বীমা কাকে বলে

বীমা হল অর্থের বিনিময়ে মানুষের কোন সম্পদ প্রতিষ্ঠান যানবাহন বা মালামাল এবং সর্বোপরি জীবনের হয় ক্ষতির ন্যায় সংগত ও নির্দিষ্ট সুখের স্থানান্তর মাত্র। অর্থাৎ আমরা যেকোনো সময় যেকোনো ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারি। অর্থাৎ যে কোন দুর্যোগের কারণে আমাদের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে অথবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেই ক্ষয়ক্ষতিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সামান্য হলেও রিকভার করার জন্য আগে থেকে প্রস্তুত হওয়া বা কোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের জীবনের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হলে সেই কোম্পানি যেন তখন আমাদেরকে সাহায্য করে। এভাবেই বিমার নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ ক্ষয়ক্ষতি পূরণের নিমিত্তে আগে থেকেই অর্থ পরিষদ করা হয় সেই কোম্পানিকে অর্থাৎ যখন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে প্রতিষ্ঠান মালামাল জীবন সম্পদ তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি পূরণের আশায়।

তাই এই ধরনের বীমা আসলে প্রত্যেকের জন্যই প্রয়োজন। কারণ যে কোন মানুষই বা যেকোনো মালামাল ই যে কোন সময় ঝুঁকির মধ্যে করতে পারে অর্থাৎ সবসময় ঝুঁকির মধ্যেই থাকে যে কোন সময় যে কোন ক্ষতি হতে পারে এসব মূল্যবান সামগ্রীর। তাই এই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে রক্ষা পাওয়া যাওয়ার আশঙ্কায় কোন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া হলো বীমা। বীমার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা বীমা কারী প্রতিষ্ঠান অর্থের অর্থাৎ কিস্তি আকারে প্রিমিয়াম ও দেওয়ার কারণে মক্কেলের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনার্স ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ হলো বীমা।

একটি ডাচ বীমা কোম্পানির ১৯০০-১৯১৮ সালের একটি বিজ্ঞাপন পোস্টার যেখানে একজন সাঁজোয়া নাইট চিত্রিত হয়েছে।
তবে বর্তমানে এই বীমা অবশ্যই একটি প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। কারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিপূরণ অর্থাৎ ঝুঁকির আগে থেকেই একটি ব্যবস্থা করে রাখা অবশ্যই ভালো একটি কাজ। কথায় আছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানের কাজ। এবং সেখান থেকেই এ কথাটি বলা যায় যে বীমা ঝুঁকি সামান্য হলেও লাখ হবে। কারণ মানুষের বিপদ আসতে সময় লাগে না। যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্তে যেকোনো ধরনের বিপদ চলে আসতে পারে মানুষের জীবনে। তাই সেসব বিপদ সামান্য পরিমাণে লেখক এর উদ্দেশ্যে বীমা কোম্পানির সঙ্গে অগ্রিম প্রিমিয়ার দেওয়ার লক্ষ্যে চুক্তি করা হয় যাতে সে সময় সামান্য হলেও কষ্ট লাঘব হয় এই কারণে।

বিভিন্ন বীমা কোম্পানিগুলো অগ্রিম প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সব ধরনের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত থাকে এবং অসংখ্য বিমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে বীমা কোম্পানিগুলো মূলধন বৃদ্ধি করে। এই অর্থগুলি যদি ১০০টা এ ধরনের বীমা চুক্তি করে থাকে তার মধ্যে হয়তো একজন দুইজন তিনজনের বিপদ আসতে পারে সেখান থেকে সেই ঝুঁকির টাকাগুলো কিস্তির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক অথবা কিস্তির মাধ্যমে পরিষদ করতে পারে বীমা কোম্পানিগুলো। তবে অভিমান প্রক্রিয়া ক্ষয়ক্ষতির ধরন এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বীমার যে আইন গুলো আছে সেগুলি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ বীমার মূলনীতিগুলো মেনে চলতে হবে। বীমা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান এবং বীমা প্রদানকারী কোম্পানিগুলো র মধ্যে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে যে চুক্তিটি উভয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত হবে তা যেন দুজনের ক্ষমতার মধ্যে থেকে থাকে এই দিকটি অবশ্যই ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে তাহলে উভয়পক্ষ ই কোন প্রতারণার শিকার হবে না বলে আশা করা যায়।

তাই আমাদের বর্তমান যুগে বীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই বীমা কোম্পানিগুলো থেকে যেন প্রতারণার শিকার না হয়। এদিক থেকেও উপায় পক্ষকে সতর্ক থাকার আহ্বান। তাহলে আমরা বীমার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আমাদের এই পোস্টে দেখলাম। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি বীমা কাকে বলে।
বীমা: বীমা হচ্ছে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তি যার মাধ্যমে এক বা একাধিক পক্ষ বিমাকরীর নিকট নির্দিষ্ট পরিমান প্রিমিয়াম বা নিদির্ষ্ট পরিমান চাঁদার বিনিময়ে সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয় এবং বিমাচুক্তিপত্রে উল্লেখিত নির্দিষ্ট কারণে বিমাগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমাকারী চুক্তির শর্তানুযায়ী বিমাগ্রহীতা বা তার প্রতিনিধিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *