আমরা এর আগেই বলেছিলাম যে জ্যামিতিতে বিভিন্ন আকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রাচীনকালে মানুষজনের তাদের ভূমির পরিমাপ করার লক্ষ্যে জ্যামিতির আবিষ্কার হয়। অর্থাৎ মানুষের বিভিন্ন আকৃতির জমিজমা ছিল এবং তাদের এই জমি-জামা গুলি পরিমাপ করার জন্য জ্যামিতির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাই জ্যামিতির বিভিন্ন সম্পর্কে আমরা আজকে আমাদের এই লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং তা থেকে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে আয়তক্ষেত্র কাকে বলে।
আমরা এর আগেও বলেছিলাম যে জ্যামিতির আকৃতি শুরু হয়েছিল একটি ডট বা বিন্দু থেকে। বিন্দুই জ্যামিতির প্রথম আকৃতি বা জ্যামিতির আকৃতির শুরুর প্রথম ধাপ। বিন্দু হল একটি লক্ষ্যবস্তু থেকে আরেকটি লক্ষ্যবস্তুর দূরত্বের তুলনায় ব্যাসার্ধ অতি ক্ষুদ্র যদি হয় তবে ওই অবস্থানকে বিন্দু বলা যেতে পারে। বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কয়েকটি জিনিস আপনাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেই মনে রাখার বিষয়গুলি হল-
বিন্দুর কেবল অবস্থিতি রয়েছে কিন্তু দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও বেধ নেই।
একটি বিন্দু থেকে একাধিক রশ্মি আমরা আঁকতে পারবো।
দুইটি বিন্দুর মধ্যে সরলরেখার দূরত্বই হবে সবচাইতে ক্ষুদ্রতম দূরত্ব। আবার দুইটি বিন্দুর মধ্যে দিয়ে একটি এবং শুধুমাত্র একটি সরলরেখা আঁকা সম্ভব হয়। এগুলি ছিল বিন্দু সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। আমরা এখন দেখে নিতে পারি কোণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যগুলি। আমরা এটা জানি যে কোণ কাকে বলে। কোন হল দুইটি রশ্মি পরস্পরের সাথে মিলিত হলে মিলিত প্রান্তবিন্দুতে উৎপন্ন জ্যামিতিক আকারকেই কোণ বলা হয়।
জ্যামিতিতে কোণ ও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এই কোন গুলির নাম যথাক্রমে- সূক্ষ্মকোণ সমকোণ, স্থূলকোণ, সরল কোণ, প্রবৃদ্ধ কোণ, সন্নিহিত কোণ, বিপ্রতীপ কোণ, একান্তর কোণ, অনুরূপ কোণ। এরপর আমরা জ্যামিতির ত্রিভুজ সম্পর্কিত কিছু তথ্য আপনাদের অবগতির জন্য তুলে ধরতে পারি।
তথ্য গুলি হল- তিনটি সরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলা হয়। ত্রিভুজ সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য এখন আমরা দেখে নিব।
ত্রিভুজের তিনটি কোণের সমষ্টি ১৮০° বা দুই সমকোণ হয়।
ত্রিভুজের দুই বাহুর সমষ্টি তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর হবে।
ত্রিভুজের ভূমির বিপরীত দিকের বিন্দুর নাম শীর্ষবিন্দু।
ত্রিভুজের যেকোনো এক বাহুকে যদি বর্জিত করা হয় তাহলে যে বহিঃস্থ কোণ উৎপন্ন হয় তা অন্তস্থ বিপরীত কোন দ্বয়ের সমষ্টির সমান হবে।
কোন ত্রিভুজের প্রত্যেক বাহু উপাধিকে যদি বর্ধিত করি তাহলে যে ছয়টি বৈশিষ্ট্য কোন উৎপন্ন হবে তাদের সমষ্টির মোট আট সমকোণ হয়।
কোন সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ অন্য যে কোন বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর হবে।
অপু কোন ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু থেকে ভূমির মধ্যবিন্দুর সংযোজক সরলরেখাকে মধ্যমা বলা হয়। ত্রিভুজের তিনটি মধ্যমা হয়। মধ্যমাত্রায় সমবিন্দু হবে। মধ্যমাত্রায় পরস্পরকে দুই অনুপাত এক এভাবে বিভক্ত করে।
কোন ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য তার পরিসীমার সমান হয়।
কোন ত্রিভুজের মধ্যমা তিনটির সমষ্টি তার পরিসীমা অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর হবে।
কোন ত্রিভুজের ভূমির মধ্যবিন্দু থেকে অন্য দুই বাহুর ওপর অঙ্কিত লম্ব সমান হলে ত্রিভুজটি আবার সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ হয়। একই ভূমির বিপরীত পাশে অঙ্কিত দুইটি সমবাহু ত্রিভুজ সামান্তরিক গঠন করে। ত্রিভুজ সাধারণত বাবু পেতে তিন প্রকার এবং কোন ভেদে তিন প্রকার হয়ে থাকে।
এখন আমরা চতুর্ভুজ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরি। যার বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে চতুর্ভুজ বলা হয়। চতুর্ভুজের মধ্যে রয়েছে বর্গক্ষেত্র আয়তক্ষেত্র সামন্তরিক রম্বস ট্রাপিজিয়াম ইত্যাদি। আমাদের আজকে দেখাতে হবে আয়তক্ষেত্র কাকে বলে? তবে চলুন দেখা যাক আয়তক্ষেত্র কি। তার আগে আপনাদের বলি যে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য গুলি আপনারা দেখে নিতে পারেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে এগুলো দেখে নিবেন।
আয়তক্ষেত্র: সামান্তরিকের একটি কোন সমকোণ হলে তাকে আয়ত বলে। আয়তদারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকেই আয়তক্ষেত্র বলে।