উন্নয়নশীল দেশগুলো বলতে বোঝায় স্বল্পোন্নত দেশগুলিকে। অর্থাৎ পৃথিবীতে যে দেশগুলি অল্প উন্নত অর্থাৎ উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত রেখেছে সে সব দোষ গুলোকে উন্নয়নশীল দেশ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে সকল দেশের জীবন যাত্রার মান খুব কম অনুন্নত শিল্পাঞ্চল ভিত্তিক এবং মানব উন্নয়ন সূচক অপরাপর দেশের তুলনায় নিম্নমুখী সেগুলো উন্নয়নশীল দেশ রূপে চিহ্নিত করা হয় পৃথিবীতে। আই এম এফ এর অনুসারে উন্নয়নশীল অর্থনীতি আই এম এফ এর পরিধির বাইরে উন্নত অর্থনীতিতে উন্নীত।
আবার দেখা যায় যে , যে সকল দেশ বা দেশের অর্থনীতি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় অধিকতর অগ্রগামী হয় কিন্তু উন্নত দেশের সমপর্যায়ে হয় না, এইসব দেশগুলিকে তারা নব্য শিল্পন্নতো বা শিল্পাঞ্চলভিত্তিক দেশ বা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নিম্ন আয়ের দেশ সমূহের মাথাপিছু গড়ায় অনেক কম থাকে। এবং সে গড় আয় মার্কিন ডলারের হিসাবে ১০২৬ মার্কিন ডলারের কম হবে।
এগুলোকে নিম্নতর মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের বা দেশগুলোর মাথাপিছু আয় ৪০০৬ মার্কিন ডলার এর মত তারা হবে মধ্যম আয়ের দেশ। এবং উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৪ ৭৬ মার্কিন ডলারের বেশি হতে হবে। বিশ্ব ব্যাংক সব কমায়ের দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে শ্রেণি ভুক্ত করে। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক আরও উল্লেখ করে যে উন্নয়নশীল শব্দটি ব্যবহার জনক কারণ এটা একটা গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সামর্থকে বোঝানো তাদের অভিজ্ঞতা নয় যারা অনুরূপ উন্নয়নের সম্মুখীন অথবা যা অন্যান্য অর্থনীতিগুলো উন্নয়নের একটি পছন্দ সই বা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তাই পৃথিবীতে যেসব দেশগুলি কম উন্নয়ন কম উন্নত বা যাদের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত নিচের দিকে সে সব দেশগুলোকে পৃথিবীতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়েছে। এদিক দিয়ে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ আমাদের দেশের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত কম। এশিয়ার বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি আরো কম মাথাপিছু আয়ের দেশ। সেই হিসেবে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তবে আমাদের বাংলাদেশ ইতিমধ্য বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়ার যে মাইল ফলক সেটি আমরা অর্জন করেছি এবং ইতিমধ্যে আমাদের দেশ মধ্যমণের দেশ হিসেবে পরিচিত হতে যাচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাংক এসব উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বা দেশগুলোর মধ্যে তাদের ঋণের সুপারিশের সময় অবশ্যই ঋণের সুদের হার কম থাকে এবং এসব দেশগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। আবার উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের কাছ থেকেও অনেক ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকে যাতে তারা উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে পারে এই লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থাৎ উন্নয়নের বর্তমান স্তরের সঙ্গে বরাবর কিছু পরিমাণ সময় দেশগুলোর কতটুকু পরিবর্তিত হচ্ছে তা দ্বারা শ্রেণী বাধ্য করা যেতে পারে এবং বিশ্ব ব্যাংক তার একটি রেংকিং তৈরি করে। সেই রেংকিং অনুযায়ী কোন দেশ কতটা উন্নত করতে পেরেছে তার হিসাব রাখা হয়। সেদিক থেকে অবশ্য আমাদের বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।