দর্শন কাকে বলে

মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই তার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য চিন্তা করতে শুরু করে এবং কিভাবে টিকে থাকা যায় তার হিসেব করতে থাকে। গোয়াবাসী মানুষ যখন তার প্রকৃতির সঙ্গে টিকে থাকার লড়াইয়ে দিনাতিপাত করে তখনও মানুষ ভাবতে থাকে। গোহাভাষী মানুষদের ভাবতে হয় কিভাবে হিংস্র জানোয়ারের সঙ্গে লড়াইয়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে মানুষ তার মানবিক জীবন উন্নতির পথে এগোতে থাকে। তাহলে ধারণা করা হয় ওইখান থেকেই দর্শনের শুরু। মানুষ সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তার চিন্তা করার শক্তিও অধিক। তাই মানুষ সব সময় ভাবতে থাকে কিভাবে আরো উন্নততর জীবন যাপন করা যেতে পারে। প্রথমে তারা শিকার ধরে জীবজন্তু মাংস আহার করে বেঁচে থাকতো। আশেপাশের বনের লতা ফল ফুল খেয়ে বেঁচে থাকতো তারা।

তারপর আস্তে আস্তে সে সকল জীবজন্তুকে নিজের বশে আনে পোষ মানায় এবং কৃষি কাজের দিকে ঝুঁকে মানুষ। অনেক অনেক ঘুরে আর পশু স্বীকার করতে হয় না এবং বনে বনে ঘুরে ফল ফুল আহরণ করতে হয় না এখন নিজের উৎপাদিত ফসল এবং নিজের পালনকৃত পশুই তারা খেয়ে জীবন যাপন যাপন করতে থাকে। এরপর মানুষ আরো টাকা আবিষ্কার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মেশিন আবিষ্কার করার পর তাদের জীবন যাপন এর ধারা আরও উন্নততর হতে থাকে। তাই বলা যায় আদিকাল থেকেই মানুষের সেই মানবিক অসামাজিক চেতনার বিকাশের একটা পর্যায়ে মাত্র মানুষের পক্ষে বিশ্লেষণে দৃষ্টি নিয়ে জগত এবং জীবন সম্পর্কে চিন্তা করা সম্ভব হয়েছে। তাই বলা যায় মানুষ তার উদ্ভব মুহূর্ত থেকেই চিন্তার এরূপ ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম ছিল ।

কারণ নিজের জীবনকে রক্ষা করার তাগিদেই তারা চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গিয়েছে সামনের দিকে। একটা কথা রয়েছে মানুষ থেকে শিখে, সেখান থেকেই যখন মানুষ প্রকৃতির কাছে জীবনের কাছে থেকে গিয়েছে তখনই বারবার চিন্তা করেছে প্রকৃতির রহস্য সম্পর্কে ভাবতে শুরু করেছে এবং চিন্তা করেছে নিজের দেহ সম্পর্কেও। তাই মানুষের চেতনার বিকাশের একটা স্তরে এসে মানুষ তার পরিবেশ সম্পর্কে চিন্তা করতে আরম্ভ করে। দর্শনের পথিক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তা থিংকার অগাস্ট রেটিং কর্তৃক নির্মিত একটি ভাস্কর্য। প্রথম দিকে বা আদিকালে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বিশ্বজগত সম্পর্কে খুব একটা ভালো ছিল না।

সে সময় জগৎ ও জীবনের প্রত্যেকটি সমস্যা মানুষের কাছে প্রশ্ন করে উত্থাপিত হতো। মানুষের মনে যে প্রশ্নরই উদয় হতো না কেন সেই প্রশ্নেরই একটা জবাব তারা তৈরি করত। আর তার থেকেই মানুষের দার্শনিক চিন্তাভাবনা শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। আজ আমাদের দেখাতে হবে দর্শন কাকে বলে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সম্পর্কিত সকল তথ্যই খুব সুন্দর সহজ সরল ভাষায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং দেখে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনের প্রশ্নের উত্তরটি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। আর প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন পার্থ প্রযোজ্য হয় না।

তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট টি যদি বারবার ভিজিট করেন তাহলে অবশ্যই জ্ঞানের পরিধি বাড়বে আপনাদের। তাই দর্শন কাকে বলে এ সম্পর্কে আমরা এখন দেখতে পারি। দর্শন মানুষের আদি জ্ঞান ভান্ডার। প্রাচীন গ্রিস ভারত ও চীনে দর্শনের বিস্ময় কর বিকাশের সন্ধান পাওয়া যায়। জীবন ও জগতের সকল সমস্যায় গড়াতে দর্শনের আওতাভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে এটি তা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। দর্শনের কোন সুস্পষ্ট সংজ্ঞা এক কথায় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা বিভিন্ন দার্শনিকের দেওয়া সংজ্ঞা গুলি এখানে উপস্থাপন করছি।
গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেন “চিরন্তন এবং বস্তুর মূল প্রকৃতির জ্ঞান অর্জন করাই দর্শনের লক্ষ্য”।
অ্যারিস্টটলের সংজ্ঞা অনুযায়ী বলা হয় যে “আদি সত্ত্বার স্বরূপ এবং এ স্বরূপের অঙ্গীভূত যে সব বৈশিষ্ট্য তার অনুসন্ধান করে যে বিজ্ঞান তাই হলাে দর্শন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *