকে বলে সে বিষয়টি আমরা এখনো বুঝতে পারলেও সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাহলে চলুন দেখা যাক রোধ কাকে বলে?

রোধ: ইলেকট্রন স্রোত পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অভ্যন্তরস্থ অণু পরমানুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ফলে এর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পরিবাহীর এই বাধা ধানের ধর্ম হলো রোধ। মূলত পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় তাই হল রোধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *