মানব জীবনে অর্থনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। একটি রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি হলো অর্থনীতি।সম্পদ কীভাবে উৎপাদিত হয় এবং তা কীভাবে মানুষের উপকারে লাগে এটা অর্থনীতি র একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি রাষ্ট্র টিকে থাকে সে দেশের অর্থনীতির ওপর। তাই আমরা অনেকেই জেনে নিতে চাই অর্থনীতির জনক কে। আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তর জেনে নেয়ার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বারবার সার্চ করছেন আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি আপনারা গুগলে সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে।
কোনো একটি দেশের অর্থনীতি কীভাবে কাজ করে ও করা উচিত, অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে আর একটি দেশের অর্থনৈতিক খাতে কী ধরনের পরিবর্তন আনা যায় তা সে দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন থেকে বোঝা যায়। সমাজের সব মানুষ কোন না কোনভাবে অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে জড়িত। মানুষ দৈনন্দিন জীবনে অর্থনৈতিক কার্যাবলির এক সুতায় গাঁথা। বর্তমানে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই ব্যবসায়ীকে তার ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যে সব প্রতিযোগি তার সৃষ্টি হয় তার মোকাবিলার জন্য অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ।
কোন দেশের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সে দেশে বিদ্যমান অর্থনীতির ওপর সবকিছু নির্ভর করে।
উন্নত রাষ্ট্র গুলোতে অর্থনীতি মূলত প্রাথমিক পর্যায় গুলো হলো সে দেশের সম্পদ। এ ধরনের রাষ্ট্র গুলোতে বাস্তবতায় অর্থনীতির উপজীব্যরা জীবিকা নির্বাহের জন্য সনাতন পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নতি ঘটে। তাছাড়া উন্নত রাষ্ট্র গুলোতে তাদের অর্থনীতির মূল অংশটাকে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে। প্রাকৃতিক সম্পদ প্রক্রিয়াজাত করণে কিছু উন্নতি ও অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও সক্ষমতা খুবই কম। কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা শ্রেণির অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকে না। আর এ গতিশীল না থাকার কারণে মূল অংশ হলো সে দেশের রাজনৈতিক প্রভাব বা কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের যুদ্ধ কিংবা মহামারী কারণে যেকোনো দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে তাই একটি দেশের অর্থনীতি যত উন্নতি সে দেশ তত দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতি হলো একটি দেশের জন্য মূল চালিকাশক্তি।
সাধারণত অর্থনীতি হলো সমাজ বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা। একটি দেশের জাতীয় সম্পদ পরিমাপ করা হতো দেশে সংরক্ষিত সোনা এবং রূপার ভিত্তিতে। তবে অর্থনীতিবিদরা জাতীয় সম্পদকে এভাবে বিচার করা উচিত নয়, বরং একটি দেশের মোট উৎপাদন ও মোট বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে একটি দেশের অর্থনীতি ও জিডিপি নির্ধারণ করা উচিত। প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু সম্পদ রয়েছে যে সম্পদের উপর নির্ভর করে অর্থনৈতিক চাকা সচল করে রাখে যেমন বাংলা দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক দুটি জিনিসের উপর নির্ভর হয়ে থাকে একটি হল পোশাক শিল্প আর উন্নতি হল কৃষি খাত। বাংলাদেশের এখনো কৃষির উপনির্ভর করে অর্থনীতি সচল রয়েছে আর পোশাক শিল্প জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি দিনের পর দিন পরিবর্তন হতে চলেছে।
একটি দেশের অর্থনীতি কত যে গুরুত্বপূর্ণ কোন দেশে যদি অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে সে দেশ বুঝতে পারে অর্থনৈতিক সচ্ছল একটি দেশের জন্য কত প্রয়োজন। যুগের সঙ্গে সঙ্গে যেমন সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে তেমনি অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটে আর অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে এর গবেষক পরিবর্তন হয়। আর অর্থনীতির প্রথম গবেষক হিসে বে বা অর্থনীতির জনক হিসেবে আমরা অ্যাডাম স্মিথকে জানি। তিনি সর্ব প্রথম অর্থনীতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি পান। পরবর্তীতে দিনের পর দিন অর্থনৈতিক জনক আরো পরিবর্তন হয়। বর্তমানে আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি পায় পল স্যামুয়েল। এরা আধুনিকভাবে অর্থনৈতিক সংজ্ঞা দিয়ে ও গবেষণা করে অর্থনৈতিক জনক হিসেবে স্বীকৃতি পায়
আপনারা যারা অর্থনীতির জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।